এরিক উপশান্ত

কালুতারাগে এরিক এমিলা উপশান্ত (সিংহলি: එරික් උපශාන්ත; জন্ম: ১০ জুন, ১৯৭২) কুরুনেগালায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে চেশায়ার, কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, কুরুনেগালা যুব ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন এরিক উপশান্ত

এরিক উপশান্ত
එරික් උපශාන්ත
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1972-06-10) ১০ জুন ১৯৭২
কুরুনেগালা, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৫)
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৩ জুন ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
৩ অক্টোবর ১৯৯৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৩ ফেব্রুয়ারি ২০০১ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯০/৯১ - ২০০৩কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১২
রানের সংখ্যা ১০ ৪৯
ব্যাটিং গড় ৩.৩৩ ৭.০০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১৫
বল করেছে ৩০৬ ৫৬৪
উইকেট ১২
বোলিং গড় ৫০.০০ ৪০.০৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ২/৪১ ৪/৩৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ২/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

খেলোয়াড়ী জীবন

কুরুনেগালার মালিয়াদেবা কলেজে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এরিক উপশান্ত।[1] বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে খেলার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। অবশেষে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় তার। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দল ঘোষণা করা হলেও পাকিস্তান সফরে তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে না পারায় পুণরায় দলের বাইরে অবস্থান করতে থাকেন।

তিন বছর পর ১৯৯৯ সালের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে ভারতের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন তিনি। সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে ঐ টেস্টই তার একমাত্র টেস্টে পরিণত হয়। প্রথম ইনিংসে অন্যান্য সিমারের ন্যায় তিনিও তেমন সফলতা পাননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দর্শনীয় বোলিংশৈলী প্রদর্শন করে ২/৪১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।

ফেব্রুয়ারি, ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবার মাধ্যমে সংক্ষিপ্তকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে আবির্ভূত হন। আঘাতে জর্জরিত দিলহারা ফার্নান্দো’র শূন্যস্থান পূরণে ইংল্যান্ড সফরে যান।

এরপর পেপসি কাপে অংশগ্রহণ করেন। বেশ সাফল্য লাভের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন দলের সদস্য মনোনীত হন। ঐ প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তার দলকে।[2]

খেলার ধরন

দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন ও উইকেট শিকারে তৃষ্ণার্ত ছিলেন। ঝাঁকড়া চুলের অধিকারী এরিক উপশান্ত বেশ কয়েকবার জাতীয় দলে খেলেছেন। কিন্তু খেলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে।

সচরাচর সিম বোলারদের উপযোগী পিচে তিনি তার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে ব্যর্থ হন। বলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা, ধারাবাহিকতাবিহীন নিশানার ফলে পুণরায় দলের বাইরে চলে যান। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবে ফিরে যান।

গ্রহণযোগ্য মাত্রায় সঠিক নিশানা ও উচ্চতা নিয়ে বোলিং করতেন তিনি। এছাড়াও সিম বোলারদের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালাতেন। ২০০৪ সালে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর পরের মৌসুমে লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নেন।

২০০০ সালের পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে শ্রীলঙ্কার পক্ষে খেলতে থাকেন। এ সময় তিনি দিলহারা ফার্নান্দোর বিকল্প হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Maliyadeva have the edge over St. Anne's"The Sunday Times। ৮ মার্চ ২০১৫।
  2. 1999 World Cup squads. Cricinfo.com.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.