এমিনি এরদোয়ান

এমিনি এরদোয়ান (জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫) জন্ম নাম এমিনি গালবারেন, এছাড়া তিনি আমিনা এরদোগান নামেও পরিচিত, হলেন তুরস্কের ফাস্ট লেডি ও তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের স্ত্রী। তিনিও জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী ও নারী মুখপাত্র।

এমিনি এরদোয়ান
তুরস্কের ফাস্ট লেডি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৮ আগস্ট ২০১৪
রাষ্ট্রপতিরিসেপ তায়িপ এরদোয়ান
পূর্বসূরীহায়রুন্নেসা গুল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মএমিন গুলবরন
(1955-02-21) ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫
ইয়েসসাইদার, ইস্তানবুল, তুরস্ক
রাজনৈতিক দলজাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীরিসেপ তায়িপ এরদোয়ান (বি. ১৯৭৮)
সন্তান
বাসস্থানপ্রেসিডেন্ট প্রাসাদ (প্রাতিষ্ঠানিক)
ধর্মসুন্নি ইসলাম

ব্যক্তিগত জীবন

এমিনি ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের ইস্তানবুলের ইউকাদারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরব বংশোদ্ভূত, তার পরিবার তুরস্কের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরত প্রদেশ থেকে ইস্তানবুলে এসেছিল।[1] এমিনি ছিলেন পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তিনি মিহাত পাশা আকসাম আর্ট স্কুলে পড়াশোনা শুরু করলেও স্নাতক সম্পন্ন করার আগেই এ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে গিয়েছিলেন।

এমিনি আইডিলিস্ট উইমেনস এসোসিয়েশনে যোগ দিয়েছিলেন। এ সংগঠনের সদস্য থাকাকালীন সময়ে একটি সম্মেলনে রিসেপ তাইপেই এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাৎ হয়। রিসেপ তাইপেই এরদোয়ান ও এমিনি গালবারেন ১৯৭৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের চারটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে; আহমেত বুরান এরদোয়ান, সামিয়ে (যে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রকৌশলী সেলুকাস বায়রাক্তারকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেছে), নেকমিতিন বিলাল ও এশরা।[2]

রাজনৈতিক জীবন

৮ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে হোয়াইট হাউসের হলুদ ওভাল কক্ষে মিশেল ওবামার সাথে এক সাক্ষাতেে এডদোগান

৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি এমিনি এরদোয়ানকে পাকিস্তানের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার নিশান-ই-পাকিস্তান প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ২০১০ সালের অক্টোবরে এমিনি পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পাকিস্তান সফরে আসেন এবং ভয়াবহ সে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । এমিনি তুরস্কসহ বিভিন্ন মহলে পাকিস্তানের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালান।[3] এমনকি পাকিস্তান সফরকালে তার নিজের গলার হার বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে দান করেন।

এমিনি এরদোয়ান ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্রান্স মোনটেনা ফোরামের পিরিক্স ডে লা ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত ব্রাসেল্‌সে একটি সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন।[4]

এমিনি ২০১৬ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের স্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি তুরস্কের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ দাভুতোগলুকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গাদের খোজ খবর নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন[5] এবং নিজ হাতে ত্রাণ বিতরণ করেছিলেন; সেসময় রোহিঙ্গা নিয়ে বিশ্বের কোথাও আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। এছাড়াও তিনি বাল্যবিবাহ নিয়েও কাজ করেন।

২০১৮ সালে মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব মুসলিম ফিলানথ্রপিস্ট কর্তৃক গ্লোবাল ডোনারস ফোরামের সম্মাননা পদক লাভ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Mrs Erdogan's many friends", The Economist, 12 August 2004
  2. "Emine Erdoğan"Biyografi (Turkish ভাষায়)। ১৫ অক্টোবর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০০৮
  3. "PM confers Hilal-e-Pakistan award on Emine Erdogan"Associated Press of Pakistan। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  4. "Turkish PM's wife presented with women's award"Anatolian Agency। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
  5. "আন্তর্জাতিক সম্মাননা পাচ্ছেন তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনি"

বহিঃসংযোগ

সম্মানজনক পদবীসমূহ
পূর্বসূরী
Hayrünnisa Gül
তুরস্কের প্রথম লেডি
২০১৪–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.