ইন্দুমাধব মল্লিক
ইন্দুমাধব মল্লিক (৪ ডিসেম্বর, ১৮৬৯ - ৮ মে, ১৯১৭) একজন বাঙালি ডাক্তার ও বিজ্ঞানী। তিনি শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রচন্দ্র মল্লিকের পিতা ও খ্যাতনামা অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পিতামহ।[1]
শিক্ষা
ইন্দুমাধব হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল রাধাগোবিন্দ মল্লিক। তাদের আদি বাড়ি ছিল বর্ধমান জেলার শ্রীখণ্ড গ্রামে।[2] বঙ্গবাসী কলেজ থেকে তিনিই প্রথম বটানি তে এম এ পাশ করেন ১৮৯৮ সালে। এরপর ১৮৯১ সালে দর্শনশাস্ত্রে, ১৮৯২ এ পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় এম এ পাশ করেন। ১৮৯৪ সালে আইনে স্নাতক হন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এম ডি পাশ করেন।[3]
কৃতিত্ব
চিকিৎসক হিসেবে তার বিশেষ খ্যাতি ছিল। অটোভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতি ভারতে প্রথম চালু করায় অগ্রনী ছিলেন ইন্দুমাধব। জনসাধারনকে স্বাস্থ্যবিধি, পরিচ্ছন্নতা, আহার্য বিধি ইত্যাদিতে শিক্ষিত করে তোলার কাজে তার প্রয়াস ছিল। ইন্দুমাধব ১৮৯৭ থেকে ১৯০০ সাল অবধি কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে লজিক, পদার্থবিদ্যা, দর্শন ও রসায়নের অধ্যাপনা করেছেন। সমাজ সংস্কারে উৎসাহী ছিলেন। তার অন্যতম বিখ্যাত কাজ ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ইকমিক কুকারের উদ্ভাবন।[3][4] নানা রকম মূল্যবান পান্ডুলিপি সংগ্রহ করতেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। বাঙালী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত দেওঘরে বোমা পরীক্ষায় আহত হলে গোপনে তার চিকিৎসা করেন তিনি। বিদেশের বহু স্থান ভ্রমণ করেন ও দুটি ভ্রমণ কাহিনীও রচনা করেছিলেন তিনি। তার বই দুটির নাম চীন ভ্রমণ ও বিলাত ভ্রমণ।[3][5]
মৃত্যু
৮ মে, ১৯১৭ সালে ইন্দুমাধব মল্লিকের মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
- "রঞ্জিত মল্লিকের জীবন কাহিনী"। ৯ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পুজোয় সাবেকিয়ানা আর আভিজাত্যের মেলবন্ধন"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু, প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৬১।
- "পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড)"। উইকিসংকলন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭"। উইকিসংকলন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।