আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ - ১৯ মার্চ, ২০০১)[1] বাংলাদেশের গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের একজন মৌলিক কবি। তার পুরো নাম আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান। তার দুটি দীর্ঘ কবিতা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' এবং 'বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা' আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারে অভূতপূর্ব সংযোজন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা। ১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
জন্মআবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান
বাবুগঞ্জ, বরিশাল জেলা, বাংলাদেশ
মৃত্যু১৯ মার্চ, ২০০১
পেশাকবি ও প্রাবন্ধিক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
ধরনকবিতা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি, একুশে পদক পুরস্কার

জন্ম ও শিক্ষা

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বরিশাল এর বাবুগঞ্জের বাহেরচর এর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল জব্বার খান পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ হতে এম.এ. পাস করেন।

পেশা জীবন

১৯৫৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ইংরেজিতে মাস্টার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে অধ্যাপনা পেশা ছেড়ে তিনি যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। ১৯৮২ সালে তিনি সচিব হিসেবে অবসর নেন এবং মন্ত্রীসভায় যোগ দেন। কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৮৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থায়। ১৯৯৭ সালে তিনি একই সংস্থা থেকে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকায় ফিরে একটি বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবেও বেশ কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাহিত্যে অবদান

কাব্যের আঙ্গিক গঠনে এবং শব্দ যোজনার বিশিষ্ট কৌশল তার স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত করে। তিনি লোকজ ঐতিহ্যের ব্যবহার করে ছড়ার আঙ্গিকে কবিতা লিখেছেন। প্রকৃতির রূপ ও রঙের বিচিত্রিত ছবিগুলো তার কবিতাকে মাধুর্যমণ্ডিত করেছে।[2] তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো : কবিতা,

  • সাতনরী হার (১৯৫৫),
  • কখনো রং কখনো সুর (১৯৭০),
  • কমলের চোখ (১৯৭৪),
  • আমি কিংবদন্তির কথা বলছি (১৯৮১),
  • সহিষ্ণু প্রতীক্ষা (১৯৮২),
  • প্রেমের কবিতা (১৯৮২),
  • বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা (১৯৮৩),
  • আমার সময় (১৯৮৭),
  • নির্বাচিত কবিতা (১৯৯১),
  • আমার সকল কথা (১৯৯৩),
  • মসৃণ কৃষ্ণ গোলাপ প্রভৃতি।

পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "দ্য নিউনেশন" ওয়েব পৃষ্ঠা
  2. "Discussion on poet Abu Zafar Obaidullah"। ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০০৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.