অশোক বড়ুয়া
অশোক বড়ুয়া (জন্ম: ১৩ নভেম্বর, ১৯২১ - মৃত্যু: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮) ছিলেন বাঙালি লেখক। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হাইদচকিয়া গ্রামে অশোক বড়ুয়ার জন্ম। কবিতা, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ ও গান রচনা করে সুনাম অর্জন করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে মান্স কবি, চন্দ্রগোমী ইত্যাদি।[1]
অশোক বড়ুয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৩ নভেম্বর, ১৯২১ |
মৃত্যু | ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত পাকিস্তান |
পরিচিতির কারণ | লেখক |
শিক্ষা ও কর্মজীবন
অশোক বড়ুয়া ১৯৩৯ সালে ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন[2] কিন্তু ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযোদ্ধ শুরু হলে তিনি ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর অধীনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চিকিৎসা দলের সাথে কাজ করেন। যুদ্ধের পর সেখান থেকে কলকাতার একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং সেখানে আগমনের পর সেখানকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আয়কর হিসেবের খাতা লেখার কাজ করতেন।[3][4] পরবর্তিতে তিনি ‘বৌদ্ধ সংস্কৃতি সঙ্ঘ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ও এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অবিভক্ত পাকিস্তানের 'পাকিস্তান বৌদ্ধ সমিতি'র সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।[3]
সাহিত্যকর্ম
চট্টগ্রামে অবস্থানকালীন অশোক ‘পারমিতা’ এবং 'বিশ্বমৈত্রী’ নামক অঞ্চলিক সাময়িক পত্র সম্পাদনা করতেন এবং মূলত সেসময় থেকেই লেখালেখি শুরু করেছিলেন। তিনি মূলত সাময়িকীর জন্য বিভিন্ন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও গান রচনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো মানস কবি ও চন্দ্রগোমী প্রভৃতি।[3]
তথ্যসূত্র
- বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম।
- "স্যার আশুতোষ কলেজ; প্রতিষ্ঠাতা এবং অতীত দিনের কিছু কথা"। ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫০
- অশোক বড়ুয়া (১৯৯০), সুব্রত বড়ুয়া।