লিওনেল ট্যাপস্কট

লিওনেল এরিক ডুডলস ট্যাপস্কট (ইংরেজি: Lionel Tapscott; জন্ম: ১৮ মার্চ, ১৮৯৪ - মৃত্যু: ৭ জুলাই, ১৯৩৪) কেপ প্রদেশের কিম্বার্লীতে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

লিওনেল ট্যাপস্কট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলিওনেল এরিক ট্যাপস্কট
জন্ম১৮ মার্চ, ১৮৯৪
কিম্বার্লী, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু৭ জুলাই, ১৯৩৪
কেনিলওর্থ, কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামডুডলস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কজর্জ ট্যাপস্কট, এনভি ট্যাপস্কট, সিডনি ট্যাপস্কট, নরম্যান ফন লিলিয়েনস্টেইন ট্যাপস্কট, সিসিল লিয়েন্ডার ট্যাপস্কট (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০৮)
৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯
রানের সংখ্যা ৫৮ ১৭৫৯
ব্যাটিং গড় ২৯.০০ ২৬.২৫
১০০/৫০ ০/১ ২/১০
সর্বোচ্চ রান ৫০* ১০২
বল করেছে ১২ ১৫০২
উইকেট - ৩৪
বোলিং গড় - ২৩.৯১
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৬/৩৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ১৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘ডুডলস’ ডাকনামে পরিচিত লিওনেল ট্যাপস্কট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

এলজি, এনভি ও এলই - এ তিন ট্যাপস্কট ভ্রাতা সকলেই প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, জর্জ ট্যাপস্কট দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, তার বোন বিলি ট্যাপস্কট উইম্বলেডন ও ফেঞ্চ চ্যাম্পিয়নশীপে কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন।

লন টেনিস ও ক্রিকেট - উভয় খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার গৌরব অর্জন করেছেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি টেনিস খেলায়ও দক্ষ ছিলেন। ১৯১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষে পুরুষ এককে খেলেছিলেন। তবে, বোহেমীয় ল্যাডিস্লাভ জেমলা-রাজনি’র কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেন।[1]

১৯১০-১১ মৌসুম থেকে ১৯২৮-২৯ মৌসুম পর্যন্ত লিওনেল ট্যাপস্কটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯১১ সালে প্রথমবারের মতো গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের পক্ষে খেলেন। কারি কাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিওনেল ট্যাপস্কট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ট্যাপস্কট।[2] ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ তারিখে ডারবানে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ সালে জোহেন্সবার্গ টেস্টে অপরাজিত ৫০ রান তুলেছিলেন তিনি।

১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্যে তাকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। ৭ জুলাই, ১৯৩৪ তারিখে মাত্র ৪০ বছর বয়সে কেপটাউনের কেনিলওর্থ এলাকায় লিওনেল ট্যাপস্কটের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. "Lionel Tapscott Olympic Results"sports-reference.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪
  2. "Lionel Tapscott"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১৫

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.