হাবিবউল্লাহ খান

হাবিবউল্লাহ খান (৩ জুন ১৮৭২ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯) ছিলেন আফগানিস্তানের আমির। ১৯০১ থেকে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি আমির ছিলেন। তিনি উজবেকিস্তানের সমরকন্দে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ছিলেন তার পিতা আমির আমির আবদুর রহমান খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র।

হাবিবউল্লাহ খান
আফগানিস্তান আমির
রাজত্বকাল	১ অক্টোবর ১৯০১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯
জন্ম	৩ জুন ১৮৭২
জন্মস্থান	সমরকন্দ, উজবেকিস্তান[1][2]
মৃত্যু	২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯(1919-02-20) (বয়স ৪৬)
মৃত্যুস্থান	কালাগুশ, আফগানিস্তান
পূর্বসূরি	আবদুর রহমান খান
উত্তরসূরি	নাসরুল্লাহ খান
দাম্পত্যসঙ্গীরা	সারওয়ার সুলতানা বেগম মেহরি বেগম-জান মাইমুনা গুলচারা
পিতা	আবদুর রহমান খান
মাতা	আসাল বেগম

আফগানিস্তানের ইতিহাস
Timeline
Ancient সিন্ধু সভ্যতা 2200–1800 BC Oxus civilization 2100–1800 BC Aryans 1700–700 BC Medes 728–550 BC হাখমানেশী 550–330 BC Seleucids 330–150 BC মৌর্য 305–180 BC Greco-Bactrians 256–125 BC Indo-Greeks 180–130 BC Indo-Scythians (Sakas) 155–80? BC Indo-Parthians 20 BC – 50? AD কুষাণ 135 BC – 248 AD সাসানীয় সাম্রাজ্য 230–651 Kidarites 320–465 Hephthalites 410–557
Medieval Kabul Shahi 565–879 Principality of Chaghaniyan 7th–8th centuries রাশিদুন ৬৫২–৬৬১ উমাইয়া ৬৬১-৭৫০ আব্বাসীয় ৭৫০–৮২১ Tahirids 821–873 Saffarids 863–900 Samanids 875–999 গজনভি রাজবংশ ৯৬৩–১১৮৭ ঘুরি ৮৭৯এর পূর্ব - ১২১৫ খোয়ারিজমীয় ১২১৫–১২৩১ Ilkhanate 1258–1353 Chagatai Khanate 1225–1370 খিলজি ১২৯০–১৩২০ Karts 1245–1381 Timurids 1370–1506 Arghuns 1479–1522 মুঘল 1501–1738 সাফাভি ১৫১০–১৭০৯
Modern Hotaki Empire 1709–1738 দুররানি সাম্রাজ্য 1747–1826 Emirate of Afghanistan 1826–1919 Kingdom of Afghanistan 1919–1973 Republic of Afghanistan 1973–1978 Democratic Republic of Afghanistan 1978–1992 Islamic State of Afghanistan 1992–2001 Islamic Emirate of Afghanistan 1996–2001 Interim/Transitional Administration 2001–2004 Islamic Republic of Afghanistan since 2004
Book Category Portal

হাবিবউল্লাহ খান আফগানিস্তানকে আধুনিক করতে চেয়েছিলেন। তিনি আফগানিস্তানে আধুনিক চিকিৎসা ও প্রযুক্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা চালান। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে হাবিবউল্লাহ খান হাবিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি সামরিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশে তিনি সংস্কার কার্যক্রম চালান। তিনি আইন ব্যবস্থার সংস্কার করেন এবং অনেক কঠোর শাস্তির প্রথা বন্ধ করেন। তবে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা আবদুল লতিফকে ধর্মত্যাগের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তাকে কাবুলে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। অন্যান্য সংস্কারের মধ্যে ছিল দমনমূলক অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ব্যবস্থা ভেঙে দেয়া।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় ও জার্মান পক্ষ আফগানিস্তানকে নিজেদের দলে আনার প্রচেষ্টা চালালেও তিনি আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থায় রাখতে সক্ষম হন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের সাথে উত্তেজনা কমিয়ে আনেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এ জন্য মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি সফরে যান।

১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি লাগমান প্রদেশে শিকারের সময় হাবিবউল্লাহ খান নিহত হন।[3] তার ভাই নাসরুল্লাহ খান এরপর তার উত্তরসুরি হন। তিনি মাত্র একসপ্তাহ ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তিনি হাবিবউল্লাহ খানের তৃতীয় সন্তান আমানউল্লাহ খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী হন।[4]