আইয়ুবীয় রাজবংশ
আইয়ুবীয় সাম্রাজ্য (কুর্দি: دەوڵەتی ئەییووبی Dewleta Eyûbiyan; আরবি: الأيوبيون al-ʾAyyūbiyyūn) কুর্দি বংশোদ্ভূত মুসলিম সাম্রাজ্য।[2][3][4] সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবি এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং মিশর এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল। বার ও তের শতকে এই রাজবংশ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত। আইয়ুব ও শিরকুহ ভ্রাতৃদ্বয়ের অধীন আইয়ুবীয় পরিবার জেনগি রাজবংশের সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কাজ করত। নূর উদ্দিন জেনগির মৃত্যুর পর ১১৭৪ সালে সালাহউদ্দিন নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন।[5] পরবর্তী দশকে আইয়ুবীয়রা অত্র অঞ্চলে বিজয় অভিযান চালায়। ১১৮৩ সাল নাগাদ মিশর, সিরিয়া, উত্তর মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন ও আধুনিক তিউনিসিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকার উপকূল আইয়ুবীয় সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। ১১৮৭ সালে হাত্তিনের যুদ্ধের পর জেরুজালেম রাজ্যের অধিকাংশ ও জর্ডান নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা সালাহউদ্দিনের করায়ত্ত হয়। তবে ক্রুসেডাররা ১১৯০ এর দশলে ফিলিস্তিনী উপকূলের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় অধিকার করে।
আইয়ুবীয় সালতানাত | |||||
ایوبیان الأيوبيون | |||||
| |||||
| |||||
![]() আইয়ুবীয়ের অবস্থান ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর পর আইয়ুবীয় সালতানাত | |||||
রাজধানী | কায়রো (১১৭৪–১২৫০) আলেপ্পো (১২৫০–১২৬০) | ||||
ভাষাসমূহ | আরবিখ | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) | ||||
সরকার | সালতানাত | ||||
সুলতান | |||||
- | ১১৭৪–১১৯৩ | সালাহউদ্দিন (প্রথম) | |||
- | ১১৯৩–১১৯৮ | আল-আজিজ | |||
- | ১১৯৮–১২০০ | আল-মনসুর | |||
- | ১২০০–১২১৮ | প্রথম আল-আদিল | |||
- | ১২১৮–১২৩৮ | আল-কামিল | |||
- | ১২৩৮–১২৪০ | দ্বিতীয় আল-আদিল | |||
- | ১২৪০–১২৪৯ | আস-সালিহ আইয়ুব | |||
- | ১২৫০–১২৫৪ | আল-আশরাফ | |||
ইতিহাস | |||||
- | সংস্থাপিত | ১১৭১ | |||
- | ভাঙ্গিয়া দেত্তয়া হয়েছে | ১২৬০ক | |||
আয়তন | |||||
- | ১১৯০ est.[1] | ২০,০০,০০০ বর্গ কি.মি. (৭,৭২,২০৪ বর্গ মাইল) | |||
জনসংখ্যা | |||||
• | ১২শ শতাব্দী আনুমানিক | ৭২,০০,০০০ | |||
মুদ্রা | দিনার | ||||
বর্তমানে অংশ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() | ||||
ক ১৬শ শতাব্দীর পূর্বে আইয়ুবি সাম্রাজ্যের একটি অংশ হিসন কাইফা অঞ্চল শাসন করেছে। খ আইয়ুবি শাসকদের ভাষাসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচে ধর্ম, ভাষা এবং জাতিতত্ত্ব অনুচ্ছেদ দেখুন। গআইয়ুবি সাম্রাজ্যের পূর্ণ অঞ্চলের জনসংখ্যা অজ্ঞাত। এই জনসংখ্যার হিসাবে শুধুমাত্র মিশর, সিরিয়া, উত্তর ইরাক, ফিলিস্তিন আর পূর্ব জর্ডান অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য আইয়ুবি সাম্রাজ্যের অঞ্চল ইয়েমেন, হিজায, নুবিয়া এবং পূর্ব লিবিয়া অন্তর্ভুক্ত নয়। | |||||
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয় |
মিশরের ইতিহাস | ||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ | ||||||||||||||||||||
![]() | ||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
|
||||||||||||||||||||
![]() | ||||||||||||||||||||
তথ্যসূত্র
- Turchin, Adams এবং Hall 2006, পৃ. 223
- name="IranicaAyyubids"
- Özoğlu, Hakan, Kurdish notables and the Ottoman state, (State University of New York, 2004), 46; "The next Islamic dynasty of Kurdish origin was the Ayyubids...".
- C.E. Bosworth, The New Islamic Dynasties, (Columbia University Press, 1996), 73.
- Eiselen, Frederick Carl, Sidon: A Study in Oriental History, (New York, 1907), 89.