ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ বাংলাদেশের শেরপুর জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ। মুঘল আমলে স্থাপিত এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ঘাঘড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ। ১৯৯৯ সালে মসজিদটির রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | শেরপুর জেলা |
উৎসব | ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা |
প্রভুত্ব | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
অবস্থান | |
অবস্থান | ঝিনাইগাতী উপজেলা, শেরপুর জেলা, বাংলাদেশ |
দেশ | ![]() |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | মুঘল স্থাপত্য |
প্রতিষ্ঠাতা | আজিমোল্লাহ খান |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৬০৮ সাল |
নির্দিষ্টকরণ | |
ধারণ ক্ষমতা | ৩১ জন |
দৈর্ঘ্য | ৩০ ফুট |
প্রস্থ | ৩০ ফুট |
স্থানের এলাকা | ৫৮ শতাংশ |
ইতিহাস
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ মুঘল আমলে নির্মিত হয়। মসজিদের দরজায় কষ্টি পাথরে খোদাই করা আরবি ভাষায় নির্মাণকাল দেওয়া আছে হিজরী ১০২৮ সাল বা ইংরেজি ১৬০৮ সাল। মসজিদের গাঁয়ের নিদর্শন থেকে ধারণা করা হয় মসজিদটি বক্সার বিদ্রোহী হিরঙ্গী খানের সময়কালে নির্মাণ করা হয়েছিল। আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে অনুমান করা হয়।[1]
বিবরণ
মসজিদের ভিতরে দুটি সুদৃঢ় খিলান রয়েছে। মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট এবং এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩০ ফুট। মাঝখানে গম্বুজে ছোটবড় ১০টি মিনার রয়েছে। পূর্বদিকে একটি দরজা রয়েছে। ভিতরে মেহরাব ও দেয়ালে বিভিন্ন রঙের ও কারুকার্য করা ফুল ও ফুলদানি আঁকা আছে। মসজিদের দেয়ালের গাথুনী চুন ও সুরকি দিয়ে গাথা যার প্রস্ত ৪ ফুট। মসজিদের মোট জমি ৫৮ শতাংশ যা তৎকালীন খান বাড়ির লোকজন ও গ্রামের অনেকে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়ে গেছে। মসজিদের মূল ভবন ও বারান্দা ১৭ শতাংশ এবং বাকি ৪১ শতাংশ জায়গায় রয়েছে কবরস্থান।[2]
তথ্যসূত্র
- "কালের সাক্ষি মোঘল স্থাপত্য ঘাঘড়া খান বাড়ি মসজিদ"। আলোকিত শেরপুর। সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৬। ৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬।
- "ভঙ্গুর দশায় মুঘল স্থাপত্য ঘাঘড়া মসজিদ"। দৈনিক মানবকণ্ঠ। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |