স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের একটি অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র।[1] এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত একটি জাতীয় এবং এদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”।[2][3] ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে সমাজসেবা, সাহিত্য, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পল্লী উন্নয়ন, চিকিৎসাবিদ্যা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ক্রীড়া - এই আটটি ক্ষেত্রে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান প্রচলন করা হলেও পরবর্তিতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, জনপ্রশাসন এবং গবেষণা - এই আরও চারটি ক্ষেত্রকেও “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদানের অধিক্ষেত্র হিসাবে সংযুক্ত করা হয়।[1] এই পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারটি দেখাশোনা করে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।[4] মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্ধারিত পদক কমিটির পরামর্শে মনোনীত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করার পর এই পদক দেয়া হয়।[5] প্রতিবছর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক প্রদান প্রদান করা হয়।[4] বর্তমানে প্রত্যেক পুরস্কার প্রাপককে পুরস্কার হিসাবে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণে নির্মিত একটি পদক, পদকটির একটি রেপ্লিকা, ৩ লক্ষ টাকার একটি চেক এবং পুরস্কার প্রাপ্তির স্বীকৃতিসূচক একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়।[6][7] ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (মরণোত্তর), শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর), শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (মরণোত্তর), শহীদ এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান (মরণোত্তর), শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত (মরণোত্তর) এবং শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি (মরণোত্তর)'কে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[8]
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার | |
---|---|
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার | |
![]() স্বাধীনতা পুরস্কারের স্বর্ণ পদক | |
পুরষ্কারের কারণ | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেয়া হয়। |
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দেশ | ![]() |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশ |
স্বাগতিক | বাংলাদেশ সরকার |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৭ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১৭ |
ওয়েবসাইট | www |
তথ্যসূত্র
- "স্বাধীনতা, একুশে ও রোকেয়া পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। দৈনিক মানবজমিন। ৪ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "স্বাধীনতা পদক নিলেন মুহিত, গুণসহ ১৫ জন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "স্বাধীনতা পদক প্রদানের বিস্তারিত প্রক্রিয়া"। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ জুন ২০১৭। ২৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- "স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি"। দৈনিক যুগান্তর অনলাইন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭।
- "স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক সমকাল অনলাইন। ২৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭।
- "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)