সৈয়দা সাকিনা ইসলাম

সৈয়দা সাকিনা ইসলাম (৭ অক্টোবর ১৯২৮ - ২১ আগস্ট ২০০৮) ছিলেন দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তিনি ছিলেন বরিশাল মহিলা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা। সাকিনা ইসলাম আজাদহিন্দ ফৌজের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ছিলেন। [1]

সৈয়দা সাকিনা ইসলাম
জন্ম (1928-10-07) ৭ অক্টোবর ১৯২৮
বরিশাল
মৃত্যু২১ আগস্ট ২০০৮(2008-08-21) (বয়স ৭৯)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশারাজনীতি
পরিচিতির কারণসংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ
অফিসজাতীয় সংসদ
দাম্পত্য সঙ্গীফখরুল ইসলাম খান
সন্তানআমিরুল ইসলাম খান বুলবুল, শবনম ওয়াদুদ কেয়া ও সাগুফা খানম জোয়ারদার

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সৈয়দা সাকিনা ইসলামের জন্ম কলকাতায়। তিনি ছিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, ভারতীয় পার্লামেন্টের লোকসভার সদস্য সৈয়দ বদরুদ্দোজার জ্যৈষ্ঠ কন্যা। [2]। তার মায়ের নাম জয়নব বেগম। পরিবারের ১০ ভাই বোনের মধ্যে উনি ছিলেন সবার বড়। তিনি কলকাতা ভিক্টোরিয়া স্কুল ও লেডি ব্রাবন কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।

কর্মজীবন

সাকিনা ইসলাম দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালে বরিশাল ও ভোলা জেলা থেকে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বরিশাল, ঝালকাঠিপিরোজপুর থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বরিশাল পৌরসভার কমিশনার, কারাপরিদর্শক, বরিশাল জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন। সাকিনা ইসলাম জাতীয় মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভানেত্রী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থার বরিশাল জেলার সভানেত্রী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদিকা এবং বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার প্যানেলের প্রথম নারী সদস্য ছিলেন। ১৯৭৭ সালে বরিশাল পৌরসভার কমিশনার হিসেবে এশিয়ান মহিলা সম্মেলনে ম্যানিলা যাওয়ার সুযোগ পান এবং ১৯৭৮ সাথে মহিলা মন্ত্রণালয় দ্বারা মনোনীত হয়ে ওয়ার্ল্ড উইমেন্স ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে লুসাকায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ কনফারেন্স এ যোগ দেন।

ব্যক্তিগত জীবন

তার স্বামী ফখরুল ইসলাম খান ছিলেন সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, নাট্যকার, প্রযোজক ও পরিচালক। এ দম্পতির এক ছেলে আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল এবং দুই কন্যা শবনম ওয়াদুদ কেয়া ও সাগুফা খানম জোয়ারদার। তিনি ছিলেন খান বাহাদুর হাশেম আলীর পুত্রবধু। [3]

তথ্যসূত্র

  1. Ittefaq, The Daily। "মৃত্যুবার্ষিকী :: দৈনিক ইত্তেফাক"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৪
  2. হাশেম আলী খান (দ্বিতীয় সংস্করণ)। ভাস্কর প্রকাশনী, সিরাজ উদদীন আহমেদ। ৩০ নভেম্বর ২০০৫। পৃষ্ঠা ১৯৭। আইএসবিএন 984-32-2822-7।
  3. "ওয়াহেদুল ইসলাম খান (আকিব) এর ১৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী"tigernewsbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.