সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক

সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক হল সিরাজগঞ্জ শহর হতে বেলকুচি হয়ে এনায়েতপুর সংযোগ করে শাহজাদপুর চলে যাওয়া সড়ক।[1] এই সড়কটি বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালি, শাহজাদপুর সহ পাবনার বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের সিরাজগঞ্জে সহ দেশের সকল জেলায় যাতায়েতের প্রধান সড়ক। এই সড়কটিতে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, বেবীটেক্সী, অটোরিকশা, ভ্যন ইত্যাদি ফিটনেস ও ফিটনেস বিহিন গাড়ি চলাচল করায় প্রায় সময় ঘটে যায় দূর্ঘটনা। প্রায় ২০ কিলোমিটার এই সড়কটিতে ভারী যান ও ধীর গতির হালকা যানবাহন চলাচল কারার জন্য দুই লাইন করার কাজ হাতে নিলেও এখনও তা শেষ হয়নি। এটা সয়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গেছে।[2][3][4]

সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক
সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কের বেলকুচি বাস স্টেশন এলাকার ছবি
পথের তথ্য
বিদ্যমান:পাকিস্থান সরকার আমল – বর্তমান
প্রধান সংযোগস্থল
সয়দাবাদ প্রান্ত:কড্ডার মোড়, (ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক)
 সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, এনায়েতপুর চৌহালি
পাচিল প্রান্ত:পাচিল (এনায়েতপুর)

ইতিহাস

সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কটি মুলত পাকিস্তান সরকারের আমলে বেলকুচি এনায়েতপুর অন্চলকে যমুনা নদীর ভাংঙ্গা থেকে বাচানোর জন্য একটি বড় বাধ নির্মাণ করা হয়েছিলো । পরবর্তীতে এই বাধটিকে এলাকার মানুষের সিরাজগঞ্জে যাওয়া আসার জন্য ব্যবহার করতে শুরু করে, এভাবেই এই বাধটি একসময় রাস্তার অপরিনত হয়,এই সড়কটিকে এলাকার মানুষ 'অব্দা নামে চিনে।

রাস্তার বিবরণ

সয়দাবাদ থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত পুরো ১৯ কিলোমিটার জুড়ে গর্ত আর ভাঙা-চোড়া। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কে বিটুমিন কার্পেটিং পাথর উঠে যাওয়ায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি একই সড়কের পাশ দিয়ে নির্মিত বাইলেন সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। এর ফলে বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী থানার প্রায় ১২ লাখ মানুষ যাত্রা পথে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। [5][6][7]

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা

সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর রোডে যে সমস্থ গুরুপ্ত পূর্ণ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো হলো  :

  • সোহাগপুর এস পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,
  • হযরত শাহ সুফি খাজা বাবা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী(রঃ) এর রওজা মোবারক।
  • আলহাজ্জ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়
  • বেলকুচি কলেজ
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ
  • বেলকুচি বহুমুখী মহিলা ডিগ্রি কলেজ
  • এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,
  • বেতিল উচ্চ বিদ্যালয়,
  • খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজ,
  • বেতিল নুরানিয়া মাদরাসা,
  • যমুনা ডিগ্রি কলেজসহ প্রায় ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। [8]

সীমারেখা

সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ মোড় থেকে বেলকুচি, এনায়েতপুর হয়ে পাচিল পর্যন্ত এই সড়ক বিস্তৃত।

দূর্ঘটনা

  • সিরাজগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল ছাত্রীসহ দুজন নিহত।
  • রাস্তা পার হওয়ার সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বাসের ধাক্কায় পাঁচ বছরের এক শিশু ও তার বড় বোন নিহত হয়েছে। [9]
  • সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত ১ যুবক নিহত হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার বেলা ১১টার সময় বেলকুচি উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকায় চলন্ত একটি সিএনজি গাড়ীর সামনের চাকা খুলে যাওয়ায় এই দূর্ঘনা ঘটে। এতে গাড়ীর সামনের সিটে বসে থাকা এক যাত্রী অজ্ঞাত(২৫) যুবক ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এবং নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
  • ৬ আগস্ট রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কে এনায়েতপুরে বাসচাপায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। [10]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.