সাকা হাফং
ত্ল্যাং ময় (বম: সুন্দর চূড়া), মোদক টং বাংলাদেশের একটি পাহাড়চূঁড়া। চূঁড়াটিকে অনেক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)।[1] বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে চূড়াটি অবস্থিত।
সাকা হাফং/ত্ল্যাং ময় মোদক মুয়াল | |
---|---|
![]() সাকা হাফং | |
সর্বোচ্চ সীমা | |
উচ্চতা | ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট) |
সুপ্রত্যক্ষতা | |
বিচ্ছিন্নতা | |
তালিকাসমূহ | দেশের সর্বোচ্চ বিন্দু |
ভূগোল | |
![]() ![]() সাকা হাফং/ত্ল্যাং ময় মোদক মুয়াল বাংলাদেশে অবস্থান (মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন) | |
অবস্থান | থানচি, বান্দরবান |
প্রদেশ | BD |
মূল পরিসীমা | মোদক রেঞ্জ |
ভূতত্ত্ব | |
পর্বতের ধরন | পর্বত |
আনুষ্ঠানিকভাবে ত্লাংময়কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।[2][3] কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায়, সম্ভবত এর চেয়ে বেশি উচ্চতার আর কোন চূড়া বাংলাদেশে নেই।[4][5] চূড়াটি ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম আরোহন করেন ইংরেজ পর্বতারোহী জিং ফুলেন। সেসময় তিনি চূঁড়াটির উচ্চতা নির্ণয় করেন ১,০৬৪ মিটার আর অবস্থান দেখান 21°47′11″উ. 92°36′36″পূ. / 21.78639°উ. 92.61°পূ.।[6] তার দেখানো এ অবস্থান রাশিয়া নির্মিত ভৌগোলিক মানচিত্রে এর অবস্থানের সাথে হুবহু মিলে যায়।[7] ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী দল ত্লাংময় আরোহন করেন। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সেই দলে ছিলেন দেশের এভারেস্ট আরোহনকারী পর্বতারোহী সজল খালেদ। মূলত সেই সময় থেকে পরিচিত হয়ে উঠে ত্লাংময় নামটি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে দুটি অভিযাত্রিক দল সাকা হাফং-এর উচ্চতা নির্ণয় করেন ৩,৪৮৮ ও ৩,৪৬১ ফুট।[8] বাংলাদেশের স্বীকৃত সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডঙের (৩,১৭২ ফুট) চেয়ে এর উচ্চতার সকল পাঠই অনেক বেশি।
তথ্যসূত্র
- Country-wise highest points, HighPoint.com
- "Chowdhury, M. H., Physiography, BANGLAPEDIA: National Encyclopedia of Bangladesh"। ৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- "CIA - The World Factbook"। ৩০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- Mowdok Mual, Bangladesh
- Geological Map of Bangladesh in PDF format by USGS
- "Ginge Fullen.com .:.Peaks Climbed::"। ২৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- "Relevant section of the Topographic Map"। ১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- 'Second highest hill' spotted by 4 youths, The Daily Star, Monday, February 28, 2011