শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ (২০০২-এর চলচ্চিত্র)

শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ ২০০২ সালে ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[1] ছবিটি পরিচালনা করছেন দিলীপ বিশ্বাস তনয় দেবাশীষ বিশ্বাস এবং এটিই তার পরিচালিত প্রথম ছবি।[2] এর আগে তিনি পথের প্যাঁচালী নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্হাপনা করেছিলেন। সম্পূর্ণ পারিবারিক গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবির উল্লেখযোগ্য চরিত্র গুলোতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, শাবনূর, সোনিয়া, নবাগত রাহুল, বুলবুল আহমেদ, রিনা খান, প্রবির মিত্র, ডলি জুহর, মিশা সওদাগর, এটিএম শামসুজ্জামান

শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ
ডিভিডি কভার
পরিচালকদেবাশীষ বিশ্বাস
প্রযোজকগায়ত্রী বিশ্লাস
রচয়িতাদিলীপ বিশ্বাস
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইমন সাহা
চিত্রগ্রাহকআবুল খায়ের
সম্পাদকআমিনুল ইসলাম মিন্টু
পরিবেশকগীতি চিত্রকথা
মুক্তি২০০২
দৈর্ঘ্য১৪৭ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ

মিসেস “দিলরুবা চৌধুরী” (রিনা খান) ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে আলিশান বাড়ি ও চৌধুরী এন্ড কোম্পনী নামে বিরাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন। স্বভাবে তিনি রাগী, বদমেজাজী। অফিস ও বাড়ীতে নিজের মনগড়া নিয়মে সবাইকে চলতে বাধ্য করেন। তার স্বামী “আরমান চৌধুরী” (বুলবুল আহমেদ) বিশিষ্ট ভদ্রলোক। কলিজার জোর কম থাকায় স্ত্রীর ইচ্ছে মত তাকে চলতে হয়। বড় মেয়ে “প্রেমা চৌধুরী” (শাবনূর) স্বভাবে নম্র ভদ্র, অনেকটা বাবার মত। আর ছোট মেয়ে “রিয়া চৌধুরী” (সোনিয়া) অবিকল মায়ের মত। আধুনিকতার নামে নগ্নতা- অসভ্যতা তার স্বভাব। এছাড়াও এ পরিবারের হেড বাবুর্চী- “হেকমত আলী মুন্সী ওরফে হেকমী” (এটিএম শামসুজ্জামান) দিলরুবা চৌধুরীর খাস চামচা, যিনি দিলরুবা চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতার মদত যোগান। মিসেস দিলরুবা চৌধুরীর বিজনেস পার্টনার “মিঃ মজুমদার” (অমল বোস) এর প্রচুর অর্থ থাকায় তার আধপাগল একমাত্র ছেলে ইমনের সাথে প্রেমার বিয়ে ঠিক করে। প্রতিবাদ করতে না পেরে আরমান চৌধুরী প্রেমাকে পলাশপুরে বন্দু “রাজিব খন্দকার” (প্রবির মিত্র) এর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। রাজিব খন্দকার নিঃ সন্তান থাকায় মটর মেকানিক “বাঁধন”কে (রিয়াজ) ছোটবলা থেকেই সন্তান স্নেহে বড় করেছেন। একসময় বাঁধন ও প্রেমা দুজন দুজনার কাছে চলে আসে। আরমান চৌধুরী ওদের ভালবাসা পরখ করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু দিলরুবা চৌধুরী এ বিয়েটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। সা বাঁধনকে চরম অপমান করে। আরমান চৌধুরী প্রেমার স্বামী হিসেবে বাঁধনকে শ্বশুর বাড়ীতে তার অধিকার আদায়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। শ্বশুর বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য শুরু হয় বাঁধনের সংগ্রাম। এদিকে দিলরুবা চৌধুরী বাঁধনকে চিরতরে বাড়ী থেকে তাড়াবার জন্য স্বচেষ্ট হন। ফন্দি আঁটেন ১৪ লক্ষ টাকার একটি নেকলেস চুরীর অপরাধে বাঁধনকে চোর সাজাবার। বাঁধনের বুদ্ধিম্ত্তায় তার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। চুরীর অপরাধে তার খাস চামচা হেকমী ফেঁসে যায়। তখন বাঁধন এই নাটকীয় ঘটনার রহস্যসহ দিলরুবা চৌধুরীর পুরো অতীত ইতিহাস সবার সামনে তুলে ধরে। তার সাথে যোগ দেন আরমান চৌধুরী। স্ত্রীর উপর সারা জীবনের জমানো ক্রোধ এর জ্বালা তিনি সবাইকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হন। দিলরুবা চৌধুরী নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং নিজের কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আর এতেই সবার মিলনে গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে।

শ্রেষ্ঠাংশে

সংগীত

শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ ছবির সংগীত রচনা করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সংগীত পরিচালনা করেন ইমন সাহা

গানের তালিকা

ট্র্যাকগানকণ্ঠশিল্পীনোটপর্দায়
আমার ভালবাসার গাড়ির ইঞ্জিন চালু হলো অ্যান্ড্রু কিশোর রিয়াজ
আমি ছিলাম একা তোমার সাথে হলো দেখা উদিত নারায়ন ও রিয়াজশাবনূর
তোনার আমার বিয়ের কথা রাখব না গোপন অ্যান্ড্রু কিশোরসামিনা চৌধুরী শিরোনাম গান রিয়াজশাবনূর
শ্বশুরবাড়ী আইসা আমার আসা পূরাইছে মনির খান মিক্সড গান রিয়াজ

তথ্যসূত্র

  1. দেবাশীষ বিশ্বাসের নতুন ছবিতে জুটি হচ্ছেন ইমন-শখ শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ ২০০২ সালে
  2. স্মৃতিময় বুলবুল আহমেদ : কাছের মানুষ ও সহকর্মীদের অনুভূতি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে আমার জীবনের প্রথম শটের প্রথম অভিনেতা : দেবাশীষ বিশ্বাস

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.