শামুকখোল
শামুকখোল সারসজাতীয় পাখি। পৃথিবীতে দুই প্রজাতির শামুকখোল রয়েছে:
- এশীয় শামুকখোল (A. oscitans), সাদা বর্ণের পাখি, পিঠ ও ডানার অংশ কালো। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থায়ী পাখি।
- আফ্রিকান শামুকখোল (A. lamelligerus), সম্পূর্ণ কালো বর্ণের। আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চলের স্থায়ী পাখি।
শামুকখোল | |
---|---|
এশীয় শামুকখোল (Anastomus oscitans) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Ciconiiformes |
পরিবার: | Ciconiidae |
গণ: | Anastomus Bonnaterre, 1791 |
Species | |
|
এ প্রজাতি দু'টি নিয়ে Anastomus (অ্যানাস্টোমাস) গণের সৃষ্টি। গণটি Ciconiidae (সিকোনিডাই) গোত্রের অন্তর্গত ছয়টি গণের একটি।
বিবরণ

আফ্রিকান শামুকখোল, সান দিয়েগো চিড়িয়াখানা, যুক্তরাষ্ট্র
এরা বড় আকারের জলচর পাখি। ঠোঁট বড় ও পাশ থেকে খানিকটা চাপা। ঠোঁটের নিচের পাটি উপরের দিকে বাঁকানো। ফলে দুই ঠোঁটের মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মুখ, থুতনি ও গলায় পালক থাকে না।[1] আফ্রিকান শামুকখোলের উপরের ঠোঁটের ভেতরে প্লেটের মত গঠন থাকে যাকে ল্যামেলাই বলে। এশীয় শামুকখোলে ল্যামেলাই থাকে না।[2][3] এরা প্রধানত পানিকাটা স্বভাবের।
তথ্যসূত্র
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩০২। আইএসবিএন 9843000002860
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - Beddard, F. E. (১৯০১)। "Some Notes upon the Anatomy and Systematic Position of the Ciconiine Genus Anastomus"। Proceedings of the Zoological Society of London। 70: 365–371। doi:10.1111/j.1469-7998.1901.tb08551.x।
- Kahl, MP (১৯৭১)। "Food and feeding behavior of Openbill Storks"। Journal of Ornithology। 112 (1): 21–35। doi:10.1007/BF01644077।
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে শামুকখোল সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.