শামসুল ইসলাম
আ. ন. ম. শামসুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবীদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[1] তিনি চট্টগ্রাম-১৪ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসন থেকে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[2]
সাবেক সংসদ সদস্য আ. ন. ম শামসুল ইসলাম | |
---|---|
পূর্বসূরী | শাহজাহান চৌধুরী |
উত্তরসূরী | নজরুল ইসলাম চৌধুরী |
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম | ১ মার্চ ১৯৫৭
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
পিতামাতা | পিতা: মোহাম্মদ আলী মিঞা ও মাতা: হাফেজা আমিনা খাতুন |
পেশা | রাজনীতি |
ধর্ম | ইসলাম |
প্রারম্ভিক জীবন
শামসুল ইসলাম ১৯৫৭ সালের পহেলা মার্চ চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার বারদোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আলী মিঞা এবং মাতার নাম হাফেজা আমেনা খাতুন। মোহাম্মদ আলী মিঞা পেশায় একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তার মাতা আমেনা খাতুন ছিলেন ইসলামী গ্রন্থ আল-কুরআনের একজন হাফেজা।
রাজনৈতিক জীবন
শামসুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মনোনিত হন। ১৯৮১ সালের অক্টোবর হতে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হন। ০২ বছর সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮৭ সালের অক্টোবরে তিনি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৬-৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সহ-সভাপতি (ভি.পি.) পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
শামসুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে জামায়াতে ইসলামীর সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালের এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মনোনীত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হন। তিনি একই বছরে চট্টগ্রাম মহানগর চার দলীয় জোটের যুগ্ম আহবায়ক নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট আমলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সি.ডি.এ.)-র সদস্য মনোনীত হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীরের দায়ীত্ব শেষ করার পর ২০১৭ সালের ০১ জানুয়ারী আ.ন.ম. শামশুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর নিয়ুক্ত হন।
শামসুল ইসলাম ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনে তিনি বিএনপির প্রাথী হিসেবে মনোনীত হন[3]
তথ্যসূত্র
- "জামায়াতের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমীর আ.ন.ম শামসুল ইসলাম"। News Chamber 24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২।
- "মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্ত"। বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২।
- "কারাবান্দী শামশুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২।
- "জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম কারাগারে"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২।
- "জামায়াতে নেতা শামসুল কারাগারে"। www.banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১২।