রুদ্রপ্রয়াগ
রুদ্রপ্রয়াগ ভারতীয় রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার একটি শহর এবং পৌরসভা। রুদ্রপ্রয়াগ, আলকানন্দ নদীর পঞ্চ প্রয়াগের (পাঁচটি সঙ্গম) মধ্যে একটি। এখানে অলকানন্দা এবং মন্দাকিনী নদীর সঙ্গম হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ, রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে অবস্থান করে জিম করবেট মানুষখেকো রুদ্রপ্রয়াগের চিতাবাঘ শিকার করেছিলেন ও এ সংক্রান্ত গ্রন্থ লিখেছিলেন।

রুদ্রপ্রয়াগ | |
---|---|
শহরতলি | |
![]() রুদ্রপ্রয়াগে অলকানন্দা (নীচে, ডান দিক থেকে) এবং মন্দাকিনী নদীর (ওপরে, উত্তর থেকে প্রবাহিত) সঙ্গম। ১৭ই জুন ২০১৩ সালের আগে, মন্দাকিনীর উপরে একটি পায়ে চলা সেতু (ঝুলা) ছিল; এটি ২০১৩ উত্তরাখণ্ড বন্যায় ভেসে গেছে। ধাপের নীচে পাথরগুলি ছিল না; পরিবর্তে, সেখানে একটি পাটাতন ছিল দেখার জন্য এবং নারদ শিলা নামে একটি বড় শিলা ছিল। | |
ডাকনাম: আরপিজি | |
![]() ![]() রুদ্রপ্রয়াগ ![]() ![]() রুদ্রপ্রয়াগ | |
স্থানাঙ্ক: ৩০.২৮° উত্তর ৭৮.৯৮° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
জেলা | রুদ্রপ্রয়াগ |
উচ্চতা | ৮৯৫ মিটার (২৯৩৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৯,৩১৩ |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | হিন্দি, গাঢ়োয়ালি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ২৪৬১৭১ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে-১৩ |
ওয়েবসাইট | rudraprayag |
ভূগোল
রুদ্রপ্রয়াগ জেলা ৩০.২৮° উত্তর ৭৮.৯৮° পূর্ব অবস্থিত।[1] এর গড় উচ্চতা হল ৮৯৫ মিটার (২,৯৩৬ ফুট)।
২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ড বন্যায় অনেক নতুন ভবন এবং বিশেষত সঙ্গম অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। মন্দাকিনী নদীর উপরে একটি পায়ে চলা সেতু এবং নিচেরদিকে রায়তলিতে একটি ছয় কিলোমিটার সেতু বন্যার স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। সঙ্গম অঞ্চলের বিন্যাসটি উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে গেছে। কেদারনাথের দিকে যাওয়ার পথে মন্দাকিনী উপত্যকার পাশের রাস্তাটি বহু অংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রুদ্রপ্রয়াগ শহরের জনসংখ্যা ৯,৩১৩ জন, যার মধ্যে ৫,২৪০ জন পুরুষ এবং ৪,০৭৩ জন মহিলা। রুদ্রপ্রয়াগে প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৭৭৭, যেখানে রাজ্যে এই সংখ্যা ৯৬৩। শিশুদের মধ্যে উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রতি হাজার বালকের বিপরীতে ৮৯০ বালিকা আছে, যা রুদ্রপ্রয়াগে ৮০৩ এর কাছাকাছি। রুদ্রপ্রয়াগ শহরে সাক্ষরতার হার ৮৯.৪২%, রাজ্য গড় ৭৮.৮২%-এর চেয়ে বেশি। রুদ্রপ্রয়াগে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৯৩.৪৩% এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ৮৪.২৪%।[2]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিমান
নিকটতম বিমানবন্দর হল দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর, ১৮৩ কিমি (১১৪ মা) দূরে।
রেলপথ
নিকটতম রেলস্টেশনটি ঋষিকেশ। তবে, ঋষিকেশ একটি ছোট রেলস্টেশন, যা দ্রুত ট্রেনগুলির মাধ্যমে সংযুক্ত নয়। হরিদ্বার রেলওয়ে জংশন, যেটি ঋষিকেশ থেকে আরও ২৪ কি.মি. দূরে, ভারতের বেশিরভাগ প্রধান শহরের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত এবং তাই, এটি রেলপথে রুদ্রপ্রয়াগে পৌঁছোনোর নিকটতম স্টেশন।
সড়কপথ
জাতীয় রাজপথ এনএইচ ৫৮এর ওপর রুদ্রপ্রয়াগ অবস্থিত, যা ইন্দো-তিব্বত সীমান্তের কাছে উত্তরাখণ্ডে দিল্লিকে বদ্রীনাথ এবং মানা গিরিপথের সাথে সংযুক্ত করে। সুতরাং, নতুন দিল্লি থেকে হরিদ্বার এবং ঋষিকেশ হয়ে যে সমস্ত বাস এবং যানবাহন, গ্রীষ্ম মাসে তীর্থের মরসুমে, তীর্থযাত্রীদের নিয়ে বদ্রীনাথে যায়, যোশীমঠ এবং আরও উত্তরের রাস্তায় রুদ্রপ্রয়াগের মধ্য দিয়ে যায়। ঋষিকেশ হল, সড়কপথে রুদ্রপ্রয়াগে যাবার প্রাথমিক বিন্দু এবং ঋষিকেশ বাস স্টেশন থেকে রুদ্রপ্রয়াগ পর্যন্ত নিয়মিত বাস চলাচল করে। ঋষিকেশ থেকে দেবপ্রয়াগ এবং শ্রীনগর হয়ে সড়কপথে রুদ্রপ্রয়াগের দূরত্ব ১৪১ কিমি (৮৮ মা)।

আরো দেখুন
- রুদ্রপ্রয়াগ লেপার্ড
তথ্যসূত্র
- Falling Rain Genomics, Inc - Rudraprayag
- "Rudraprayag City Population Census 2011 - Uttarakhand"। www.census2011.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।