মেলান্দহ সরকারি কলেজ

মেলান্দহ সরকারি কলেজ ব্রহ্মপুত্র নদ অধ্যষিত জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ[2] এই কলেজটি মেলান্দহ কলেজ নামে পরিচিত।[3] আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। কলেজ রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত ফলে কলেজটি উপজেলার অন্যতম কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে ।

মেলান্দহ সরকারি কলেজ
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯৭২
অধ্যক্ষঅধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম
ঠিকানা
আদিপৈত
, ,
শিক্ষাঙ্গনগ্রামে
সংক্ষিপ্ত নাম"মে.স.ক"
অধিভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ
ওয়েবসাইটwww.mgc.gov.bd

ইতিহাস

১৯৭২সাল সদা স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে স্বপ্নভরা চোখে এলাকার একদল স্বপ্নের কারিগর দেশ পুনঃগঠনে আত্মনিয়োগ করেছেন। গভীর দেশপ্রেম থেকে তারা অনুভব করেন সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এ দেশের সার্বিক উন্নয়নে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই। তৎকালিন সময়ে অত্র অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার কোন সুযোগ ছিল না। স্বপ্রণোদিত আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ছুটতে হতো দূরবর্তী শহর জামালপুর অথবা ময়মনসিংহে, ফলে স্বাদ ও সাধ্যের দোটানায় অনেকরই উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন অধুরা থেকে যেত। এমতবস্থায় এলাকার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের এক মহান ব্রত নিয়ে ১৯৭২ সালে নাংলা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান জনহিতৈষী কর্মযোগী মোঃ আব্দুল হাই বাচ্চু মিঞার উদ্যোগে “মেলান্দহ মহাবিদ্যালয় ” নাম দিয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। বিশাল স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়া আর পাঁচটা মহৎ প্রতিষ্ঠানের মতই এ মহাবিদ্যালয়েরও শুরুটা ছিল ছোট এবং সাদামাটা। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় নিকটস্থ মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরের গুটিকতক কক্ষের সমন্বয়ে শুরু হয় এ কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে হাল ধরেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব রবিউল করিম আল-কাদরী। এভাবেই সৃষ্টির পর স্কুল ক্যাম্পাস শেয়ার করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাড় করে তার সার্থক ৪টি বছর। কিছুদিন পর আর্থিক সংকট, আবার এগিয়ে আসেন সমাজহিতৈষীরা। এবার সহযোগিতার হাত বাড়ান নয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব জনাম এম. এ গফুর। গফুর সাহেবের প্রচেষ্টায় এ কলেকটি হাই স্কুলের ক্যাম্পাস ছেড়ে খুঁজে পায় নিজস্ব ক্যাম্পাস, নিজেদের ঠিকানা। এ সময় বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী আলহাজ্ব আহম্মদ আলী সরকার ওরফে মেন্দু হাজী কলেজকে ১০ কাঠা কমি দান করেন, সেই দানকৃত জমির উপর “আদিপৈত” গ্রামে গড়ে উঠে আজকের মেলান্দহ সরকারি কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস। শুরুতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিনের একচালা তিনটি ক্লাসরুম ও একটি অফিস কক্ষ দিয়ে শুরু হলেও অচিরেই এম.এ গফুর সাহেব ৪০ হাজার টাকায় মেন্দু হাজীর নিকট থেকে আরো ৪ বিঘা জমি কিনে কলেজের কলেবর বৃদ্ধি করেন। টিনশেডের জায়গায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠে নতুন ভবন, ইমারত, শুরু হয় এক নতুন কর্মব্যস্ততা। বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী জীবনে অবদান রাখতে শুরু করেন সমাজের সকল স্তরে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে মেলান্দহ কলেজের সুনাম। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব সফিকুল ইসলাম খোকার প্রচেষ্টায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহম্মদ এরশাদ এর প্রত্যক্ষ ঘোষণার ফলশ্রুতিতে ১ জুলাই ১৯৮৭ খ্রিঃ তারিখ থেকে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। শুরু হয় সরকারি মেলান্দহ কলেজের নতুন যাত্রা।

প্রতিষ্ঠা

মেলান্দহ সরকারি কলেজটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত । জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব সফিকুল ইসলাম খোকার প্রচেষ্টায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১ জুলাই ১৯৮৭ তারিখ থেকে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয় । শুরু হয় সরকারি মেলান্দহ কলেজের নতুন যাত্রা । সেই সময় কলেজটিতে ছাত্রছাত্রী ছিল অনেক । বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু আছে, আরও চালু আছে ডিগ্রি (পাস) কোর্স । [4][5]

অনুষদ সমূহ

  • বিএ (পাশ কোর্স)

গ্রন্থাগার

  • লাইব্রেরী কার্ড সংগ্রহ : ছাত্র-ছাত্রীকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিয়ে লাইব্রেরী কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। উল্লেখ্য, এই লাইব্রেরী কার্ড হস্তান্তর করা যায় না।
  • সময়সূচী : প্রতিদিন সকাল ৯:০০ থেকে বিকেল ৫:০০ পর্যন্ত বই পড়ার জন্য লাইব্রেরী খোলা থাকে।
  • বই ইস্যু : কলেজ চলাকালীন পাঠকক্ষে বসে পড়ার জন্য পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বই নেয়া যায়। লাইব্রেরী কার্ড জমা দিয়ে ৭ দিনের জন্য বই বাড়িতে নেয়া যায়। সহপাঠ কার্যক্রম

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. জামালপুরের আট সরকারি কলেজে অকৃতকার্য দুই হাজার ৫৮৬ জন কালের কন্ঠ | ১৯ জুলাই, ২০১৮ ২২:৩৯
  2. জামালপুরে এইচএসসির ফলাফলে অবনতি, কমেছে জিপিএ-৫ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে দৈনিক শিক্ষা | ২৪ জুলাই, ২০১৭
  3. মেলান্দহ সরকারী কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  4. অনার্স কোর্স চালু করার আবেদন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে দৈনিক যুগান্তর |২৮ জানুয়ারি ২০১৮,
  5. অনার্স কোর্স চাই দৈনিক সমকাল | চিঠি পত্র | ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.