ভোলা দ্বীপ
ভোলা দ্বীপ (দক্ষিণ শাহবাজপুর নামেও পরিচিত) হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত।[1]
![]() ![]() ভোলা ভোলা দ্বীপ (বাংলাদেশ) | |
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | বঙ্গোপসাগর |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩০′ উত্তর ৯০°৪৫′ পূর্ব |
আয়তন | ১,৪৪১ বর্গকিলোমিটার (৫৫৬ বর্গমাইল) |
দৈর্ঘ্য | ৯০ কিমি (৫৬ মাইল) |
প্রস্থ | ২৫ কিমি (১৫.৫ মাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | নাম নেই |
প্রশাসন | |
জনপরিসংখ্যান | |
বিশেষণ | ভোলাইয়া |
জনসংখ্যা | ১,৭৫৮,০০০ |
জনঘনত্ব | ১,১৬২.৩৯ /বর্গ কিমি (৩,০১০.৫৮ /বর্গ মাইল) |
ভৌগলিক অবস্থান
ভোলা দ্বীপ মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে ভোলায় যেতে ফেরী এবং লঞ্চ পরিষেবা রয়েছে।[2]
এই দ্বীপটি ১৩০ কিলোমিটার (৮১ মাইল) দীর্ঘ এবং এর জনসংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন। ১৭৭৬ সালের মানচিত্র অনুযায়ী ভোলা দ্বীপকে ডিম্বাকৃতির দেখানো হলেও বর্তমানে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে এর আকৃতি আরো বিস্তৃত হয়েছে। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬ ফুট।[3]
রন্ধনপ্রণালী
ভোলা দ্বীপ মহিষের দইয়ের জন্য পরিচিত, যা বাংলাদেশে অনন্য। এর জন্য যে প্রক্রিয়াটি বহুদিন ধরে চলে আসছে, তা আজও অপরিবর্তনীয়। এই দই ঐতিহ্যবাহী মাটির পাত্রে তৈরি করা হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় ১৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এই দ্বীপে এই খাদ্যটি জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, যেমন- বিবাহ, উৎসব এবং অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেষণ করা হয়।[4]
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
১৯৯৪ সালে শাহবাজপুরে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও এই দ্বীপে বিদ্যুতের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগছিল। এজন্য সরকার ২০১৫ সালের আগস্টে এখানে পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে। রাষ্ট্রায়ত্ব পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (PGCB) ভোলা দ্বীপ থেকে বোরহানউদ্দিন দ্বীপে হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন টেনে নিয়েছে।[5]
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
১৯৭০ সালে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যা ভোলা দ্বীপের দক্ষিণদিককে একেবারে ধ্বংস করে দেয় এবং ধানের জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।
১৯৯৫-এ, অর্ধ-দ্বিপটিই বন্যার কবলে পড়ে ডুবে যায়, যার কারণে ৫,০০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।[7]
২০০৫-এ, বন্যার কারণে অর্ধ-মিলিয়ন লোকের ক্ষয়ক্ষতি হয়। একই মাসে এবং বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্যায় মারাত্মক ভূমী ক্ষয়ের ফলে অনেক নদী প্লাবিত হয়ে যায়। ২০০৯ সাল অনুযায়ী, এই দ্বীপের অনেক বাসিন্দা ঢাকার বস্তিসমূহে বাস করতে থাকে।[8]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- Md Sakhaowat Hossain (২০১২)। "Bhola District"। Sirajul Islam and Ahmed A. Jamal। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- "About Bhola Island"। Bhola's Children। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৫।
- Doyle, Alister। "Sonar to help slow Bangladesh erosion in Ganges delta"। reuters.com। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫।
- Seraj, Shykh (১৯ মার্চ ২০১৫)। "Buffalo Curd: Heritage of Bhola"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫।
- Khan, Sharier (৮ মার্চ ২০১৫)। "Big boost for Bhola"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫।
- Rahman, Jahangir। "Community radio as change agent"। thefinancialexpress-db.com। The Financial Express। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫।
- "In Flood-Prone Bangladesh, a Future That Floats", Emily Wax, Washington Post, September 27, 2007
- Catie Leary (১৬ অক্টোবর ২০০৯)। "7 places forever changed by eco-disasters: Bhola Island"। Mother Nature Network। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৭।