বেগুনি কোকিল
বেগুনি কোকিল (বৈজ্ঞানিক নাম: Chrysococcyx xanthorhynchus) হলুদঠোঁট সোনাপাপিয়া বা বেগুনি পাপিয়া নামেও পরিচিত এক ধরনের কোকিল প্রজাতির পাখি। এরা বেশ দ্রুত উড়তে পারে।[2] এদেরকে সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান, চীনে দেখা যায়।
বেগুনি কোকিল | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Cuculiformes |
পরিবার: | Cuculidae |
গণ: | Chrysococcyx |
প্রজাতি: | C. xanthorhynchus |
দ্বিপদী নাম | |
Chrysococcyx xanthorhynchus (Horsfield, 1821) | |
বিস্তৃতি
বেগুনি কোকিল প্রধানত চিরসবুজ বনের বাসিন্দা। এরা সাধারণত একাকী, জোড়ায় বা চার-ছয়টির দলে বিচরণ করে।[2]
আকার
বেগুনি কোকিল লম্বায় ১৭ সেন্টিমিটারের মত। স্ত্রী ও পুরুষ পাখির রঙে ভিন্নতা রয়েছে। পুরুষের মাথা-ঘাড়-গলা-থুতনি-পিঠ ও বুকের ওপরের পালকগুলো চকচকে বেগুনি। বুক-পেটের নিচটা সাদা, তার ওপর বেগুনি-বাদামি ডোরা। লেজ কালচে, আগা সাদা। লেজের বাইরের পালকের প্রান্তে সাদা ডোরা। স্ত্রীর দেহের ওপরের পালকগুলো ব্রোঞ্জ রঙা। দেহের নিচের অংশ সাদা ও তাতে ফিতার মতো সাজানো সবুজাভ-ব্রোঞ্জ ডোরা। লেজ সবুজাভ, আগা সাদা। চোখের চারদিকে টকটকে লাল রিং দেখা যায়। পুরুষের ঠোঁট উজ্জ্বল কমলা, স্ত্রীরটি অনুজ্জ্বল হলুদ। পা, পায়ের পাতা ও নখ কালচে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি দেখতে অনেকটা মা কোকিলের মতো।[2]
খাদ্য
বেগুনি কোকিল সাধারণত শুঁয়াপোকা, ছারপোকা ও নরম পোকামাকড় খেতে পছন্দ করে।[2]
স্বভাব
বেগুনি কোকিল আবাসিক পাখি হলেও অত্যন্ত লাজুক। পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে বলে সারা বছর দেখা যায় না। প্রজননের সময় পুরুষ পাখি দিনের বেলা ও পূর্ণিমা রাতে জোড়ে ও দ্রুততার সাথে চি-উইক-চি-উইক স্বরে ডাকে বলে দেখা যায়।[2]
প্রজনন
মে-জুন মাস বেগুনি কোকিলের প্রজননকাল। অন্যান্য কোকিলের ন্যায় এরাও বাসা বানায় না। স্ত্রী কোকিল চুপিসারে মৌটুসি বা মাকড়সারভূকের বাসার মুখে ডিম পেড়ে আসে। আকারে কিছুটা বড় হলেও ধাত্রী পাখির ডিমের রঙের সঙ্গে মিল রেখে ডিম পাড়ে। সাদা রঙের ডিমগুলোয় উজ্জ্বল বা লালচে বাদামি ছিট থাকে।[2]
তথ্যসূত্র
- BirdLife International (২০১২)। "Chrysococcyx xanthorhynchus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- বিরল বেগুনি কোকিল,আ ন ম আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।