বিজয় সেন
বিজয় সেন ছিলেন সেন রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তার পিতা হেমন্ত সেনের প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র সেন রাজ্যকে তিনি পরাক্রমশালী সম্রাজ্যে পরিনত করেন। তিনি ১০৯৭ থেকে ১১৬০ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় রাজত্ব করেন। তার প্রতিষ্ঠিত সেন বংশ ১০০ বছর পর্যন্ত টিকে ছিল। বিজয় সেনের বংশধরগন দাক্ষিনাত্যের কর্ণাট থেকে এদেশে এসেছিলেন। তিনি সূর বংশীয় রাজকন্যা বিলাশদেবীকে বিয়ে করেছিলেন।[1]
বিজয় সেন | |
---|---|
বাংলার রাজা | |
রাজত্বকাল | ১০৯৭ – ১১৬০ |
পূর্বসূরি | হেমন্ত সেন |
উত্তরসূরি | বল্লাল সেন |
দাম্পত্যসঙ্গী | বিলাশদেবী |
রাজবংশ | সেন রাজবংশ |
পিতা | হেমন্ত সেন |
ধর্মবিশ্বাস | সনাতন ধর্ম |
সামরিক অভিযান
বিজয় সেন পাল বংশের শেষ রাজাদের দূর্বলতার পূর্ণ সুযোগ নেন। সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত ‘রামচরিতম’ এ তার রাজত্বকালের উল্লেখ পাওয়া যায়। বিবাহসূত্রে সূর রাজ বংশের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। এছাড়া উড়িষ্যার শাসক অনন্তবর্মণ এর সাথেও তার সামরিক মৈত্রী চুক্তি হয়েছিল। এই দুইটি বিষয় তাকে সেন সম্রাজ্য বিস্তারে সাহায্য করে। বিজয় সেন বর্মণ, ভিরা, রাগভ প্রভৃতি রাজন্যবর্গকে পরাজিত করেন।[2] দেওপাড়া শীলালিপি থেকে পাওয়া যায় যে বিজয় সেন কামরুপ ও কলিঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিলেন। এরপর সম্ভবত উত্তর বিহারের কিছু অংশও অধিকার করে নেন। বিজয় সেন পাল রাজবংশের শেষ রাজা মদন পালকে তার রাজধানী গৌড় থেকে বিতাড়িত করেন। মদন পাল উত্তর বঙ্গে পলায়ন করেন। এবং পরবর্তী আট বছর সেখানে পাল বংশের শাসন কায়েম রাখেন। ১১৫২-৫৩ খ্রীস্টাব্দে মদন পালের মৃত্যুর পর বিজয় সেন সমগ্র উত্তরবঙ্গ অধিকার করে নেন। ১২ শতাব্দিতে তিনি বঙ্গ ( দক্ষিণ বাংলা) আক্রমণ করেন। এবং বর্মনদের রাজধানী বিক্রমপুর অধিকার করে নেন।[3]
মৃত্যু
১১৬০ খ্রীস্টাব্দে ৬২ বছরের দীর্ঘ রাজাত্বকালের অবসানের পর বিজয় সেন মারা যান।
তথ্যসূত্র
- "Important India"। ৩ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫।
- http://bn.banglapedia.org/index.php?title=বিজয়সেন
- বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন