বাস্তবতা ও তত্ত্ব হিসেবে বিবর্তন
বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও দার্শনিক বিবর্তনকে কখনো ফ্যাক্ট বা বাস্তবতা, কখনো থিওরী বা তত্ত্ব, কখনো উভয়টি, আবার কখনো কোনটিই নয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [1] বিবর্তন কি ফ্যাক্ট নাকি থিয়োরি তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে ১৯৮০ সালের পরে এর বিপক্ষে কিছু অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরেন কিছু বিজ্ঞানী, যার কারণে এটি কোন প্রতিষ্ঠিত ফ্যাক্ট নয়।
বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান |
---|
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ |
![]() সাধারণ পূর্বপূরুষ হতে আধুনিক শ্রেনিবিন্যাসগত গোত্রসমূহের জেনেটিক পরিব্যাপ্তির রেখাচিত্র প্রদর্শন। |
মূখ্য বিষয়
|
প্রক্রিয়া ও ফলাফল
|
প্রাকৃতিক ইতিহাস
|
বিবর্তনীয় তত্ত্বের ইতিহাস
|
ক্ষেত্র ও প্রয়োগ
|
সামাজিক প্রয়োগ
|
বিবর্তন, বাস্তবতা ও তত্ত্ব
বিবর্তনবাদ
জীববিজ্ঞানে বিবর্তন বলতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের (traits) পরির্তনকে বুঝায়।
ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুসারে, একজন আদি পিতা ও মাতা—যারা ঠিক আজকের মানুষের মতো মানুষ ছিলেন না—বিশেষ কোনো জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তারা প্রথম একজন আধুনিক মানব শিশুর জন্ম দেন। এটি দৈব চক্রে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা মাত্র: এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই, কোনো সৃষ্টিকর্তার হাত নেই। প্রকৃতির হাজার খেলার মধ্যে এটি ছিল একটি খেলা। এই একই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে সকল প্রাণের উদ্ভব হয়েছে। বিবর্তনবাদ অনুসারে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে দৈব চক্রে।
'কোনো কারণে ৩.৬ বিলিয়ন বছর আগের আদি পৃথিবীতে, কোনো এক জায়গার কাদা মাটিতে কিছু অজৈব পদার্থ কাকতালীয়ভাবে একসাথে মিশে প্রথম অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি করে। এরকম অনেকগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড কোনো কাকতালীয় কারণে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে একসাথে হয়ে প্রোটিন তৈরি হয়। তারপর কয়েকটি বিশেষ প্রোটিন কোনো কাকতালীয় কারণে একসাথে হয়ে ডিএনএ তৈরি হয় এবং তারপর সেখান থেকে আরও বিরাট কোনো কাকতালীয় কারণে প্রথম এককোষী প্রাণীর সৃষ্টি হয়। সেই এককোষী প্রাণীরা বহু বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে একসময় কোনো কারণে বহুকোষী প্রাণীতে পরিণত হয়। তার বহু বছর পরে সেই বহুকোষী প্রাণীরা বিবর্তিত হয়ে আরও জটিল জলচর প্রাণীতে পরিণত হয়। তারপর সেই জলচর প্রাণীগুলো একসময় হাত-পা গজিয়ে ডাঙায় উঠে এসে নানা ধরনের স্থলচর প্রাণীতে পরিণত হয়। এরপর সেই স্থলচর প্রাণীগুলো কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে একসময় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগির মতো প্রাণীতে পরিণত হয়। এবং সবশেষে একই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে বানরররূপী আদিমানব থেকে উদ্ভব হয়েছে আধুনিক মানুষের। এখানে লক্ষ্য করুন এই গোটা প্রক্রিয়ায় কতগুলো কাকতালীয় ব্যাপার রয়েছে। এই প্রতিটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যতা হচ্ছে কমপক্ষে কোটি কোটি কোটি সম্ভাবনার মধ্যে একটি। যেমন ৩০০ অণু দিয়ে গঠিত একটি প্রোটিন তৈরি হবার সম্ভাবনা হচ্ছে ১০^৩৯০ এর মধ্যে একটি। (১০ এর পরে ৩৯০টি শূন্য দিলে যে বিরাট সংখ্যা হয় ততগুলো সম্ভাবনার মধ্যে একটি। ) যার অর্থ হচ্ছে— এটা (বিবর্তনবাদ) গাণিতিক ভাবে দেখলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
কোন জীবের বংশধরদের মাঝে যে জিনসমূহ ছড়িয়ে পড়ে তারাই বংশগতিতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উৎপাদন করে। জিনের পরিব্যক্তির মাধ্যমে জীবের নির্দিষ্ট কোন বংশধরে নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হতে পারে বা পুরনো বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে। যদিও একটি প্রজন্মে জীবের বৈশিষ্ট্যের যে পরিবর্তন সাধিত হয়, তা খুবই সামান্য। Microevolution বা সূক্ষ্ম-বিবর্তন অবশ্যই প্রকৃতিতে হয়। এবং সেটা হয় একই প্রজাতির মধ্যে, অল্প কিছু জেনেটিক পরিবর্তন থেকে। আর এভাবেই একসময় উপ-প্রজাতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সূক্ষ্ম বিবর্তন হতে হতে একসময় Macroevolution বা স্থুল-বিবর্তন হয়ে এক প্রজাতির প্রাণী সম্পূর্ণ অন্য প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয় না—যেটা বিবর্তনবাদীরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা নিয়ে বিবর্তনবাদীদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে।
কেবলই তত্ত্ব
বিবর্তনবাদ যদি সত্যি হতো তাহলে—
১. আমরা এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার সময়, তার মাঝামাঝি অবস্থার অনেক নিদর্শন প্রকৃতিতে দেখতে পারতাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যে লক্ষ লক্ষ ফসিল পেয়েছি, তার কোথাও কোনোদিনও এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার সময় মাঝামাঝি অবস্থার কোনো প্রাণী অর্থাৎ Missing Link দেখা যায়নি। যেমন এখনও পর্যন্ত এমন কোনো বানর বা গরিলার ফসিল পাওয়া যায়নি—যেটার মাথা ছিল মানুষের মতো, বা যেটার গায়ের লোম মানুষের মতো একদম ছোট, বা যেটার হাত মানুষের হাতের মতো—যেগুলো দেখে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, গরিলা বা বানর থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়ে মানুষ এসেছে।
২. প্রাণীদের মধ্যে সূক্ষ্ম বিবর্তনের (Microevolution) নিদর্শন মিললেও বড় ধরনের বিবর্তনের কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, যেখানে এক প্রজাতির প্রাণী বিবর্তিত হয়ে আরেক প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। Macroevolution-এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে মাছির বিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। অনেক চেষ্টার পরে দেখা গেল তিন ধরনের মাছি তৈরি হলো— ১) আগে যেরকম ছিল সেরকমই, ২) মিউটেটেড বা বিকৃত, অথবা ৩) মৃত। [2] ২০১০ সালে একটি গবেষণায় মাছির ৬০০ প্রজন্ম পরীক্ষা করেও কোনো বিবর্তনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।[3] একইভাবে ই-কোলাই (Escherichia coli) ব্যাকটেরিয়ার ৪০,০০০ প্রজন্মের উপর বিবর্তনের চেষ্টা করেও বিবর্তনবাদের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। [4] সুতরাং অতীতেও বিবর্তন হয়ে একটি প্রজাতির প্রাণী অন্য প্রজাতির প্রাণীতে রূপান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বর্তমানেও না।
৩. বিবর্তনবাদ দাবি করে যে, জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে প্রাণীদের মধ্যে বিবর্তন হয়ে উন্নততর এবং বেশি টেকসই প্রাণীর সৃষ্টি হয় এবং এইভাবেই আদি-মানুষ থেকে আধুনিক মানুষ এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় উলটো প্রমাণ পাওয়া গেছে। উদ্ভিদ এবং মানুষ উভয়েরই উপর গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে দেহে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না। কিন্তু খারাপ মিউটেশন হয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এবং এগুলো কোষের বংশপরম্পরায় টিকে থাকে। একে বলা হয় জেনেটিক এনট্রপি। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মিউটেশন এবং তার পূর্ব পুরুষদের মিউটেশন বহন করে এবং তারপর তার বংশধরের মধ্যে দিয়ে দেয়। [5] সাম্প্রতিক কালে হিউমেন জিনোম গবেষণার উন্নতির ফলে বিজ্ঞানীরা ২১৯ জন মানুষ এবং ৭৮ জন বাবা-মা এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন, প্রতি বংশ পরম্পরায় ৬০টি নতুন মিউটেশন যোগ হয়! বিবর্তনবাদীরা দাবি করে: ২.৪ মিলিয়ন বছর আগে, এক বানর/গরিলার কাছাকাছি দেখতে আদি মানুষ থেকে আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় এই পর্যন্ত মানুষের প্রায় ১২০,০০০ প্রজন্ম এসেছে। এখন প্রতি প্রজন্ম যদি ৬০টি মিউটেশন যোগ করে, তাহলে ১২০,০০০ প্রজন্মে আজকে মানুষের মধ্যে ৭,২০০,০০০ মিউটেশন থাকার কথা। এতো মিউটেশন হলে মানুষ আর মানুষ থাকত না, এবং অনেক আগেই মানব জাতি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
৪. এক প্রজাতির প্রাণীর থেকে অন্য প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ধাপে ধাপে বিবর্তন কখনও সম্ভব নয়। যেমন, সরীসৃপের দ্বিমুখী ফুসফুস কখনই পাখির একমুখী ফুসফুসে বিবর্তিত হতে পারে না। সেটা হতে হলে বিবর্তন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরীসৃপকে শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে—যেটা কেবল হাস্যকরই নয় বরং অযৌক্তিক। সুতরাং বিবর্তনবাদীরা যে-দাবি করে সরীসৃপ থেকে পাখির বিবর্তন হয়েছে, সেটা ভুল। [6] একইভাবে উভচর প্রাণীর তিন-কক্ষ-বিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর চার-কক্ষ-বিশিষ্ট হৃদপিণ্ডের বিবর্তন হওয়া কখনও সম্ভব নয়, কারণ সেটা হতে হলে প্রথমে উভচর প্রাণীর হৃদপিণ্ডের মধ্যে নতুন দেওয়াল সৃষ্টি হতে হবে, যা রক্ত চলাচল ব্যহত করবে, না হয় নতুন রক্তনালীর সৃষ্টি হতে হবে, যা রক্ত চলাচলকে ব্যহত করবে।... এরকম অনেক প্রমাণ রয়েছে যা থেকে সহজেই দেখানো যায় যে, এক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়ে অন্য প্রজাতির প্রাণী সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিবর্তনের সময় মাঝামাঝি যেই অবস্থাগুলো হতে হবে, সেগুলো প্রাণীর জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এইধরনের অর্ধেক বিবর্তন সেই প্রাণীর জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং বিবর্তনবাদ শুধুই একটি থিওরি। এর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক প্রমাণ নেই। প্রকৃতিতে কি ধরনের বিবর্তন হয়?
একটি ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার: Microevolution বা সূক্ষ্ম-বিবর্তন অবশ্যই প্রকৃতিতে হয়। এবং সেটা হয় একই প্রজাতির মধ্যে, অল্প কিছু জেনেটিক পরিবর্তন থেকে। আর এভাবেই একসময় উপ-প্রজাতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সূক্ষ্ম বিবর্তন হতে হতে একসময় Macroevolution বা স্থুল-বিবর্তন হয়ে এক প্রজাতির প্রাণী সম্পূর্ণ অন্য প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয় না—যেটা বিবর্তনবাদীরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা নিয়ে বিবর্তনবাদীদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। কাজেই বলা যায়, বানরের মধ্যে সূক্ষ্ম বিবর্তন হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বানর তৈরি হয়, কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত বানরই থাকে; মানুষ হয়ে যায় না। বিবর্তনের টেক্সট বইগুলোতে বিবর্তনবাদের পক্ষে যে সব উদাহরণ দেখানো হয়— যেমন ডারউইনের পাখির ঠোটের ‘বিবর্তন’, ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার ‘বিবর্তন’ হয়ে এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্টেন্স, এইচআইভি ভাইরাসের ‘বিবর্তন’—এগুলো সবই হয় একই প্রজাতির মধ্যে। পাখি বিবর্তনের পরে পাখিই থাকে, ব্যাকটেরিয়া শেষ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াই থাকে। তাই, বলা যায়, এই তত্ত্বটি কেবলই তত্ত্ব, বাস্তব সত্য নয়।
বিভিন্ন রচনায় তত্ত্ব ও বাস্তব সত্য হিসেবে বিবর্তন
বিবর্তন কি বাস্তবতা
বিজ্ঞানে ফ্যাক্ট বলতে পরীক্ষালব্ধ বা গবেষণালব্ধ তথ্য বা যাচাইযোগ্য ঘটনা বোঝানো হয়ে থাকে।[7][8] এছাড়া ফ্যাক্ট বলতে এমন কিছু অনুমান বা তত্ত্বকেও বোঝানো হয় যা অসংখ্য অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।[9][10]
উপর্যুক্ত সংজ্ঞাসমূহের প্রেক্ষিতে বিবর্তনকে একটি ফ্যাক্ট বলা চলে না কারণ এর সপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ বা Missing Link পাওয়া যায়নি। এটিকে তাই কেবল একটি তত্ত্ব বলা চলে এভাবে আমরা বলতে পারি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে একটি ফ্যাক্ট।[10][11] মূলারের (১৯৫৯) মতে বিবর্তনের সম্ভাব্যতা (Probability) এতই বেশি যে এটি সত্যিই ঘটছে কিনা তা আলাদা করে ভাবার আর কোন সুযোগ নেই।
বিবর্তনের ব্যপারে একটি ভুল ধারণা হল, অনেকে মনে করেন যেহেতু এটি কোটি কোটি বছর আগে ঘটেছে তাই এটি বাস্তবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। বাস্তবে চার্লস ডারউইন ও ওয়ালেস সহ সকল বিবর্তনবাদী বিবর্তনের গবেষণার জন্য জীবিত প্রাণী পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। বিশেষ করে পপুলেশন জেনেটিক্স ও ডিএনএর পর্যবেক্ষণ বিবর্তন গবেষণয় প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বাস্তবতা ও তত্ত্ব হিসেবে বিবর্তন
সাধারণ ভাষায় থিওরী বলতে আমরা কেবল অনুমান, ধারণা বা মতামত বুঝে থাকলেও বিজ্ঞানের ভাষায় থিওরী হল প্রকৃতির কোন ফ্যাক্ট এর উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী ব্যাখ্যা যা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষনের দ্বারা বার বার নিশ্চিত হয়েছে। [12] তত্ত্ব বিভিন্ন অনুমানের উপর ভিত্তি করেও তৈরি করা হয় যা পরবর্তিতে মিথ্যা প্রমাণের জন্য বিভিন্ন পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়।
বিবর্তনের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বের ক্ষেত্রে, ডারউইন ১৮৩৯ সালে এ নিয়ে চিন্তা করেন এবং অনুমান প্রকল্প গ্রহণ করেন। এর একটি খসড়া তৈরি করা হয় ১৮৪২ সালে। তিনি তার বুদ্ধিমান সঙ্গীদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করেন এবং আগের লেখা সমুহের উপর ভিত্তি করে তিনি নতুন গবেষণা চালান। এভাবে কয়েক বছরের প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত প্রমাণ, যুক্তি ও বিবর্তন তত্ত্ব ১৮৫৯ সালে তিনি তার অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। [13]
বাস্তবতা নয়, একগুচ্ছ তত্ত্ব হিসেবে বিবর্তন
সম্পর্কিত মতবাদ ও পরিভাষা
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Stephen Jay Gould, "Evolution as Fact and Theory" 1994"। www.stephenjaygould.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৩।
- Nüsslein-Volhard, C. and E. Wieschaus. 1980. Mutations affecting segment number and polarity in Drosophila. Nature. 287 (5785): 795-801.
- Burke, M. K. et al. 2010. Genome-wide analysis of a long-term evolution experiment with Drosophila. Nature. 467 (7315): 587-590.
- Barrick, J. E. et al. 2009. Genome evolution and adaptation in a long-term experiment with Escherichia coli. Nature. 461 (7268): 1243- 1247.
- Sanford, J. 2008. Genetic Entropy & the Mystery of the Genome. Waterloo, NY: FMS Publications.
- Thomas, B. Do New Dinosaur Finger Bones Solve a Bird Wing Problem? ICR News. Posted on icr.org July 9, 2009, accessed March 9, 2012.
- http://wordnetweb.princeton.edu/perl/webwn?s=scientific+fact
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৩।
- Webster's Encyclopedic Unabridged Dictionary of the English Language (1996) gives a third meaning of the word "fact" as (3) A truth known by actual experience or observation; something known to be true: 'Scientists gather facts about plant growth.'
- Futuyma1998
- http://www.guardian.co.uk/science/2005/sep/01/schools.research
- http://www.nap.edu/openbook.php?record_id=6024&page=2
- Van Wyhe, J. (2007). "Mind the gap: did Darwin avoid publishing his theory for many years?" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Notes Rec. R. Soc. 61 (2): 177–205. doi:10.1098/rsnr.2006.0171 1743-0178.]