জীববৈচিত্র্য

'জীববৈচিত্ৰ্য' (ইংরেজি: Biodiversity) জীবিত প্ৰজাতির বৈচিত্ৰ্যতা এবং তাদের বাস করা জটিল পরিবেশ তন্ত্ৰের বিষয়ে আভাষ দেয়৷ অতি শুষ্ক মরুভূমি থেকে ক্ৰান্ত্ৰীয় বৃষ্টিপ্রবণ অরণ্য পর্যন্ত, বরফে আবৃত কঠিন পৰ্বত থেকে সাগরের গভীরে বিস্তৃত হয়ে থাকা বিভিন্ন প্ৰজাতির জীবজগতের রং, আকৃতি, আকার ইত্যাদির বিভিন্নতা থাকা সত্বেও প্ৰাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট না করে জীবন ধারণ করে আসছে৷ আমেরিকার জীব বিজ্ঞানী ই.এ.নরসে (E.A.Norse) এবং তার সহযোগীদের সূত্ৰ অনুযায়ী জৈব বৈচিত্ৰ্য হল জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্ৰতা৷ পৃথিবীর ১০ বিলিয়ন ভাগের একভাগ অংশতেই ৫০ মিলিয়ন প্ৰজাতির বিভিন্ন জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদের বসবাস৷ [1]

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী জীববৈচিত্রের উদাহরণ প্রবাল প্রাচীর
Rainforests are an example of biodiversity on the planet and typically possess a great deal of species diversity. This is the Gambia River in Senegal's Niokolo-Koba National Park.

শ্ৰেণীবিভাজন

জৈব বৈচিত্ৰ্যকে প্ৰধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়-

জিনগত বৈচিত্ৰ্য

জিন জৈব বৈচিত্ৰ্যের মূল উৎস৷ যা জৈবিক এককে পিতৃ-মাতৃ গুণাগুণ একটা জনু থেকে অন্য একটা জনুতে বয়ে নিয়ে যায় তাই জিন ৷ বংশগতির বাহক জিনের সংমিশ্ৰণের ফলে একেক প্ৰজাতির জীবের মধ্যে যে জৈবিক বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাক জিনগত বৈচিত্ৰ বলে৷

1 প্ৰজাতি বৈচিত্ৰ্য

এই ধরনের বিভিন্নতা একটা প্ৰজাতির অথবা বিভিন্ন প্ৰজাতির অন্তৰ্গত সদস্য সমূহের মধ্যে দেখা যায়৷ বিজ্ঞানী এড‌ওয়ার্ড উইলসনের (১৯৯২) মতে বিশ্বে ১০ মিলিয়নের থেকে ৫০ মিলিয়ন জীবিত প্ৰজাতি আছে৷ তবে কেবল ১.৫ মিলিয়ন জীবিত প্ৰজাতির এবং ৩,০০,০০০ জীবাষ্ম প্ৰজাতি আবিষ্কার করে নামকরণ করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে বহু প্ৰজাতির প্ৰকৃতির সাথে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারায় বিলুপ্তি ঘটেছে৷ প্ৰজাতি বৈচিত্ৰতা নিৰ্ণয় করার জন্য দুটা সূচক (Index) ব্যবহার করা হয় - শেন'ন উইনার সূচক (Shannon Wiener Idex) এবং সিম্পসন সূচক (Simpson Index)৷

বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্ৰ্য

পরিবেশের ওপর নিৰ্ভর করে বিভিন্ন পরিবেশ তন্ত্ৰে বাস করা জৈব সম্প্ৰদায় সমূহের মধ্যে যে জৈবিক বৈচিত্ৰ্যের সৃষ্টি হয় তাক পরিবেশীয় বৈচিত্ৰ্য বলে৷ পরিবেশের বিভিন্ন ভৌতিক উপাদান, যেমন - আদ্ৰতা, উষ্ণতা, দ্ৰাঘিমাংশ, অক্ষাংশ ইত্যাদি জৈবিক বৈচিত্ৰ্যের সৃষ্টি করতে পারে৷ হুইটেকার(Whittaker)1972 সালে বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্যের নির্ধারণের তিনটি সূচক প্রস্তাব করেছেন। এই সূচকগুলি হল- ১) আলফা বৈচিত্র্য; ২) বিটা বৈচিত্র্য; ৩)গামা বৈচিত্র্য

সুইস আল্পস (জাতীয় উদ্যান) এ দেবদারু জংগল

ভারতের জৈব-ভৌগোলিক অঞ্চলসমূহ

  1. হিমালয় পাদদেশ
  2. হিমালয়
  3. মরুভূমি
  4. অর্ধ শুষ্ক অঞ্চল
  5. পশ্চিমঘাট
  6. দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল
  7. গঙ্গা সমভূমি
  8. উপকূল
  9. উত্তর পূর্ব ভারত
  10. দ্বীপপুঞ্জ

1.জৈব বৈচিত্ৰ্যের মূল্য==

উপভৌগিক ব্যবহার

  • খাদ্য
  • ঔষধ
  • অন্যান্য উপাদান
উৎপাদনশীল ব্যবহারিক মূল্য
সামাজিক মূল্য
নৈতিক মূল্য
সৌন্দৰ্য্যবোধক মূল্য 

পরিবেশ তন্ত্ৰের সেবা মূল্য

তথ্যসূত্র

  1. দীপালী দাস (২য় সংস্করণ ২০১২)। "পরিবেশ অধ্যয়ন"। আইএসবিএন 81-85-916-100-4 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: length (সাহায্য) অজানা প্যারামিটার |Publisher= উপেক্ষা করা হয়েছে (|publisher= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.