বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বা বিএইসি (ইংরেজি: Bangladesh Atomic Energy Commission), বাংলাদেশের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আণবিক শক্তি উৎপাদন ও এটি নিয়ে গবেষণা করা।[1] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[2]
![]() আনুষ্ঠানিক লগো | |
নীতিবাক্য | পরমাণু শক্তির ব্যবহার ও কল্যাণধর্মী কাজে এর রূপান্তর মাধ্যম উন্নয়ন |
---|---|
গঠিত | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ |
ধরণ | স্বায়ত্বশাসিত-সরকারি প্রতিষ্ঠান |
সদরদপ্তর | পরমাণু ভবন |
অবস্থান |
|
সদস্যপদ | আইএইএ (১৯৭২) |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
স্টাফ | ৮০০ |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
প্রথমে বিএইসি পাট গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ভবনে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর স্থানান্তরিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৪ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বর্তমানে শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও-এ অবস্থিত। ১৯৮৮ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন (Bangladesh Molecular Energy Commission), এরপর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পরমানু কমিশন তাদের সকল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, ভৌত বিজ্ঞান, জৈব বিজ্ঞান ও প্রকৌশল।[3]
গবেষণা প্রতিষ্ঠান
- আণবিক শক্তি সেন্টার, ঢাকা
- আণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভার
- অনু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট
- চুল্লী অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট
- ইলেক্ট্রনিক্স ইনস্টিটিউট এবং ভৌত বিজ্ঞান
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
- অনু খনিজ পদার্থ ইউনিট
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এ বালি অপারেশনস সেন্টার
- সিএমসিএইস-এ তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা ল্যাবরেটরি
- এইআরই-এ খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
- অনু মেডিসিন ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- বিভিন্ন জেলায় অনু মেডিসিন অ্যান্ড আল্ট্রাসাউন্ড সেন্টার
তথ্যসূত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩।
- বাংলাপিডিয়া
- "কমিশনের গবেষণা স্থাপনা/প্রতিষ্ঠান"। ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩।