বানর
বানর, বান্দর বা বাঁদর এক প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মূলত সিমিয়ান প্রাইমেট গণের তিনটি দলের মধ্যে দুইটির সদস্যরা সাধারণ ভাবে বানর নামে পরিচিত। এই দলগুলি হলো, নতুন পৃথিবীর বানর, পুরাতন পৃথিবীর বানর এবং নরবানর। এদের প্রধানত দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায়। বানর বুদ্ধিমান ও সামাজিক জন্তু; অধিকাংশ প্রজাতিই গাছে বাস করে। নিরামিষভোজী হলেও এদের বাসস্থান ও খাদ্যে পর্যাপ্ত বৈচিত্র্য আছে। বাংলাদেশে ১০ প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে রয়েছে ৫ প্রজাতির বানর। পৃথিবীতে বর্তমানে বিদ্যমান ১৯ প্রজাতির বানরের মধ্যে এক প্রজাতি ছাড়া অন্য সবগুলি ছড়িয়ে আছে এশিয়ায় আফগানিস্তান থেকে জাপান, ফিলিপাইন থেকে বোর্নিও পর্যন্ত।
'বানর' সময়গত পরিসীমা: Oligocene–Present | |
---|---|
![]() | |
A young male White-fronted Capuchin (Cebus albifrons). | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | স্তন্যপায়ী |
বর্গ: | প্রাইমেট in part |
উপগোষ্ঠী | |
|

বুৎপত্তি
অনুমান করা হয় বানরের উৎপত্তি সুদূর ৩.৫-৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে।
আবাসস্থল
বর্তমানে দুই দলের বানর রয়েছে। যারা হল নব বিশ্বের বানর আর পুরাতন বিশ্বের বানর। নব বিশ্বের বানরেরা দক্ষিণ আমেরিকায় বাস করে। পুরাতন বিশ্বের বানরেরা আফ্রিকা এবং এশিয়ায় বাস করে। নব বিশ্বের বানরেরা পুরাতন বিশ্বের বানরদের থেকে ছোট। বানরদের লম্বা হাত ও পা আছে যার সাহায্যে এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দেয়। যে সব বানরদের লম্বা লেজ আছে তারা তাদের লম্বা লেজ দিয় গাছে ঝুলে থাকতে পারে। বানরদের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রজাতি হল পাইগিমিই মারমোসেট। লেজ বাদে এদের দৈঘ্য ১৪ থেকে সেন্টিমিটার। এদের ওজন প্রায় ১২০গ্রাম। এরা ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে বাস করে।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
শ্রেণীবিন্যাস
বানরের প্রজাতিগুলি হচ্ছে:
- রেসাস বানর (Rhesus Macaque, Macaca mulatta)
- খাটোলেজি বানর (Stumptail Macaque, Macaca arctoides)
- আসামি বানর (Assamese Macaque, Macaca assamensis)
- প্যারাইল্লা বা লম্বালেজী বানর (Crab-eating Macaque/Long-tailed Macaque, Macaca fascicularis)
- মুখপোড়া হনুমান
- চশমাপরা হনুমান
মানুষের সাথে সম্পর্ক
তথ্যসূত্র
বাংলাদেশে যে সব এলাকায় বানর রয়েছে