বন্দে আলী মিয়া
বন্দে আলী মিয়া (১৫ ডিসেম্বর ১৯০৬ - ১৭ জুন ১৯৭৯) ছিলেন একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।
বন্দে আলী মিয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৫ ডিসেম্বর ১৯০৬ রাধানগর, পাবনা |
মৃত্যু | ১৭ জুন, ১৯৭৯ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয়(১৯০৭-১৯৪৭) পাকিস্তানী (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশি (১৯৭১-১৯৭৯) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯০৭-১৯৪৭) পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১) বাংলাদেশ (১৯৭১-১৯৭৯) |
পরিচিতির কারণ | কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, সাংবাদিক |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমী , একুশে পদক |
জন্ম ও পরিবার
বন্দে আলী মিঞা পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুন্সী উমেদ আলী ছিলেন পাবনা জজকোর্টের একজন নিম্ন পদের কর্মচারী।[1]
শিক্ষা ও কর্মজীবন
তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে কলকাতা আর্ট একাডেমীতে ভর্তি হন এবং ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ১৯২৫-এ ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি কলকাতা জীবনে রবীন্দ্র-নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেন। তখন তার প্রায় ২০০ খানা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানীতে তার রচিত পালাগান ও নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪-র পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। তিনি তার কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুন্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তার রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে।
গ্রন্থসমূহ
কাব্যগ্রন্থ
- ময়নামতির চর (১৯৩২)
- অনুরাগ (১৯৩২)।
- অনুরাগ (১৯৩২),
- পদ্মানদীর চর (১৯৫৩),
- মধুমতীর চর (১৯৫৩),
- ধরিত্রী (১৯৭৫)
উপন্যাস
- অরণ্য
- গোধূলী
- ঝড়ের সংকেত
- নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮)
- জীবনের দিনগুলো
- বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১),
- শেষ লগ্ন (১৯৪১),
- অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯),
সম্মাননা
শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, ১৯৭৮ সালে রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক লাভ করেন। তিনি মরণোত্তর একুশে পদক এ ভূষিত হন।
মৃত্যু
১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
- সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ২৪৪।