বড়মা

বড়মা (১৯১৮-২০১৯) ছিলেন হিন্দুধর্মীয় সংস্কারবাদী আন্দোলন মতুয়া মহাসংঘের প্রধান নেত্রী। তার আসল নাম বীণাপাণি দেবী। তার 'বড়মা' নামটি সার্বজনীন মাতৃত্বকে নির্দেশ করে। তিনি ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ঠাকুরনগরের প্রতিষ্ঠাতা।

বড়মা
জন্মবীণাপাণি দেবী[1]
১৯১৮
জব্দকাঠি, বরিশাল, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু৫ মার্চ ২০১৯(2019-03-05) (বয়স ১০০–১০১)
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
আখ্যাবঙ্গবিভূষণ (২০১৮)
প্রতিষ্ঠাতাঠাকুরনগর
গুরুহরিচাঁদ ঠাকুর
বিশিষ্ট শিষ্য(সমূহ)মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জীবনী

বড়মা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বরিশালের জব্দকাঠি গ্রামে ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরের সাথে বিবাহবন্ধে আবদ্ধ হন, যার পরদাদা হলেন মতুয়া মহাসংঘ প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর[1]

১৯৪৭ সালে ভারতভাগের পর পরিবারের সাথে বড়মা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতুয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি জমায়। তার স্বামীর সাথে মিলে তিনি বাস্তুচ্যুত মতুয়াদের জন্য ঠাকুরনগরে রিফিউজি কলোনি প্রতিষ্ঠা করেন।[1]

১৯৯০ সালে তার স্বামী প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর মৃত্যুবরণ করলে তিনি মতুয়া মহাসংঘের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি গোটা ভারত জুড়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ প্রচার করেছেন।[1][2]

২০১০ সালের ১৫ মার্চে বড়মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মতুয়া মহাসংঘের অভিভাবক বলে ঘোষণা করেন।[3]

বড়মার বড় ছেলে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা আসনে ২০১৪ সালে লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মমতা বালা ঠাকুর বনগাঁ থেকে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হন।[4] তার ছোট ছেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।[5][6]

মৃত্যু

বড়মা ২০১৯ সালের ৫ মার্চে কলকাতায় মারা যান।[7] ৭ মার্চে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।[8] তার মৃত্যুর পর তার পুত্রবধূ মমতা বালা ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।[9]

সম্মাননা

বড়মা ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা বঙ্গবিভূষণ লাভ করেন।[10]

তথ্যসূত্র

  1. "মাতৃহারা হলেন মতুয়ারা, জেনে নিন বড়মার জীবনকথা"। News18। ৫ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  2. "বড়মার জন্মদিনে ঐক্যের বার্তা"। Calcutta News। ১৫ নভেম্বর ২০১৮। ৯ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  3. "Mahasabha boost for Mamata Chief patron of group once wooed by Left"The Telegraph। ১৫ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  4. "Bangaon Bye Elections to Lok Sabha 2015"। elections.in। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৫
  5. "Ministers in Mamata's Cabinet"। Government of West Bengal। ২১ মে ২০১১। ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১১
  6. "Last Rites of Matua Matriarch Binapani Devi Held With Full State Honours, Gun Salute"। News18। ৭ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  7. "মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপাণি আর নেই"ইত্তেফাক। ৫ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  8. "Boro Ma last rites held with full state honours"The Asian Age। ৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  9. "Kolkata: Legacy of Binapani Devi holds key to electoral gains in several districts"The Indian Express। ৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
  10. Kundu, Indrajit (১৫ নভেম্বর ২০১৮)। "Mamata woos Hindu refugees in West Bengal, announces slew of sops"India Today। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.