বকখালি
বকখালি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা সিডি ব্লকের (সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক) নামখানা থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম।[3]এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র৷ বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এখানকার সমুদ্র সৈকত লালকাঁকড়ার জন্যে বিখ্যাত, নির্জনতাপ্রিয় ভ্রমণ পিপাসুরা বকখালি পছন্দ করেন৷ এখানে আছে ম্যানগ্রোভ বন এবং উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নিকটবর্তী পর্যটন কেন্দ্র রূপে ফ্রেজারগঞ্জ প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

বকখালি | |
---|---|
গ্রাম | |
![]() ![]() বকখালি ![]() ![]() বকখালি ![]() ![]() বকখালি | |
স্থানাঙ্ক: ২১.৫৬৩১° উত্তর ৮৮.২৫৯৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা |
সিডি ব্লক | নামখানা |
উচ্চতা | ৪ মিটার (১৩ ফুট) |
ভাষা সমূহ | |
• সরকারি | বাংলা[1][2] |
• অন্য সরকারি | ইংরেজি[1] |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৭৪৩৩৩৯ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩২১০ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
লোকসভা কেন্দ্র | মথুরাপুর (এসসি) |
বিধানসভা কেন্দ্র | সাগর |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
স্যার অ্যান্ড্রু ফ্রেজার, বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর (১৯০৩-১৯০৮), বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, এই স্থানটিকে "আবিষ্কার" করার জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসাবে, গ্রামের একটি অংশের নাম ফ্রেজারগঞ্জ রাখা হয়েছে। সৈকতের কাছে একটি জরাজীর্ণ বাড়ি রয়েছে, স্থানীয়দের মতে ফ্রেজারই সেখানে থাকতেন।[4]
ভূগোল
![]() [পূর্ণ পর্দা]
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমার স্থান (কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা সিডি ব্লক) R: গ্রামীণ / নগর কেন্দ্র |

অঞ্চল পরিদর্শন
কাকদ্বীপ মহকুমার জনসংখ্যা পুরোটাই গ্রামীণ। পুরো জেলাটি গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের ওপর অবস্থিত। ব-দ্বীপের দক্ষিণ অংশে হেনরি দ্বীপ, সাগর দ্বীপ, ফ্রেডরিক দ্বীপ এবং ফ্রেজারগঞ্জ দ্বীপের মতো অসংখ্য দ্বীপ এবং প্রণালী রয়েছে। মহকুমাটি সুন্দরবন বসতির একটি অংশ। তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিক এক দেশব্যাপী সিদ্ধান্তের ফলে বিশেষ উপকূলীয় বাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে রক্ষা করছে। এই অঞ্চলটি বিপুল সংখ্যক পর্যটককে আকর্ষণ করে – এই অঞ্চলগুলির মধ্যে গঙ্গাসাগর এবং ফ্রেজারগঞ্জ-বকখালি উল্লেখযোগ্য। ভবিষ্যতে গোবর্ধনপুরেরও এমন পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে।[5][6][7]
Note: মানচিত্রটি মহকুমার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান উপস্থাপন করে। মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত স্থান বৃহত্তর পূর্ণ পর্দার মানচিত্রে লিঙ্কযুক্ত।
অবস্থান
বকখালি ২১°৩৩′৪৭″ উত্তর ৮৮°১৫′৩৪″ পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা হল ৪ মিটার (১৩ ফু)।
যোগাযোগ
কলকাতার সঙ্গে বকখালি সড়কপথে যুক্ত৷ কলকাতা থেকে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে বা রেলপথে নামখানা পযর্ন্ত গিয়ে সেখান থেকে অথবা কলকাতা থেকে সরাসরি বাসযোগে বকখালি যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে হাতানিয়া দোহানিয়া নদী পড়ে। এখানে বার্জ যোগে ভারী যান পরিবহন ব্যবস্থা আছে এবং এই নদীর ওপর ৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে । বকখালিতে পর্যটকদের জন্য একাধিক হোটেল আছে। [8][9][10]

জম্বুদ্বীপ এবং লোথিয়ান হল কাছাকাছি দুটি বনজ দ্বীপ। দ্বীপগুলিতে ভ্রমণের একমাত্র মাধ্যম হল অনুন্নত মোটরযুক্ত দেশীয় নৌকা, এবং দ্বীপগুলিতে কোনও জেটি নেই।
ক্রিয়াকলাপ
বকখালি বিভিন্ন দিকে অনন্য। ফ্রেজারগঞ্জের বায়ুচক্রগুলি বিদ্যুত উৎপাদন করে। স্থানীয়ভাবে যাতায়াতের একমাত্র উপায় রিকশা ভ্যান।
এখানকার মানুষের প্রাথমিক জীবিকা হল মাছ ধরা। সংলগ্ন সমুদ্রের চরম লবণাক্ততার জমির উর্বরতাশক্তি প্রচুর পরিমাণে প্রভাবিত হয়েছে, ফলে কৃষিকাজ এখানে প্রায় হয়না।
ফ্রেজারগঞ্জে রাজ্য সরকারের বেনফিশ পরিচালিত একটি শাখার মাছধরার বন্দর রয়েছে।[11]

Tourism
- ভাঁটার সময় বকখালি সমুদ্র সৈকত
- জোয়ারের সময় বকখালি সমুদ্র সৈকত
তথ্যসূত্র
- "Fact and Figures"। Wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (PDF)। Nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- "Census of India"। District-wise list of stautory towns। Directorate of census operations, West Bengal। ৯ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- Islam, Sirajul (২০১২)। "Fraser, Sir Andrew"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- "District Statistical Handbook 2014 South Twety-four Parganas"। Table 2.1 , 2.2, 2.4b। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Census of India 2011, West Bengal, District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, Series – 20, Part XII-A, Village and Town Directory" (PDF)। Page 13, Physigraphy। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "District Human Development Report: South 24 Parganas"। Chapter 9: Sundarbans and the Remote Islanders, p 290-311। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2009। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "সুন্দরবন ভ্রমণ"। ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪।
- নামখানা থেকে বকখালি
- সেতু তৈরির সম্ভাবনায় সুগম হচ্ছে বকখালি যাত্রা
- "Beach festival to tickle senses"। The Times of India। ১৩ জানুয়ারি ২০০৪।
বহিঃসংযোগ
উইকিভ্রমণ থেকে বকখালি ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন- Travel stories published in The Telegraph and The Statesman
টেমপ্লেট:South 24 Parganas টেমপ্লেট:South 24 Parganas topics
![]() |
উইকিভ্রমণে বকখালি সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |