ফারাহনায পাহলভি
রাজকন্যা ইয়াসমিন ফারাহনায পাহলভি[1] (ফার্সি: فرحناز پهلوی; জন্ম ১২ মার্চ ১৯৬৩) ইরানের রাজকন্যা এবং ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি এবং তার তৃতীয় স্ত্রী ফারাহ দিবার জ্যেষ্ঠ কন্যা। সাম্রাজ্যে অনুষ্ঠানিক ব্যবহার শৈলী অনুযায়ী তাকে "আপনার রাজকীয় মহিমা" সম্মোধন করা হতো।
ফারাহনায পাহলভি | |||||
---|---|---|---|---|---|
ইরানের রাজকন্যা | |||||
![]() ১৯৮০ সালে রাজকন্যা ফারাহনায | |||||
জন্ম | তেহরান, ইরান | ১২ মার্চ ১৯৬৩||||
| |||||
রাজবংশ | পাহলভি (জন্মসূত্রে) | ||||
পিতা | মোহাম্মদ রেজা পাহলভি | ||||
মাতা | ফারাহ দিবা | ||||
পেশা | সমাজকর্মী |
প্রাথমিক জীবন, নির্বাসন ও শিক্ষা
.jpg)
ইরানের রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি -এর রীতি | |
---|---|
![]() | |
উদ্ধৃতিকরণের রীতি | তার রাজকীয় মহিমা |
কথ্যরীতি | আপনার রাজকীয় মহিমা |
ইয়াসমিন ফারাহনায পাহলভি ১২ মার্চ ১৯৬৩ সালে ইরানের তেহরানে পাহলভি রাজবংশে জন্ম নেন।[2][3] তিনি ইরানের সর্বশেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির তৃতীয় এবং তার তৃতীয় সম্রাজ্ঞী ফারাহ দিবার দ্বিতীয় এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান।[4] তার দুই বোন শাহনাজ পাহলভি ও লেইলা পাহলভি এবং দুই ভাই রেজা পাহলভি ও আলি-রেজা পাহলভি।[5]
১৯৭০ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ফারাহনায তেহরানে নিজ রাজবংশের বিশেষ বিদ্যালয় নিয়াবরনে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।[3][5]
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ফলে তার পরিবারকে নির্বাসনে বাধ্য করা হলে ষোল বছর বয়সে ফারাহনায পাহলভি পরিবারের সঙ্গে ইরান ত্যাগ করেন। ১৯৭৯ সালেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিমসবারি, কানেকটিকাটে এস্টার ওয়াকার বিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পুনরায় সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ অব্যাহত রাখেন। সে সময়ে, নির্বাসনের পর পাহলভি পরিবার মিশরের কায়রোতে বাস করতো। ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষালাভের জন্য ফারাহনায মিশরের কায়রোতে কায়রো আমেরিকান কলেজে যোগ দেন।[3][5]
১৯৮০ সালের জুলাইয়ে অ-হুডকিন্স লিম্ফোমা ক্যান্সারের কারণে মিশরে তার বাবা মোহাম্মদ রেজা পাহলভিরর মৃত্যুর পর, পাহলভির পরিবার মিশর ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয় এবং সেখানে বাস করতে শুরু করে। ফারাহনায মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেনিংটন, ভারমন্টের বেনিটিংটন কলেজে সামাজিক শিক্ষা বিষয়ে স্নাতক (বিএ) সম্পন্ন করেন। এরপর, ১৯৯০ সালে স্নাতক শিক্ষার্থী হিসেবে স্কুল আব সোশাল ওয়ার্ক থেকে ফারাহনায শিশু মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[3][5]
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ফারাহনায ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার চাকরি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন, তবে তার মা ফারাহ দিবার মতে, তার নামের কারণেই ফারাহনায প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।[3]
বংশ
ফারাহনায পাহলভি-এর পূর্বপুরুষ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
ব্যক্তিগত জীবন
বর্তমানে, ফারাহনায একজন সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শহরে অনেকটা পরিচয় গোপন করে বিচক্ষণ জীবনযাপন করছেন।[3]
ফারাহনায তার মাতৃভূমি ইরানে চলমান ঘটনায় মনোযোগ প্রকাশ করেন এবং বর্ণনা করেন যে, "একজন সহানুভূতিশীল নারী হিসেবে তিনি সমাজে সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং যা বিশেষ করে অনগ্রসর ক্ষতিগ্রস্থদের প্রভাবিত করেছে।"[3]
সন্মান
ইরানের সন্মান
মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহহলীর কর্ণধার স্মৃতিচিহ্ন পদক (১৯৬৭/১০/২৬) ইরানের সাম্রাজ্যের ২৫০০তম বার্ষিকী স্মারক পদক (১৯৭১/১০/১৪) ইরানের সাম্রাজ্যের ২৫০০তম বার্ষিকী উদযাপনের স্মারক পদক (১৯৭১/১০/১৫)
টেলিভিশন তালিকা
- জারোভারযিশ্ট (১৯৬৩) - স্বচরিত্রে, রাজকন্যা মাসুমেহ ফারাহনায পাহলভি নামে।
তথ্যসূত্র
- "পাহলভি রাজবংশ: বংশতালিকা"। royalark.net। royalark.net। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।
- জেফ্রি লি (২০০০)। Crown of Venus: A Guide to Royal Women Around the World (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউনিভার্স। পৃষ্ঠা ৪৬। আইএসবিএন 9780595091409। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।
- ব্রিটানি বার্গার (২৮ জানুয়ারি ২০১৮)। "A look at the Shah and Empress Farah's two daughters – Princesses Farahnaz and Leila"। historyofroyalwomen.com (ইংরেজি ভাষায়)। রাজকীয় মহিলাদের ইতিহাস। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।
- দারিয়াশ কাদিভার (১২ মার্চ ২০১২)। "রাজকন্যা ফারাহনাযকে শুভ জন্মদিন"। Iranian.com (ইংরেজি ভাষায়)। Iranian.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৮।
- "রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি"। farahpahlavi.org। ফারাহ পাহলভি। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে ফারাহনায পাহলভি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ফারাহনায পাহলভি
(ইংরেজি) - ফারহা পাহলভি ওয়েবসাইট থেকে রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি
- ফারহা পাহলভি ওয়েবসাইট থেকে ছবি আর্কাইভ