পুনর্জন্ম
পুনর্জন্ম বলতে কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর মৃত্যুর পরেও আবার নতুন কোনো দেহে তার আত্মার জীবিত হওয়াকে বোঝায়। এটি একটি ধর্মীয় মতবাদ যা প্রধাণত জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম, শিখধর্ম সহ প্রভৃতি ধর্মে প্রচলিত। বিভিন্ন সময়ে নানা দার্শনিক এবং গবেষকগণ গবেষণা করলেও এটি বৈজ্ঞানিকভাবে একেবারে নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে সারা পৃথিবীতে যুগযুগ ধরে পুনর্জন্মের নানা সত্যকাহিনী প্রচলিত আছে।
টেমপ্লেট:Paranormal
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম ধর্ম
ইসলাম ধর্ম অনুসারে ব্যক্তি, প্রাণী ইত্যাদি কোনো কিছুরই পুনর্জন্ম হয় না।[1] [2] ইসলাম ধর্মানুসার সকল ব্যক্তিরই শুধু একটাই জীবন এবং মৃত্যুর পরে ঈশ্বর তার বিচার করবেন এবং সে সৎ হলে তাকে পুরস্কারসরূপ জান্নাত এবং সে অসৎ হলে শাস্তিসরূপ জাহান্নাম দিবেন।[3]
খ্রিস্টান ধর্ম
খ্রিস্ট ধর্মের বিভিন্ন আখ্যা পুনর্জন্মকে অস্বীকার করে। কিন্তু তবুও পৃথিবীতে অনেক খ্রিস্টান এটিতে বিশ্বাস করে। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত একটি পিউ ফোরাম জরিপ অনুযায়ী আমেরিকার খ্রিস্টানদের ২৪% পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে।[4] এছাড়াও ১৯৮১ সালে ইউরোপে একটি জরিপে দেখা যায় যে সেখানকার ৩১% লোক পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে।[5]
হিন্দুধর্ম
হিন্দুধর্ম পুনর্জন্মকে সমর্থন করে। হিন্দুধর্মানুসারে মানুষ বা প্রাণীর শুধু দেহের মৃত্যু হয়, আত্মার নয় কারন সনাতন বা হিন্দুধর্মানুযায়ী জীবের আত্মা চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর।[6] প্রাচীন হিন্দুধর্ম অনুসারে সমস্ত প্রাণীর একটি যোগ রয়েছে এবং তারা সর্বদাই জীবন চক্রাকারে আবর্তিত হয় [7] অর্থাৎ একবার মৃত্যুবরণ করলে আবার পুনর্জন্মগ্রহণ করে পৃথিবীতে আসে।
পুনর্জন্মের গবেষণা
বিভিন্ন সময় পুনর্জন্ম নিয়ে অনেকে গবেষণা করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন মনোবিজ্ঞানী ইনা স্টিভেনসন। তিনি ৪০ বছর যাবত পুর্বজন্মের কথা বলতে পারা শিশুদের উপরে ২৫০০ টিরও বেশি তদন্ত করেছেন এবং ১২টি বই লিখেছেন। এছাড়াও আটলান্টার ইয়ার্কস ন্যাশনাল প্রাইমেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা দুই গবেষক ব্রায়ান জি. ডায়াস এবং কেরি রেসলার পুনর্জন্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা মত দিয়েছিলেন যে পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। জার্মান থেরাপিস্ট ট্রুটজ হার্ডোর এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি তার রচিত চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড বিফোর: রিইনকারনেশন টুডে বইতে জানান ড্রুজ আদিবাসীদলের একটি ছেলের কথা উল্লেখ করেছেন যে পুর্বজন্মের কথা বলতে পারতো। এছাড়াও পুনর্জন্ম নিয়ে গবেষণাকালে জিম টাকার একজন শিশুর খোঁজ পান যে তার পুর্বজন্মের কথা বলেছিল। তিনি এরকম আরও অনেকের সাথে দেখা করেছেন যাদের বয়স ২ থেকে ৬ বছরের মধ্য এবং তার পুর্বজন্মের কথা বলতে পারতো।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Norman C. McClellang 2010, পৃ. 122-123।
- John Esposito (২০০৪)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৩৭, ২৪৯। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৯৭৫৭২৬-৮
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) https://books.google.com/books?id=E324pQEEQQcC।|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - Norman L. Geisler; Abdul Saleeb (২০০২)। Answering Islam: The Crescent in Light of the Cross। Baker Academic। পৃষ্ঠা ১০য। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮০১০-৬৪৩০-২
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - বিশ্লেষণ ডিসেম্বর ৯, ২০০৯ (ডিসেম্বর ০৬, ২০০৯)। "pewforam.org"। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "spritual-wholeness.org"। spritual-wholeness.org। ২৩ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭।
- Mark Juergensmeyer ও Wade Clark Roof ২০১১, পৃ. ২৭২।
- Jeaneane D. Fowler ১৯৯৭, পৃ. ১০।
টেমপ্লেট:Reincarnation research টেমপ্লেট:Pseudoscience