নুরুল ইসলাম নাহিদ
নুরুল ইসলাম নাহিদ (জন্ম: ৫ জুলাই, ১৯৪৫) বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশের সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।[1][2]
নুরুল ইসলাম নাহিদ | |
---|---|
মে, ২০১৬ সালে টিএসসিতে বাকবিশিস সেমিনারে নুরুল ইসলাম নাহিদ | |
শিক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি ২০০৯ – ৬ জানুয়ারি ২০১৯ | |
রাষ্ট্রপতি | আব্দুল হামিদ |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | আইয়ুব কাদরী |
উত্তরসূরী | দীপু মনি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বিয়ানীবাজার উপজেলা, সিলেট | ৫ জুলাই ১৯৪৫
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বাসস্থান | ঢাকা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ধর্ম | ইসলাম |
শিক্ষা জীবন
তিনি কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিয়ানীবাজার পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ হাইস্কুল, সিলেট এমসি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।[3]
রাজনৈতিক জীবন
তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ষাটের দশকের শুরুতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে। "বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের" এ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুদীর্ঘকাল "ছাত্র ইউনিয়নের" ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়াও, এই বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।[3]
১৯৯৬ সালে ৭ম ও ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা (সিলেট-৬) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৬ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে[3] ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
সমালোচনা
২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটে। এসকল ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নাহিদ সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন।[4] নাহিদ পরবর্তীকালে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে যে বিদ্যমান আইন রয়েছে তা আরো সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।[5]
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক সরকারী অনুষ্ঠানে নিজের ও মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদের দূর্নীতির স্বীকারোক্তি করে নাহিদ বলেন, "আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘুষ খাবেন, তবে সহনশীল হইয়া খাবেন। অসহনীয় হয়ে বলা যায় আপনারা ঘুষ খাইয়েন না, এটা অবাস্তবিক কথা হবে।নানা জায়গায় এ রকম হইছে, সব জায়গাতেই এ রকম হইছে। খালি যে অফিসার চোর, তা না, মন্ত্রীরাও চোর, আমিও চোর। এই জগতে এ রকমই চলে আসতেছে।”[6] [7][8][9]
লেখালেখি
তার লেখা ‘বাঙালি রুখে দাঁড়াও’ (২০০৬), ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, লক্ষ্য ও সংগ্রাম’ (২০০৭), ‘রাজনীতির সুস্থধারা পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম’ (২০০৯), ‘শিক্ষানীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ (২০০৯), বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতন্ত্রের পথ পরিক্রমা (২০১০) সালে প্রকাশিত হয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য বহু বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক কয়েক শ’ নিবন্ধ বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন।[3][10]
পুরস্কার
শিক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা ও অবদানের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস’ বিশ্ব সম্মেলনে ২০১২ সালে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ‘পরিবর্তনের অগ্রদূত’ আখ্যায়িত করে ‘World Education Congress Global Award for outstanding contribution to Education’ পদকে ভূষিত করা হয়।[10]
তথ্যসূত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৪।
- http://www.moedu.gov.bd/index.php?option=com_content&task=view&id=416&Itemid=413
- "সিলেট জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৩ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১১।
- "Education system riddled with flaws"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৪।
- "প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর শাস্তির পরামর্শ শিক্ষাবিদদের"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৪।
- "ঘুষ খান 'সহনশীল মাত্রায়': শিক্ষামন্ত্রী"। দৈনিক মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- "সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- "খালি অফিসাররা চোর না মন্ত্রীরাও চোর, আমিও চোর (ভিডিও)"। দৈনিক মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- "সহনীয় মাত্রায় ঘুষ নেয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর (ভিডিও)"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮।
- "মাননীয় মন্ত্রীঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"।