নিস

নিস (ফরাসি: Nice) পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি শহর। শহরটি ভূমধ্যসাগরের উপকূলে, কোত দাজ্যুর অঞ্চলে, ফ্রান্স-ইতালি সীমান্তের কাছে, ফ্রান্সের মার্সেই ও ইতালির জেনোয়া শহরের মাঝামাঝি অবস্থানে অবস্থিত। গ্রিক জাতির লোকেরা আনুমানিক ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শহরটি প্রতিষ্ঠা করে। খ্রিস্টীয় ১ম শতকে রোমানরা শহরটি দখল করে নেয় এবং এখানে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করে। ১০ম শতকে প্রোভঁস অঞ্চলের কাউন্টগণ অঞ্চলটি শাসন করতেন। ১৩৩৮ সালে শহরটি সাভোয়াত কাউন্টদের কাছে হস্তান্তরিত হয়। ১৮৬০ সালে শহরটিকে ফ্রান্সের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। দৃষ্টিনন্দন পর্বতবেষ্টিত নিস শহরের জলবায়ু আরামদায়ক। এটি ফরাসি রিভিয়েরা অঞ্চলের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ অধিবাসী বাস করে।

নিস

পতাকা

প্রতীক
নীতিবাক্য: Nicæa civitas.
দেশ ফ্রান্স
অঞ্চলপ্রোভঁস-আল্প-কোত দাজ্যুর
অধিদপ্তরআল্প-মারিতিম
নগরের পৌরসভানিস
সরকার
  মেয়র (২০০৮–১৪) ক্রিস্তিয়ঁ এস্ত্রোসি
আয়তন৭১.৯২ কিমি (২৭.৭৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০৮)৩,৪৪,৮৭৫
  ক্রমফ্রান্সে ৫ম
  জনঘনত্ব৪৮০০/কিমি (১২০০০/বর্গমাইল)
  পৌর এলাকা (২০১০)৯,৫৫,০০০
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+০১:০০)
  গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইএসটি (ইউটিসি+০২:০০)
আইএনএসইই/ডাক কোড06088 /
ফ্রান্সের ভূমি রেজিস্টার তথ্য, যার ভেতর হ্রদ, পুকুর, হিমবাহ > ১ বর্গকি.মি.(০.৩৮৬ বর্গ মাইল বা ২৪৭ একর) এবং নদীর মোহনা অন্তর্ভূক্ত নয়।

ইতিহাস

ভিত্তি

নিসে মানুষের পদার্পণ প্রায় চার লক্ষ বছর আগে বলে ধারণা করা হয়।[1] তিয়েরা আমাতা' নামক প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলে প্রাপ্ত আগুন এবং ঘরবাড়ির যে নির্মাণ কাঠামো দেখা গেছে, তা প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার পূর্বের বলে অনুমান করা হয়।[2] নিসের (নিসেইয়া) গোড়াপত্তন সম্ভবত মাসেইলা অঞ্চলে বসবাসকারী গ্রিকদের দ্বারা, এবং তখন তার নাম দেওয়া হয়েছিলো নিকাইয়া (Νικαία বা "Nikaia")। প্রতিবেশী লিগুরিয়ানস নাইকদের সাথে বিজয়কে উপলক্ষ করে এই নাম দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এই নাইকি হচ্ছে গ্রিক পুরাণে বিজয়ের দেবী। এরপর শীঘ্রই এই শহর লিগুরিয়ান উপকূলের ব্যস্তময় বন্দর হয়ে ওঠে। অপরদিকে এর একটি অন্যতম বিরোধী শহর ছিলো সিমেনেলাম, যা ছিলো রোমানদের করায়ত্ব। লোমবার্ডদের আগমনের আগে পর্যন্ত সিমেনেলাম একটি আলাদা শহর হিসেবেই পরিচালিত হতো। সিমেনেলাম ধ্বংস হয়ে সিমিয়েজ শহর গড়ে ওঠে, যা আজ নিসেরই একটি জেলা।

তথ্যসূত্র

  1. "Le Nouveau venu" (French ভাষায়)। Musée de Paléontologie Humaine de Terra Amata। ২০০৯-০৩-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৫
  2. A. G. Wintle; M. J: Aitken (১৯৯৭)। "Thermoluminescence dating of burnt flint: application to a Lower Paleolithic site, Terra Amata"Archaeometry19 (2): 111–130। doi:10.1111/j.1475-4754.1977.tb00189.x অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.