নতুন কুঁড়ি
নতুন কুঁড়ি হচ্ছে শিশু শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশী রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা যেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুস্তফা মনোয়ার।[1] ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেছিল। তখন স্বল্প পরিসরে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো। তখন মুলত শিশু/কিশোরদের মেধা অনুসন্ধান কার্যক্রম বলতে যা বোঝায় সেই ররকম কার্যক্রম হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ারের নির্দেশনায় নতুন কুঁড়ি নামে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। চুড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে জিয়াউর রহমান নিজ হাতে ট্রফি তুলে দিতেন।[2] অনুষ্ঠানটির নাম রাখা হয়েছিলো কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর নামক কবিতা থেকে। যার প্রথম পনেরো লাইন অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হতো।[3][4]
আমরা নতুন আমরা কুঁড়ি নিখিল বন নন্দনে,
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে
ঘুমিয়ে আছে মন্তরে
ঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবো মোরা ফুটবো গো,
অরুণ রবির সোনার আলো দু’হাত দিয়ে লুটবো গো।
নিত্য নবীন গৌরবে
ছড়িয়ে দেব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটবো গো।
সাগর জলে পাল তুলে দে, কেউবা হবে নিরুদ্দেশ,
কলম্বসের মতই বা কেউ পৌঁছে যাবে নতুন দেশ।
জাগবে সারা বিশ্বময়।
এ বাঙালী নিঃস্ব নয়,
জ্ঞান-গরিমা শক্তি-সাহস আজও এদের হয় নি শেষ।
নতুন কুঁড়ি | |
---|---|
ধরণ | মেধা প্রতিযোগিতা |
নির্মাতা | মুস্তফা মনোয়ার |
উপস্থাপক | মাসুমা খাতুন মুস্তফা মনোয়ার |
প্রস্তুতকারক দেশ | বাংলাদেশ |
মূল ভাষা | বাংলা |
নির্মাণ | |
নির্বাহী প্রযোজক | কাজী কাইয়ুম |
সম্প্রচার | |
মূল চ্যানেল | ১৯৬৬-১৯৭১ (পাকিস্তান টেলিভিশন) ১৯৭৬-২০০৬ (বাংলাদেশ টেলিভিশন) |
মূল প্রদর্শনী | ১৯৬৬ | – ২০০৬
বিচারক
- অনিল কিশোন সিনহা[5]
বিজয়ী
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা ছিল শিশু শিল্পী। যেমন:- তারানা হালিম, রুমানা রশীদ ঈশিতা, তারিন আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন, সাবরিন সাকা মীম এবং নুসরাত ইমরোজ তিশা.[2][6]
- তমালিকা কর্মকার (নাচ)[7]
- মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী (নাচ)[8]
- সামিনা চৌধুরী (গান) ১৯৭৭[9]
তথ্যসূত্র
- ফরিদুর রেজা সাগর (৩১ মে ২০১৪)। "নতুন কুড়ি"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৬।
- নভেরা দীপিতা (৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "From BTV to ETV and beyond: The television revolution"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৬।
- http://www.kalerkantho.com/home/printnews/421861/2016-10-28
- https://m.youtube.com/watch?v=YsLG6k6IVmk
- Iqbal Siddiquee (সেপ্টেম্বর ১, ২০০৭)। "Anil Kishon Sinha : A Man for Monipuri Culture"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০১৬।
- Sadya Afreen Mallick (জানুয়ারি ১, ২০০৫)। "Notun Kuri's wasted opportunity"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১৬।
- "Valentine's Day Specials on TV"। The Daily Star। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৭, ২০১৬।
- "Bangladeshi Actress Mehbooba Mahnoor Chandni"। bdalltime। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।
- "Game-Changers"। Amader Kotha। মার্চ ৪, ২০১৪। ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫।