দ্য বীচ (চলচ্চিত্র)

দ্য বীচ (বাংলা: সৈকত) ড্যানি বয়েল পরিচালিত ২০০০ সালের রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্র। এটি আলেক্স গারল্যান্ড রচিত ১৯৯৬ সালের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে, যার চিত্রনাট্য লিখেছেন জন হজ। এতে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ভার্জিনি লিডোয়েন, জিউলাউমি ক্যানেট, রবার্ট কার্লাইল, টিল্ডা সুইন্টন, ও পিটারসন জোসেফ। চলচ্চিত্রটি থাই দ্বীপ কো ফি ফিতে ধারণ করা হয়েছে। এটি ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়।

দ্য বীচ
পৃক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকড্যানি বয়েল
প্রযোজকঅ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড
চিত্রনাট্যকারজন হজ
উৎসআলেক্স গারল্যান্ড কর্তৃক 
দ্য বীচ
শ্রেষ্ঠাংশেলিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
ভার্জিনি লিডোয়েন
জিউলাউমি ক্যানেট
রবার্ট কার্লাইল
টিল্ডা সুইন্টন
পিটারসন জোসেফ
সুরকারঅ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তি
জন কেইল
ব্রায়ান ইনো
চিত্রগ্রাহকদারিয়ুস খন্দজি
সম্পাদকমাসাহিরো হিরাকুবো
পরিবেশকটুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স
মুক্তি
  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০০ (2000-02-11)
দৈর্ঘ্য১১৫ মিনিট
দেশযুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ফরাসি
সুইডিশ
থাই
সার্বিয়ান
নির্মাণব্যয়$৫০ মিলিয়ন[1]
আয়$১৪৪.১ মিলিয়ন[1]

কাহিনী সংক্ষেপ

ব্যাংককে মার্কিন রোমাঞ্চপ্রেমী রিচার্ডের দেখা হয় একটু পাগলাটে ড্যাফির সাথে। ড্যাফি তাকে থাইল্যান্ড উপসাগরের জনমানবশূন্য একটি দ্বীপের কথা বলে, যেখানে একটি লুক্কায়িত সৈকত ও হ্রদ রয়েছে। ড্যাফি তাকে বলে কয়েক বছর আগে সে এবং আরও কিছু পর্যটক সেখানে যায় কিন্তু কিছু সমস্যা দেখা দিলে তার ফিরে আসে। ড্যাফি রিচার্ডকে একটি মানচিত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে। রিচার্ড ফ্রাঙ্কোইস ও এটিয়েন নামে এক ফরাসি যুগলকে সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহী করে এবং তারা তিনজন কো সামুই পাড়ি দেয়। রিচার্ডের দুজন মার্কিনের সাথে দেখা হয় যারা তাকে বলেন ঐ দ্বীপে ক্যানাবি চাষ হয় তার এ ধরনের গুজব শুনেছেন। রিচার্ড তাদের একটি মানচিত্র দিয়ে চলে আসে। দ্বীপে যাত্রাপথে রিচার্ড ফ্রাঙ্কোইসের রূপে মুগ্ধ হন। দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে সাঁতার কেটে অন্য প্রান্তে ওঠে তারা দেখে থাই চাষীরা ক্যানাবি ক্ষেত পাহারা দিচ্ছে। চাষীরা যাতে তাদের না খুঁজে পায় সে লক্ষ্যে তারা তাদের পূর্ব জায়গায় ফিরে আসে।

সৈকতের কমিউনিটির প্রধান সাল তাদের জানায় যে চাষীরা এই কমিউনিটিকে সেখানে থাকতে দিয়েছে কারণ তারা দ্বীপে অন্য কাউকে আসতে দেন না। রিচার্ড তাকে জানায় এই দ্বীপে আসার মানচিত্র কাউকে দেয় নি। তিনজনই এই কমিউনিটির সাথে মিশে যায়। রিচার্ড ও ফ্রাঙ্কোইসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে এটিয়েন জানায় ফ্রাঙ্কোইস যদি রিচার্ডের সাথে সুখী হয় তাহলে তার আপত্তি নেই। কিন্তু রিচার্ড একটি হাঙর মারলে সে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সালের প্রেমিক বাগসের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। কো ফা গান থেকে কিছু জিনিসপত্র আনতে যাওয়ার সময় সাল রিচার্ডকে তার সাথে যাওয়ার কথা বলে। পথিমধ্যে তাদের সেই দুজন মার্কিনদের সাথে দেখা হয় যাদের রিচার্ড মানচিত্র দিয়েছিল। রিচার্ড সালকে জানায় সে তাদের মানচিত্র দেয় নি। সাল তাকে ভয় দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ফিরে এসে রিচার্ড ফ্রাঙ্কোইসকে একথা জানায় না। সবকিছু স্বাভাবিক যাচ্ছিল। হঠাৎ কমিউনিটির একজন জেলে হাঙরের আক্রমণে মারা যায় এবং ক্রিস্টো নামের একজন গুরুতর আহত হয়। সাল তাদের গোপনীয়তা রক্ষার্থে কোন চিকিৎসককে নিয়ে আসতে মানা করে এবং ক্রিস্টোও অন্যত্র যেতে মানা করে। তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে একঘরে করা হয়।

মার্কিনরা পার্শ্ববর্তী দ্বীপে পৌঁছালে, সাল দেখে তাদের কাছে মানচিত্রের একটি কপি রয়েছে এবং রিচার্ডকে তাদের উপর নজর রাখতে বলে। ইতিমধ্যে সাল সবাইকে তার ও রিচার্ডের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে দেয়। ফ্রাঙ্কোইস এতে দুঃখ পায়। রিচার্ডকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। মার্কিনরা দ্বীপে পৌঁছালে চাষীরা তাদের খুঁজে পায় এবং হত্যা করে। রিচার্ড তা দেখে ভীত হয় এবং ফ্রাঙ্কোইস ও এটিয়েনকে নিয়ে এই দ্বীপ ত্যাগ করতে চায়। কিন্তু এটিয়েন হাঙরের কামড়ে আহত ক্রিস্টোকে ছেড়ে যেতে চায় না। রিচার্ড চাষীদের হাতে ধরা পরে এবং তারা তাকে কমিউনিটির কাছে নিয়ে আসে। প্রধান চাষী সালকে একটি বুলেট লোড করা একটি বন্দুক দিয়ে বলে রিচার্ডকে গুলি করতে, তাহলে সে তাদের সেখানে থাকতে দিবে অন্যথায় তাদের এখনি দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সাল ট্রিগার চাপে কিন্তু তা খালি ছিল। সালের হত্যা করতে চাওয়া দেখে সবাই বিস্মিত হয় এবং সবাই দল ছেড়ে তাদের নিজ নিজ পথে চলে যায়। দীর্ঘদিন পরে রিচার্ড সৈকতের কমিউনিটির সাথে তোলা একটি ছবি সম্বলিত ফ্রাঙ্কোইসের একটি ইমেইল পায়।

অভিনয়শিল্পী

  • লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও - রিচার্ড
  • ভার্জিনি লিডোয়েন - ফ্রাঙ্কোইসি
  • জিউলাউমি ক্যানেট - এটিয়েন
  • রবার্ট কার্লাইল - ড্যাফি, সৈকত কমিউনিটির প্রাক্তন সদস্য
  • টিল্ডা সুইন্টন - সাল, সৈকত কমিউনিটির নেতা
  • পিটারসন জোসেফ - কীটি, ক্রিকেটপ্রেমী কমিউনিটি সদস্য
  • লার্স আরেন্টজ-হানসেন - বাগস, সালের প্রেমিক ও সৈকতের কাঠমিস্ত্রী
  • ড্যানিয়েল কাল্টাজিরোন - আনহাইজেনিক্স, কমিউনিটি প্রধান
  • স্টাফান খিলবোম - ক্রিস্টো, কমিউনিটির সুইডিশ জেলে
  • জুক্কা হিল্টুনেন - কার্ল, কমিউনিটির সুইডিশ জেলে
  • ম্যাগনাস লিন্ডগ্রেন - স্টেন, কমিউনিটির সুইডিশ জেলে
  • পিটার ইয়ংব্লাড হিলস - জেফ
  • জেরি সুইন্ডাল - স্যামি
  • অভিজাতি মেউক জুসাকুল - চাষিদের প্রধান

সৈকত কমিউনিটির অন্যান্য সদস্যদের ভূমিকায় ছিলেন জেল্ডা তিন্সকা, ভিক্টোরিয়া স্মারফিট, পিটার গেভিজার, লিডিজা জোভকিচ, স্যামুয়েল গফ, ও হেলেন ডি ফৌজারোলেস। চাষিদের ভূমিকায় আরও অভিনয় করেছেন সান্য গাই চেউনজিত, কানেউং নুয়েং কেনিয়া, সোমচাই সান্তিতারাংকুল, সেং কাউয়ি, সোমকুয়ান সিরোউন। সাসকিলা মুল্ডার ও সিমন হুবের জেফ ও স্যামির সঙ্গী চরিত্রে অভিনয় করেন।

নির্মাণ

দ্য প্যারাডাইজ লোকেশন, মায়া সৈকত, কো ফি ফি লি
কো ফি ফি লি

এওয়ান ম্যাকগ্রেগরকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য নেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরিচালকের সাথে বিবাদের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরিচালক ড্যানি বয়েল লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেন এবং তাকে একটি আমেরিকানের চরিত্র দেওয়া হয়। সেটে একদিন নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে। বয়েল ও ডিক্যাপ্রিও নৌকাতে ছিলেন, কিন্তু কেউ আহত হন নি।[2]

ছবিতে দেখানো সৈকতের দৃশ্য আর আসল সৈকতের দৃশ্য এক নয়। থাইল্যান্ডের আসল সৈকত দুটি পর্বতের মাঝে অবস্থিত। স্পেশাল এফেক্টের মাধ্যমে পোস্ট-প্রোডাকশনের সময় পাশে পর্বত দেখানো হয়েছে। আসল সৈকতও পরিবর্তিত হয়েছে। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প ও সুনামি কারণে সৈকতের কিছু পরিবর্তন আসে।

বয়েল সৈকতে জঙ্গলের দৃশ্য সম্পর্কে বলেন যে তা রেয়ার/নিনটেন্ডো গেইমের বাঞ্জো-কাজুয়ি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা হয়েছে। জলপ্রপাতের দৃশ্যে, যেখানে ডিক্যাপ্রিও ও অন্যান্যরা লাফ দিয়ে পানিতে পরে, তা আসলে মধ্য থাইল্যান্ডের খাও ইয়াই ন্যাশনাল পার্ক-এ ধারণ করা হয়েছে।[3]

বিতর্ক

লোকেশনের ক্ষতি

টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স কো ফি ফি লি সৈকতকে আরও সুন্দর দেখাতে কিছু পরিবর্তন আনলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সৈকতের বিস্তৃতি বাড়াতে কিছু বালি, নারিকেল গাছ ও ঘাস পরিষ্কার করা হয়। ফক্স স্টুডিও অবশ্য সৈকতকে যথাযথ স্থানে নিয়ে আসার জন্য ফান্ড বরাদ্দ রাখে, কিন্তু পরিবেশবাদীরা ইকোসিস্টেমে স্থায়ী প্রভাব ও পুনঃস্থাপন হয় নি বলে একটি মামলা করে।[4] বাকি চিত্রগ্রহণ সৈকতের অন্য প্রান্তে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট গাছের সারির পাশে হয় এবং তা ২০০৪ সালে সুনামির পূর্ব পর্যন্ত তেমনি থাকে। মামলা ২০০৬ সাল পর্যন্ত চলে এবং সে বছর থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগে রুল জারি করে যে এই ছবির চিত্রায়নে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়ে। এই মামলায় দুই পক্ষ ছিল টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স ও থাইল্যান্ডের কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তা।[5]

থাইল্যান্ডকে চিত্রায়ণ

২০০০ সালে থাইল্যান্ডে ছবিটির প্রিমিয়ার হওয়ার পর কয়েকজন রাজনীতিবিদ থাইল্যান্ডকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তাতে রুষ্ট হন এবং এই ছবিকে নিষিদ্ধ করতে বলেন। ছবিতে দেখানো মাদকের সংস্কৃতি থাইল্যান্ডকে খারাপভাবে চিত্রিত করেছে এবং বারে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি রাখাকে ধর্মনিন্দা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[6]

সঙ্গীত

দ্য বীচ: চলচ্চিত্রের সঙ্গীত
অ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তি, জন কেইল, ব্রায়ান ইনো কর্তৃক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত
মুক্তির তারিখ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০
ঘরানাইলেক্ট্রোনিকা, অ্যাম্বিয়েন্ট, রক, ব্রিটপপ
দৈর্ঘ্য৭৬:৫৩
সঙ্গীত প্রকাশনীসায়ার রেকর্ডস
প্রযোজকপিটে তং
ড্যানি বয়েল চলচ্চিত্রের সঙ্গীত কালক্রম
অ্যা লাইফ লেস অর্ডিনারি
(১৯৯৭)অ্যা লাইফ লেস অর্ডিনারি১৯৯৭
দ্য বীচ
(২০০০)
২৮ ডেইজ লেটার
(2002)২৮ ডেইজ লেটার2002
পেশাদারী মূল্যায়ন
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
অলমিউজিক link

দ্য বীচ চলচ্চিত্রের মৌলিক সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তিপেত তং অল সেইন্ট ব্যান্ডের "পিউর শোরস, মোবির "পোরসিলেইন" এবং নিউ অর্ডার ব্যান্ড, ব্লার ব্যান্ড, আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড, অরবিটাল ব্যান্ড, ফেইথলেস, শুগার রে ও অন্যান্যদের গানের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।[7]

গানের তালিকা

নং.শিরোনামলেখককণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."স্নেকব্লাড"নেইল বার্নস, পল ডেলিলেফটফিল্ড৫:৩৯
২."পিউর শোরস" (২০০০ সালের সেইন্টস অ্যান্ড সিনারস অ্যালবাম থেকে)উইলিয়াম অরবিট, সাজনে লুইসঅল সেইন্টস৪:২৪
৩."পোরসিলেইন" (১৯৯৯ সালের প্লে অ্যালবাম থেকে)মোবিমোবি৩:৫৮
৪."ভয়েসেস" (১৯৯৮ সালের সানমেশিন অ্যালবাম থেকে)স্টিফেন স্পেন্সার, পল জেওফ্রি স্পেন্সার, স্কট রসারদারিও জি ফিচারিং ভেনেসা কুইনোনেস৫:১৯
৫."এইট বল"রিক স্মিথ, কার্ল হাইড, ড্যারেন এমারসনআন্ডারওয়ার্ল্ড৮:৫১
৬."স্পিনিং অ্যাওয়ে" (মূল গান গেয়েছিল ব্রায়ান ইনোজন কেইল)ব্রায়ান ইনোজন কেইলশুগার রে৪:২৪
৭."রিটার্ন অফ জ্যাঙ্গো" (মূল গান গেয়েছিল দ্য আপসেটারস)লি "স্ক্র্যাচ" পেরিএশিয়ান ডাব ফাউন্ডেশন ফিচারিং হ্যারি বেকেটসিমন ডি সউজা৪:১৭
৮."অন ইউর ওন" (ক্রাউচ এন্ড ব্রডওয়ে মিক্স)ড্যামন অ্যালবার্ন, গ্রাহাম কক্সন, আলেক্স জেমস, ডেভ রাউন্ট্রিব্লার৩:৩২
৯."ইয়ে কে ইয়ে কে" (হার্ডফ্লোর এডিট)মরি কান্তেমরি কান্তে৩:৫৫
১০."উজি"সিস্টার ব্লিস, ম্যাক্সি জ্যাজ, রোলো আর্মস্ট্রংফেইথলেস৭:৫৩
১১."রিচার্ড, ইট'স বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল"বেরি অ্যাডামসনবেরি অ্যাডামসন৪:১৭
১২."ব্রুটাল"বারনার্ড সামনার, পিটার হুক, স্টিফেন মরিস, জিলিয়ান গিলবার্টনিউ অর্ডার৪:৪৯
১৩."লোনলি সোল" (১৯৯৮ সালের সায়েন্স ফিকশন থেকে)রিচার্ড অ্যাশক্রফট, উইল ম্যালন, ডিজে শ্যাডোআঙ্কল ফিচারিং রিচার্ড অ্যাশক্রফট৮:৫৩
১৪."বীচড"অ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তিঅরবিটালঅ্যাঞ্জেলো বাদালামেন্তি৬:৪৫
মোট দৈর্ঘ্য:৭৬:৫৩

মুক্তি

হোম ভিডিও

ছবিটি ভিএইচএস ও ডিভিডিতে মুক্তি দেওয়া হয়। ডিভিডিতে নয়টি দৃশ্য যোগ করা হয়। ডিভিডির স্পেশাল এডিশনে এই ছবি নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য কি ছিলে এই বিষয়ক ড্যানি বয়েলের ভাষ্যসহ শুরুর দিকটা পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি একতি ভিন্ন সমাপ্তি দেখানো হয়, যেখানে সাল আত্মহত্যা করে এবং সবাই ভেলা থেকে নৌকায় ওঠে আসে।

মূল্যায়ন

বক্স অফিস

চলচ্চিত্রটির বাজেট ছিল $৫০ মিলিয়ন। এটি বিশ্বব্যাপি $১৪৪.১ মিলিয়ন আয় করে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় করে $৩৯ মিলিয়ন।[8]

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করলেও সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া ছিল বেশিরভাগই নেতিবাচক। রটেন টম্যাটোস-এ ১১৬টি সমালোচনার ভিত্তিতে এই ছবির রেটিং স্কোর মাত্র ১৯% এবং গড় রেটিং ৪.৪/১০। এতে বলা হয় চিত্রগ্রহণে নৈপুন্যতা থাকলেও চলচ্চিত্রটি কেন্দ্রীয় বিষয়চ্যুত ছিল এবং সঠিকভাবে উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় নি।[9] মেটাক্রিটিক-এ ৩৪ সমালোচনার ভিত্তিতে ছবিটির রেটিং স্কোর ৪৩।[10]

সমালোচকেরা বলেন যে ডিক্যাপ্রিওর তিন বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত জেমস ক্যামেরন পরিচালিত টাইটানিক ছবিটির সফলতায় সাহায্য করেছে। সিএনএন'র পল ক্লিনটন বলেন, ডিক্যাপ্রিওর প্রধান ফ্যান হল কিশোরীরা এবং তারা দ্য বীচ দেখে অতৃপ্ত হবে না। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সমালোচকদের সাথে একমত যে এই চলচ্চিত্র নিয়ে লেখার মোট কিছু নেই।[11] ডিক্যাপ্রিও এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বাজে অভিনেতার জন্য গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার-এ মনোনীত হন।

তথ্যসূত্র

  1. "The Beach"বক্স অফিস মোজো
  2. "Reddit AMA with Tilda Swinton"রেডিট। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  3. "Where was 'The Beach' Filmed?"আইব্যাকপ্যাকট্রাভেল। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  4. John (অক্টোবর ২৯, ১৯৯৯)। "DiCaprio film-makers face storm over paradise lost"The Guardian via thaistudents.com। ১১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  5. "Filming 'damaged beach'"December 1, 2006। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  6. "Thai MPs call for Beach ban"বিবিসি। ৯ মার্চ ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  7. "One half of Leftfield, Neil Barnes, tells why he can't wait to give Rockness a blast of the coolest sounds down memory lane"দ্য স্কটসম্যান। ২৫ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  8. "The Beach (2000)"বক্স অফিস মোজো। ২০০২-০৮-২৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  9. "The Beach"রটেন টম্যাটোস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  10. "The Beach"মেটাক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬
  11. "CNN Review - The Beach"মেটাক্রিটিক। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.