ড্যানি ওয়েলব্যাক
ড্যানিয়েল নিল ট্যাকি মেনছাহ ওয়েলব্যাক "ড্যানি" ওয়েলব্যাক ( জন্ম ২৬ নভেম্বর ১৯৯০) একজন ইংলিশ ফুটবলার যিনি প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলে থাকেন। তিনি মূলত একজন ফরোয়ার্ড হলেও উইং দিয়ে খেলতেও সমান পারদর্শী।
![]() ২০১২ উয়েফা ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন ওয়েলব্যাক | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ড্যানিয়েল নিল ট্যাকি মেনছাহ ওয়েলব্যাক[1] | ||
জন্ম | [1] | ২৫ নভেম্বর ১৯৯০||
জন্ম স্থান | লংসাইট, ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড | ||
উচ্চতা | ১.৮৫ মি (৬ ফু ১ ইঞ্চি)[2] | ||
মাঠে অবস্থান |
উইঙ্গার ফরোয়ার্ড | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ১৯ | ||
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন | |||
২০০১–২০০৮ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অ্যাকাডেমি ও রিজার্ভ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | |||
বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† |
২০০৮– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৮০ | (১৯) |
২০১০ | → প্রিস্টোন নর্থ এন্ড(ধারে) | ৮ | (২) |
২০১০–২০১১ | → সান্ডারল্যান্ড(ধারে) | ২৬ | (৬) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬–২০০৭ | ইংল্যান্ড অনূর্ব্) ১৭ | ১১ | (২) |
২০০৭–২০০৮ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৮ | ২ | (২) |
২০০৮–২০০৯ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯ | ৮ | (২) |
২০০৯–২০১১ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ২১ | ১৪ | (৫) |
২০১১– | ইংল্যান্ড | ২০ | (৮) |
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুবদলে বেড়ে উঠা ওয়েলব্যাকের ইউনাইটেডের সিনিয়র টিমে অভিষেক ও প্রথম গোল করেন ২০০৮ সালে। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৮-০৯ সালের ফুটবল লীগ কাপ ও ২০০৮ ফিফা ক্লাব ওয়াল্ড কাপ জেতেন। এর পর তিনি প্রিস্টোন নর্থ এন্ড এবং সান্ডারল্যান্ড ফুটবল ক্লাবে ধারে খেলেছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুম থেকে তিনি ইউনাইটেডের প্রথম একাদশে নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেন।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলে তার অভিষেক ঘটে ঘানার বিরুদ্ধে, যেই খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়।ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি তার প্রথম গোল করেন ২ জুন ২০১২ সালে, যেই খেলায় ইংল্যান্ড তার একমাত্র গোলে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।
ক্লাব ক্যারিয়ার
প্রাথমিক ক্যারিয়ার
ম্যানচেস্টারের লংসাইটে জন্মানো[4] ওয়েলব্যাক মাত্র ৬ বছর বয়সে ইউনাইটেডের নজরে আসেন।[5] তার বাবা মা উভয়েই ঘানার অধিবাসী ছিলেন।[6] ৮ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় দল ফ্লেচার মসের হয়ে ভাল পারফর্মেন্স দেখান যার ফলে তাকে ইউনাইটেডের যুব একাডেমীতে নিয়ে আশা হয়।[7] তিনি ইউনাইটেডে যোগ দেন ২০০৫-০৬ মৌসুমে এবং ৮ই এপ্রিল ২০০৬ সালে সান্ডারল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ইউনাইটেডের অনুর্ধ ১৮ দলের হয়ে তার অভিষেক ঘটে। এর পরবর্তী মৌসুমে তিনি ২৮ টি খেলায় মাঠে নামেন এবং ৯টি গোল করেন, এর মধ্যে এফএ ইয়ুথ কাপে ৮খেলায় ১ গোল করেন যা তার দলকে ফাইনালে পৌছাতে সাহায্য করে।[8]
জুলাই ২০০৭ সালে তিনি প্রশিক্ষনার্থী চুক্তি সাইন করেন এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমের শুরুর দিকেই ইউনাইটেডের রিজার্ভ টিমে উন্নীত হন। ২০০৮ সালে সৌদি আরব সফরের জন্য তিনি ইউনাইটেডের প্রথম দলে ডাক পান। ২১ জানুয়ারি ২০০৮ সালে সৌদিআরবের দল আল-হিলালের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ঘটে; খেলার ৬৫ মিনিটের মাথায় তিনি অ্যান্ডারসনের বদলী হয়ে মাঠে নামেন। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক ১ মিনিট আগে তিনি পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন যার ফলে ইউনাইটেড ম্যাচটি ২-৩ গোলে হেরে যায়।[9]
২৫ জানুয়ারি ২০০৮ সালে ইউনাইটেড ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন জানান যে, ২০০৭-০৮ মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য তিনি ওয়েলব্যাককে প্রথম একাদশের জন্য বিবেচনা করবেন।[10]
প্রতিযোগিতাপুর্ণ খেলায় তার অভিষেক ঘটে ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে মিডেলসবার্গের বিরুদ্ধে লীগ কাপের ম্যাচে; ম্যাচটি শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মাথায় ওয়েলব্যাক গোল করার সম্ভবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।[11] লীগ কাপের ৪র্থ রাউন্ডের খেলায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ৭২ মিনিটে রদ্রিগো পসেবনের বদলী হিসেবে মাঠে নামেন। এর কিছু মিনিট পরে পিটার র্যামেজ তাকে ডি-বক্সের ভিতরে ফেলে দেন যার ফলে ইউনাইটেড পেনাল্টি পায়; তেভেজ ওই পেনাল্টিকে গোলে রূপান্তর করেন যার ফলে ইউনাইটেড ১-০ গোলে জয় লাভ করে।[12] ১৫ নভেম্বর ২০০৮ সালে প্রিমিয়ার লীগে স্টোক সিটির বিরুদ্ধে তার অভিষেক ম্যচে ৬৩ মিনিটে পার্ক জি-সুং এর বদলী হিসেবে মাঠে নামেন।ওই ম্যাচে তার ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া বাঁকানো শটে গোল করেন, যা ইউনাইটেডের ৫-০ জয়ের মধ্যে ৪র্থ গোল ছিল।[13]
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে তিনি ২০০৮-০৯ মৌসুমের তার প্রথম গোল করেন; লীগ কাপের ওই খেলায় তার একমাত্র গোলে উলভারহ্যাম্পটনের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড ১-০ গোলে জয়লাভ করে। [14] ২৭ অক্টোবর লীগ কাপের পরের ম্যাচেও তিনি বার্নসলির বিরুদ্ধে গোল গোল করেন।[15] ২৫ নভেম্বর ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লীগে বেসিক্টাসের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ঘটে।[16] ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে ওয়েলব্যাক ইউনাইটেডের সাথে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেন।[17]
ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান
ক্লাব
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | এফএ কাপ | লীগ কাপ | ইউরোপ | অন্যান্য | সর্বমোট | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ২০০৮-০৯ | ৩ | ১ | ৫ | ২ | ৫ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ১৩ | ৩ |
২০০৯-১০ | ৫ | ০ | ১ | ০ | ৩ | ২ | ২ | ০ | ০ | ০ | ১১ | ২ | |
প্রিস্টোন নর্থ এন্ড (ধারে) | ২০০৯-১০ | ৮ | ২ | ০ | ০ | ০ | ০ | – | – | ৮ | ২ | ||
সান্ডারল্যান্ড (ধারে) | ২০১০-১১ | ২৬ | ৬ | ০ | ০ | ২ | ০ | – | – | ২৮ | ৬ | ||
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ২০১১-১২ | ৩০ | ৯ | ২ | ১ | ১ | ০ | ৫ | ২ | ১ | ০ | ৩৯ | ১২ |
২০১২-১৩ | ২৭ | ১ | ৪ | ০ | ২ | ০ | ৭ | ১ | – | ৪০ | ২ | ||
২০১৩-১৪ | ১৫ | ৮ | ০ | ০ | ২ | ০ | ১ | ১ | ১ | ০ | ১৯ | ৯ | |
সর্বমোট | ৮০ | ১৯ | ১২ | ৩ | ১৩ | ২ | ১৫ | ৪ | ২ | ০ | ১২২ | ২৮ | |
ক্যারিয়ার সর্বমোট | ১১৪ | ২৭ | ১২ | ৩ | ১৫ | ২ | ১৫ | ৪ | ২ | ০ | ১৫৯ | ৩৬ |
তথ্যসূত্র
- Hugman, Barry J., সম্পাদক (২০১০)। The PFA Footballers' Who's Who 2010–11। Mainstream Publishing। পৃষ্ঠা 431। আইএসবিএন 978-1-84596-601-0।
- "Player Profile: Danny Welbeck"। premierleague.com। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১২।
- "Daniel Welbeck FA Profile"। TheFA.com। The Football Association। ৯ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১০।
- Bernstein, Joe (২২ অক্টোবর ২০১১)। "With 21 nationalities at the ready there is only one local hero in Manchester"। Mail Online। Associated Newspapers। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৩।
- Kelso, Paul (১৫ ডিসেম্বর ২০১১)। "Manchester United's Brian McClair insists new academy rules are essential to help England catch up with rivals"। The Daily Telegraph। Telegraph Media Group। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১১।
- Thompson, Gemma (২০ নভেম্বর ২০০৮)। "Papers: Credit to Cole"। ManUtd.com। Manchester United। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০০৮।
- Bernstein, Joe (২৪ মার্চ ২০১২)। "EXCLUSIVE: My dad didn't have the heart to tell me I was rejected by City, says Welbeck"। Daily Mail। Associated Newspapers। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৩।
- Bostock, Adam (২২ আগস্ট ২০১১)। "Welbeck hails coaches"। ManUtd.com। Manchester United। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১১।
- Coppack, Nick (২১ জানুয়ারি ২০০৮)। "Report: Al Hilal 3 United 2"। ManUtd.com। Manchester United। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০০৮।
- Bartram, Steve (২৫ জানুয়ারি ২০০৮)। "Welbeck set for step up"। ManUtd.com। Manchester United। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০০৮।
- "Man Utd 3–1 Middlesbrough"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- Lyon, Sam (১১ নভেম্বর ২০০৮)। "Man Utd 1–0 QPR"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮।
- Barder, Russell (১৫ নভেম্বর ২০০৮)। "Man Utd 5–0 Stoke"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০০৮।
- Lyon, Sam (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Man Utd 1–0 Wolverhampton"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- Stevenson, Jonathan (২৭ অক্টোবর ২০০৯)। "Barnsley 0–2 Man Utd"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০০৯।
- McNulty, Phil (২৫ নভেম্বর ২০০৯)। "Man Utd 0–1 Besiktas"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০০৯।
- "Danny Welbeck signs new Manchester United contract"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১১ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০০৯।