জিয়া খান

জিয়া খান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তিনি ছিলেন একজন ভারতীয়-আমেরিকার ব্যবসায়ী আলী রিজভী খান এবং উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় জন্মগ্রহণকারী ১৯৮০ এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাবিয়া আমিন কন্যা।[3] যখন তার মাত্র ২বছর বয়স তখন তার বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যান এবং আর কখনো ফিরে আসেননি। তার বাবার অনুপস্থিতি বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে জিয়া বলেন, "তিনি এমন একজন পুরুষ, যিনি ২ বছর বয়সী কন্যাকে ফেলে গেছেন, তাকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া উচিত"। তার ফুফা ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী সঙ্গীতা (জন্মনাম: পারভীন রিজভী) এবং কবিতা (জন্মনাম: নাসরিন রিজভী)।[4] খান লন্ডনে বেড়ে ওঠেন এবং সেখানেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে ক্যারিয়ার গড়তে বলিউডে পা রাখেন।[2] তার কবিতা ও কারিশমা নামে ২টি ছোট বোন রয়েছে।[5] মাত্র ৬ বছর বয়সে রাম গোপাল ভার্মার চলচ্চিত্র রঙ্গিলায় উর্মিলা মাতন্ডকরের শিশু চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন।[6][7]

২০১৩ সালের ৩ জুন তারিখে, জিয়া মুম্বাইয়ের জুহু পরিবারের বাসভবনের নিজের শয়নকক্ষে রাত আনুমানিক প্রায় ১১:৪৫ এর সময় নিজের ছাদের সিলিং ফ্যানে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন, যেখানে তার মাতা রাবিয়া ও বোন কবিতা বাড়িতে ছিলেন না।

বাইকুল্লার জে.জে. হাসপাতালের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়।[8] ২০১৩ সালের ৫ জুন বুধবার সকাল ৭ ঘটিকার দিকে তার মৃতদেহটি ময়না তদন্ত শেষে তার বাসায় ফিরিয়ে আনা হয়।[9]

উইকিমিডিয়া কমন্সে জিয়া খান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

• অফিসিয়াল সাইট
• ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জিয়া খান (ইংরেজি)
• টুইটারে জিয়া খান