জারণ
জারণ হলো এক প্রকারের বিক্রিয়া যাতে কোনো রাসায়নিক সত্তা (অণু, পরমাণু, মূলক বা আয়ন) ইলেকট্রন প্রদান করে। জারণ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে যে সত্তা তাকে বিজারক ও যার দ্বারা জারণ সংঘটিত হয় তাকে জারক বলে। যে পদার্থটির জারণ ঘটে, তা জারিত হয়েছে বলা হয়।
পুরাতন সংজ্ঞা
যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগে কোনো তড়িৎ ঋণাত্বক পরমাণু বা মূলক সংযুক্ত হয় বা তাদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা কোনো তড়িৎ ধনাত্বক পরমাণু বা মূলকের অপসারণ ঘটে বা তাদের অনুপাত হ্রাস পায়, সেই বিক্রিয়াকে জারণ বলা হয়।[1]
উদাহরণ
সোডিয়াম ও ক্লোরিন বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড তৈরি হওয়া (2Na+Cl2=2NaCl) এধরনের জারণ প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ। এ বিক্রিয়ায় সোডিয়াম পরমাণুর সাথে তড়িৎ ঋণাত্বক ক্লোরিন সংযুক্ত হয়েছে। সুতরাং সোডিয়ামের জারণ ঘটেছে।
শর্ত
জারণ বিক্রিয়া একটি যুগপৎ বিক্রিয়া। এটি বিজারণ বিক্রিয়ার সাথে একইসাথে সংঘটিত হয়। যেমন উপরের উদাহরণে একইসাথে ক্লোরিনের বিজারণ ঘটেছে। উক্ত বিক্রিয়ায় সোডিয়াম একটি ইলেকট্রন দান করে এবং যুগপৎভাবে ক্লোরিন সেটি গ্রহণ করে। ফলে বিক্রিয়ায় সোডিয়াম বিজারক ও ক্লোরিন জারক।
Na -e-→Na+ (ইলেকট্রন দান বা জারণ)
Cl+e-→Cl- (ইলেকট্রন গ্রহণ বা বিজারণ)
তথ্যসূত্র
- মাধ্যমিক রসায়ন; পৃষ্ঠা -৭৯। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২।