জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর গ্রামে কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে মাদ্রাসাটির অবস্থান।[3]

১৫ই এপ্রিল ১৯৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের শায়খ শিহাবুদ্দীন।[4] মাদ্রাসাটি কয়েক দশক ধরে আলিম, দায়ী, লেখক, বক্তা, রাজনীতিক, মুসলিহ ও সমাজসেবক তৈরি করেছে। ইসলামী শিক্ষা, ওয়াজ-নসিহত, মসজিদ মাদরাসা পরিচালনা, লেখালেখি, রাজনীতিক সব সেক্টরেই নিরন্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে।[4]

জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর এর মৌলিক কাজ হজ্ছে ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসার। পাশাপাশি দাওয়াত ও তাবলীগ, আত্মশুদ্ধি, সমাজ সংস্কার, মসজিদ-মকতব-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, ইসলামী মূল্যবোধ তৈরি, বই-পুস্তক রচনা, অনুবাদ, প্রকাশনা, ইসলামী সাহিত্যের বিকাশ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।[5] মাদ্রাসায় রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে প্রায় ১২,০০০ হাজার গ্রন্থ রয়েছে। [3] দারসে নেজামীর সকল কিতাব এবং চার মাজহাবের উল্লেখযোগ্য কিতাবাদি গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।[6]

উল্লেখযোগ্য কয়েকজন- [4]

• ফখরুদ্দীন সাদিক
• ফয়যুল হাসান খাদিমানী
• খায়রুল ইসলাম
• হাফিজ ফখরুজ্জামান
• আব্দুল মালিক কাসেমী

জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর একদম শিশু শ্রেণী থেকে উচ্চতর পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাদান করে থাকে। শিক্ষাস্তর : ১. এ, সি, ই, একাডেমী (শিশু শ্রেণী) ২. হিফ্‌য-উল-কুরআন ৩. সাধারণ ইসলামি শিক্ষা। [7]

শিক্ষাবিভাগ তিন স্তরে বিভক্তঃ ১) কিতাব বিভাগ, ২) হিফয বিভাগ, ৩) এ,সি,ই একাডেমী (শিশুশিক্ষা বিভাগ)[7]

কিতাব বিভাগে পাঁচটি মারহালা বা স্তরঃ ১.ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাথমিক) ২.মুতাওয়াসসিতা (মাধ্যমিক) ৩.সানাবিয়্যা (উচ্চ মাধ্যমিক) ৪.ফযিলত (স্নাতক) ৫.তাকমীল (মাস্টার্স)।[7]

হিফয বিভাগঃ হিফয বিভাগে হিফযে কুরআন[7]

এ.সি.ই একাডেমী: এ.সি.ই একাডেমী হচ্ছে শিশুশিক্ষা বিভাগ। এই বিভাগে তিনবছর মেয়াদী কোর্সে কোমলমতি শিশুদেরকে ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা দেয়া হয়। পাশাপাশি বাংলা, গণিত, ইংরেজিসহ সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক স্তরও পড়ানো হয়।[7]

• আঙ্গুরা মাদ্রাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
• কওমীপিডিয়া