জর্জ মাইকেল
জর্জ মাইকেল একজন ইংরেজ পপ গায়ক, সুরকার, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক এবং সমাজ সেবক ছিলেন। হোয়াম! ব্যান্ডের গায়ক থাকাকালীন সময়ে আশির দশকে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে তার আ্যালবামের কপি ১০০ মিলিয়নের অধিক বিক্রি হয়েছে, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল শিল্পীদের একজন করে তোলে। বিলবোর্ড হট ১০০ টপ অল-টাইম আর্টিস্টস এর মতে জর্জ মাইকেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ১০০ শিল্পীর মধ্যে ৪০তম। মাইকেল তার ৩০ বছরের সঙ্গীত জীবনে অনেক এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, তিনি গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ডের জন্য ৮ বার মনোনীত হন এবং দুইবার জিতে নেন।
জর্জ মাইকেল | |
---|---|
![]() ১৯৮৮ সালে ফেইথ ওয়ার্ল্ড ট্যুর মঞ্চে মাইকেল | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম নাম | Georgios Kyriacos Panagiòtou |
জন্ম | East Finchley, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ২৫ জুন ১৯৬৩
উদ্ভব | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ (বয়স ৫৩) অক্সফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড |
ধরন | Post-disco, dance-pop, blue-eyed soul, পপ |
পেশা | গায়ক, সুরকার, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক |
বাদ্যযন্ত্রসমূহ | ভোকালস, গিটার, বাস, কীবোর্ড, পিয়ানো, ড্রামস, ঘাতবাদ্য, হর্ণ |
কার্যকাল | ১৯৮২ - ২০১৬ |
লেবেল | Aegean, কলম্বিয়া, সনি |
সহযোগী শিল্পী | হোয়াম!, Band Aid, Aretha Franklin, এলটন জন, Mary J. Blige, Mutya Buena, Whitney Houston, Jody Watley |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
তার অন্যতম বিখ্যত গান কেয়ারলেস হুইসপার ১৯৮৪ সালে হোয়াম! ব্যান্ডের গায়ক থাকাকালীন সময়ে প্রকাশিত হয়। ১৭ বছর বয়সে তিনি এই গানটি তার বন্ধু অ্যান্ড্র রিজলির সাথে মিলে লিখেছিলেন। ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত এই গানটি সারা বিশ্বে ৬০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয় এবং ২৫টি দেশে টপ চার্টের ১ নাম্বারে চলে আসে। [1] ১৯৮৪ সালে তার আরেকটি জনপ্রিয় গান লাস্ট ক্রিসমাস প্রকাশ করেন, এটি ব্রিটেনের সর্বাধিক বিক্রিত গান, যেটি কখনও টপ চার্টের ১ নম্বরে পৌঁছুতে পারেনি। একই বছরে দুর্ভিক্ষ পীড়িত আফ্রিকার সাহায্য গঠিত ব্যান্ড এইড-এর সঙ্গে ডু দে নো ইটস ক্রিসমাস’ গানটিতে অংশ নেন মাইকেল। এটি বড়দিনের মৌসুমের এক নম্বর গান হিসেবে টপচার্টে অনেকদিন অবস্থান করে।
১৯৮১ সালে জর্জ মাইকেল তার বন্ধু অ্যান্ড্র– রিজলির সাথে হোয়াম! গঠন করেছিলেন। হোয়ামের মাধ্যমে গায়ক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে হোয়াম! ভেঙে যাবার পর মাইকেল সলো ক্যারিয়ার শুরু করেন, এবং একক ক্যারিয়ারেও পান জনপ্রিয়তা।
১৯৮৭ সালে বের হওয়া তার প্রথম একক আ্যালবাম ফেইথ বিশ্বজুড়ে ২০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয়।
প্রাথমিক জীবন
জর্জ মাইকেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় কাটান নর্থ ওয়েষ্ট লন্ডনের কিংসব্যারিতে, যেখানে তার তার বাবা মা বাড়ি কিনে চলে আসেন তার জন্মের কিছুদিন পরেই। এবং মাইকেল কিংসব্যারি হাই স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি কৈশরে তার পরিবারের সাথে রেডলেট, হার্টফোর্ডশায়ারে চলে আসেন এবং এখানেই তার সঙ্গীত জগতের বন্ধু আ্যন্ড্রু রিজেলির সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়। মাইকেল সঙ্গীত ব্যবসার সাথে যুক্ত হন যখন তিনি ডিজে পার্টিতে কাজ শুরু করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
জর্জ মাইকেল জন্ম গ্রহণ করেন নর্থ লন্ডনের ইস্ট ফিঞ্চলিতে। তার বাবা কাইরিয়াকস পানাইয়াতো সাইপ্রাসে বেড়ে ওঠা গ্রিক বংশোদ্ভূত এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। পঞ্চাশের দশকে তার বাবা পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হন এবং নিজের আগের নাম বদলে জ্যাক পানোস নাম স্থির করেন। তার মা লেসলি অ্যাঙ্গন্ড (১৯৩৭-১৯৯৭) একজন ইংরেজ নতর্কী ছিলেন। গ্রিক বংশদ্ভুত জর্জ মাইকেলের প্রকৃত নাম ছিলো জিওরগোস কিরিয়াকোস পানাইয়োতু। কিন্তু তিনি পেশাগতভাবে জর্জ মাইকেল নামেই পরিচিত। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে যুক্তরাজ্যের ইরাক অভিযানের দৃঢ় সমালোচনা করেছিলেন জর্জ মাইকেল। এর আগের বছর বিষয়টি নিয়ে শুট দ্য ডগ নামের একটি একক আ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি, যেখানে টনি ব্লেয়ার এবং জর্জ ডব্লিউ. বুশকে বিদ্রুপ করে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। আমৃত্যু নিজেকে একজন ‘বিটলস’ ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়ে গেছেন জর্জ মাইকেল। ২০০০ সালে প্রায় ১৭ লাখ পাউন্ড দিয়ে জন লেননের ব্যবহৃত পিয়ানোটি নিলামে কিনেছিলেন তিনি। পরের বছর আবার সেটি দান করে দেন বিটলস জাদুঘরে। [2]
সম্পদ
সানডে টাইমস রিচ লিস্ট ২০১৫ এ প্রকাশিত রির্পোট অনুসারে জর্জ মাইকেলের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় £১০৫ মিলিয়ন পাউন্ড।[3]
মৃত্যু
২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের দিন জর্জ মাইকেল তার অক্সফোর্ডশায়ারের নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। [4]
ডিস্কোগ্রাফি
- ফেইথ (১৯৮৭)
- লিসেন উইথআউট প্রিজুডিস Vol. 1 (১৯৯০)
- ওল্ডার (১৯৯৬)
- সংস ফ্রম দা লাস্ট সেঞ্চুরি (১৯৯৯)
- প্যাটেন্স (২০০৪)
তথ্যসূত্র
- http://www.independent.co.uk/arts-entertainment/music/news/george-michael-dead-careless-whisper-best-songs-wham-a7497381.html
- http://bangla.bdnews24.com/glitz/article1263093.bdnews
- Nightingale, Laura (২০১৫-০৪-২৭)। "The One Directions lads are already worth £25m each!"। getsurrey। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২৭।
- http://edition.cnn.com/2017/03/07/europe/george-michael-death-natural-causes-coroner/