চুপুংমুং

চুপুংমুং (ইংরেজি: Supungmung) বা চক্রধ্বজ সিংহ আহোম সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন। তিনি চারিঙের দেওরাজার নাতি ছিলেন।[1] রাজার সিংহাসনে বসে তিনি হিন্দুনাম চক্রধ্বজ সিংহ নাম গ্রহণ করেন। তিনি ১৬৬৩ সন থেকে ১৬৭০ সন পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। চুপুংমুর শাসনকালে মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেবের নির্দেশে রামসিংহ অসম আক্রমণ করেছিল[2] এবং এরথেকেই পরবর্তী সময়ে শরাইঘাট যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।[3]

আহোম রাজবংশ
চুকাফা১২২৮১২৬৮
চুতেফা১২৬৮১২৮১
চুবিন্‌ফা১২৮১১২৯৩
চুখাংফা১২৯৩১৩৩২
চুখ্ৰাংফা১৩৩২১৩৬৪
শাসক নেই১৩৬৪১৩৬৯
চুতুফা১৩৬৯১৩৭৬
শাসক নেই১৩৭৬১৩৮০
ত্যাও খামটি১৩৮০১৩৮৯
শাসক নেই১৩৮৯১৩৯৭
চুডাংফা১৩৯৭১৪০৭
চুজান্‌ফা১৪০৭১৪২২
১০চুফাকফা১৪২২১৪৩৯
১১চুচেন্‌ফা১৪৩৯১৪৮৮
১২চুহেন্‌ফা১৪৮৮১৪৯৩
১৩চুপিম্‌ফা১৪৯৩১৪৯৭
১৪চুহুংমুং১৪৯৭১৫৩৯
১৫চুক্লেনমুং১৫৩৯১৫৫২
১৬চুখাম্‌ফা১৫৫২১৬০৩
১৭চুচেংফা১৬০৩১৬৪১
১৮চুরাম্‌ফা১৬৪১১৬৪৪
১৯চুত্যিন্‌ফা১৬৪৪১৬৪৮
২০চুতাম্লা১৬৪৮১৬৬৩
২১চুপুংমুং১৬৬৩১৬৭০
২২চুন্যাৎফা১৬৭০১৬৭২
২৩চুক্লাম্‌ফা১৬৭২১৬৭৪
২৪চুহুং১৬৭৪১৬৭৫
২৫গোবর রাজা১৬৭৫১৬৭৫
২৬চুজিন্‌ফা১৬৭৫১৬৭৭
২৭চুদৈফা১৬৭৭১৬৭৯
২৮চুলিক্‌ফা১৬৭৯১৬৮১
২৯চুপাৎফা১৬৮১১৬৯৬
৩০চুখ্রুংফা১৬৯৬১৭১৪
৩১চুতংফা১৭১৪১৭৪৪
৩২চুনেন্‌ফা১৭৪৪১৭৫১
৩৩চুরাম্‌ফা১৭৫১১৭৬৯
৩৪চুন্যেওফা১৭৬৯১৭৮০
৩৫চুহিত্পাংফা১৭৮০১৭৯৫
৩৬চুক্লিংফা১৭৯৫১৮১১
৩৭চুদিংফা১৮১১১৮১৮
৩৮পুরন্দর সিংহ১৮১৮১৮১৯
৩৯চুদিংফা১৮১৯১৮২১
৪০যোগেশ্বর সিংহ১৮২১১৮২২
৪১পুরন্দর সিংহ১৮৩৩১৮৩৮
চুপুংমুং
অসমের রাজা
রাজত্ব১৬৬৩-১৬৭০
রাজ্যাভিষেক১৬৬৩
উত্তরসূরিচুন্যৎফা
মৃত্যুএপ্রিল ১৬৭০
পূর্ণ নাম
চক্রধ্বজ সিংহ

উল্লেখযোগ্য কার্য ও ঘটনাসমূহ

নগা ও মিরির বিরুদ্ধে অভিযান

১১৬৫ সনে বানসনীয়া (নক্টে) নগা ও বানফেরা নগা জনজাতির সহিত বিবাদ হওয়ার ফলে বানফেরা নগারা আহোম সাম্রাজ্য থেকে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। ফলে চুপুংমুং একদল আহোম সৈন্য পাঠিয়ে বানসনীয়া নগাকে দমন করেন। এইসময়ে মিরিরা সুযোগ পেয়ে আহোম রাজ্যে প্রবেশ লুন্ঠন করে যদিও চুপুংমুং অভিযান চালনোর ফলে মিরিরা পালিয়ে যায়[2]

মোগলের সহিত সংঘর্ষ

চক্রধ্বজ সিংহের নির্দেশমতে ১৬৬৭ সনের আগষ্ট মাসে মোগলে দখলে থাকা গুয়াহাটি আহোমের অধীনে আনার জন্য অভিযান চালানো হয়। মোমাই তামুলী বরবরুয়া ও তাঁর পুত্র লাচিত বরফুকন অভিযানের সেনাপতি ছিলেন। তাঁদের নেতৃত্বে আহোম সেনারা কাজলি, বাঁহবাড়ি, গুয়াহাটি ও পাণ্ডু অধিকার করতে সক্ষম হয়।[4][5] শিলঘাটে অবস্থিত একটি কামানের উপরে সংস্কৃত ভাষায় লেখা রয়েছে যে- ১৬৬৭ সনে চক্রধ্বজ সিংহ মোগলদের পরাস্ত করে এই অস্ত্র পেয়েছে। শত্রু নিধনকারী রুপে এইটিই তাঁর গৌরবের বিষয়।[2] ১৬৬৭ সনে ডিসেম্বর মাসে গুয়াহাটি আহোমের অধীনে হওয়ার খবর পেয়ে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব অসম আক্রমণ করার জন্য রামসিংহকে আদেশ করে[6]

মৃত্যু

১৬৬৯ সনে সংঘটিত আলাবৈর যুদ্ধের কিছুদিন পর[2] ১৬৭০ সনের এপ্রিল মাসে[5] চক্রধ্বজ সিংহের মৃত্যু হয়[6]

তথ্যসূত্র

  1. ভারতর বুরঞ্জী (১৯৮৬ চন); এম.এল. কাথবরুৱা, নীলমণি ফুকন, হরি প্রসাদ দাস, দেৱকান্ত দত্তবরুৱা, বরুৱা এজেন্সি, পৃষ্ঠা ১৩২, ১৩৩, ২৫ মার্চ, ২০১৩
  2. অসম দেশর বুরঞ্জী (১৯৮৭ চন), ড° লক্ষ্মী দেৱী, এলবিএছ পাব্লিকেশ্যন, পৃষ্ঠা ২৫২-২৬১, ২৫ মার্চ, ২০১৩
  3. Assam General Knowledge। Bright Publications। পৃষ্ঠা 30–। আইএসবিএন 978-81-7199-451-9। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৩
  4. "History of Assam"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ, ২০১৩ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. Col Ved Prakash (১ জানুয়ারি ২০০৭)। Encyclopaedia Of North-east India Vol# 1। Atlantic Publishers & Dist। পৃষ্ঠা 194–। আইএসবিএন 978-81-269-0703-8। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৩
  6. লাচিত বরফুকন (১৯৯০ চন), ড° সূর্য্যকুমার ভূঞা, অসম প্রকাশন পরিষদ, পৃষ্ঠা ২৫, ৭০, আহরণ: ২৫ মার্চ, ২০১৩
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.