চামড়াঝোলা ব্যাঙ
চামড়াঝোলা ব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: Pterorana khare) (ইংরেজি: Indian flying frog) বা দেশি উড়ুক্কু ব্যাঙ Ranidae (রানিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Pterorana (টোরোরানা) গণের একমাত্র প্রজাতি। ভারত ও বাংলাদেশ এদের আবাসস্থল।[1] বিজ্ঞানী কিয়াসেতো এবং খের ১৯৮৬ সালে এই প্রজাতির প্রথম বর্ণনা করেন। সেজন্য ইংরেজিতে প্রজাতিটিকে কখনও কখনও Khare’s Stream Frog নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নামের প্রজাতি অংশটিও এসেছে খেরে'র নাম থেকে। অত্যন্ত দুর্লভ এ ব্যাঙের সংখ্যা ক্রমে আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Vulnerable বা সংকটাপন্ন বলে ঘোষণা করেছে।[2]
চামড়াঝোলা ব্যাঙ | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Amphibia |
বর্গ: | Anura |
পরিবার: | Ranidae |
গণ: | Pterorana Kiyasetuo & Khare, 1986 |
প্রজাতি: | P. khare |
দ্বিপদী নাম | |
Pterorana khare Kiyasetuo & Khare, 1986 | |
বিস্তৃতি
চামড়াঝোলা ব্যাঙ উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড এবং আসামের নামেরি জাতীয় উদ্যান ও পেখুই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে দেখা গেছে। এছাড়া ১৯৯৭ সালে মণিপুরে ব্যাঙটি দেখতে পাওয়ার খবর জানা যায়, তবে তা অনিশ্চিত।[2] নেপাল থেকে প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত প্রত্যন্ত রুমানা এলাকায় প্রজাতিটি আবিষ্কার করা হয়েছে।[1]
বিবরণ
বান্দরবানের পাহাড়ি বম সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাঙটি ‘ভুন-দর’ নামে পরিচিত। যার বাংলা অর্থ চামড়াঝোলা। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য দেহের দুই পাশের ঝোলানো চামড়া। লাফ দেওয়ার সময় এই চামড়া প্রসারিত করে, যাতে বাতাসে কিছুটা বেশি সময় ভেসে থাকতে পারে। সেকারণে এর ইংরেজি নাম হয়েছে flying frog। মাঝারি আকৃতির এই ব্যাঙের নাকের ডগা থেকে পায়ু পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৬৮ মিলিমিটার। দেহের ওপরের অংশ মেটে-সবুজ আর নিচের অংশ প্রায় সাদা।[1]
চিরসবুজ বন ও পাহাড়ি ছড়ায় এদের পাওয়া যায়। ছড়াতেই প্রজনন ঘটে। পুরুষ ব্যাঙ ব্যাঙাচি রক্ষণাবেক্ষণ ও পাহারার ভার নেয়।
তথ্যসুত্র
- বাংলাদেশে চামড়াঝোলা ব্যাঙ, মনিরুল খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২০-১০-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- Pterorana khare, The IUCN Red List of Threatened Species এ চামড়াঝোলা ব্যাঙ বিষয়ক পাতা।
বহিঃসংযোগ
- ARKive, চামড়াঝোলা ব্যাঙের আলোকচিত্র ও তথ্য।