গোলাম মুস্তফা খান
গোলাম মুস্তফা খান বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের একজন সেনাপতি ছিলেন। মারাঠা হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন[1]। ১৭৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, কিন্তু একই বছরের ৩০ জুন তিনি নবাবের সৈন্যদের হাতে ভোজপুরের যুদ্ধে পরাজিত নিহত হন[1]।
গোলাম মুস্তফা খান | |
---|---|
মৃত্যু | ৩০ জুন ১৭৪৫[1] ভোজপুরের নিকটে, বিহার, বাংলা[1] (বর্তমান ভোজপুর, বিহার, ভারত) |
আনুগত্য | |
সার্ভিস/শাখা | সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ? – ফেব্রুয়ারি ১৭৪৫[1] |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | বর্গির হাঙ্গামা |
পরিচিতি
গোলাম মুস্তফা খান জাতিতে আফগান ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি বিহারের অন্তর্গত টিকারির জমিদার রাজা সুন্দর সিংহের সৈন্যদলে নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন[1]। ১৭৩৩ সালে আলীবর্দী খান বিহারের প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত হওয়ার পর বিহারের অবাধ্য জমিদারদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে শুরু করেন। এসময় সুন্দর সিংহ আলীবর্দীর বশ্যতা স্বীকার করে আলীবর্দীর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন এবং তার অধীনে কর্মরত নায়েক গোলাম মুস্তফাকে আলীবর্দীর সৈন্যদলে প্রেরণ করেন[1]। মুস্তফা তার কর্মদক্ষতার গুণে আলীবর্দীর সৈন্যদলে ক্রমশ পদোন্নতি লাভ করতে থাকেন।
মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
মৃত্যু
তথ্যসূত্র
- ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, বাংলাদেশের ইতিহাস, পৃ. ২৯৬