খয়েরিমাথা শুমচা
খয়েরিমাথা শুমচা (বৈজ্ঞানিক নাম: Pitta sordida) (ইংরেজি: Blue Pitta), সবুজাভ সুমচা বা নীলফক্কি Pittidae (পিট্টিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Pitta (পিট্টা) গণের এক প্রজাতির ছোট রঙচঙে বনচর পাখি।[1][2] বাংলাদেশের বাগেরহাট অঞ্চলে এদের নাম ছোট হালতি। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সাধারণ পাখি। খয়েরিমাথা শুমচার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ মলিন শুমচা (তেলেগু: pitta = আদুরে; ল্যাটিন: sordida = মলিন)।[2] সারা পৃথিবীতে প্রায় ২১ লাখ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এদের আবাস।[3] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[4] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[2] পৃথিবীতে এদের সংখ্যা সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা যায় নি।[3]
খয়েরিমাথা শুমচা | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Passeriformes |
পরিবার: | Pittidae |
গণ: | Pitta |
প্রজাতি: | P. sordida |
দ্বিপদী নাম | |
Pitta sordida (Müller, 1776) | |
প্রতিশব্দ | |
Turdus sordius |
বিস্তৃতি
খয়েরিমাথা শুমচার মূল আবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি ও ভিয়েতনাম জুড়ে এদের বিস্তৃতি। জাপানে এরা অনিয়মিত।[4]
গ্যালারি
- সান দিয়াগো চিড়িয়াখানায়
তথ্যসূত্র
- রেজা খান, বাংলাদেশের পাখি (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০৮), পৃ. ৮৪।
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৩১১।
- Pitta sordida, BirdLife International এ খয়েরিমাথা শুমচা বিষয়ক পাতা।
- Pitta sordida, The IUCN Red List of Threatened Species এ খয়েরিমাথা শুমচা বিষয়ক পাতা।