কেন্দুঝর জেলা
কেন্দুঝর জেলা(ওড়িয়া: କେନ୍ଦୁଝର ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. কেন্দুঝর জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ১৬ই পৌষ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দে(১লা জানুয়ারী ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে) ওড়িশা রাজ্য পুণর্গঠন কালে কেন্দুঝর জেলাটি গঠিত হলেও তার নাম ছিলো কেওনঝড় জেলাটি ওড়িশার উত্তর ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর কেন্দুঝর শহরে অবস্থিত এবং চম্পুয়া মহকুমা, কেন্দুঝর মহকুমা ও আনন্দপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
কেন্দুঝর জেলা କେନ୍ଦୁଝର ଜିଲ୍ଲା | |
---|---|
ওড়িশার জেলা | |
![]() ওড়িশায় কেন্দুঝরের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
প্রশাসনিক বিভাগ | উত্তর ওড়িশা বিভাগ |
সদরদপ্তর | কেন্দুঝর |
তহশিল | ১৩ |
আয়তন | |
• মোট | ৮৩০৩ কিমি২ (৩২০৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৮,০১,৭৩৩ |
• জনঘনত্ব | ২২০/কিমি২ (৫৬০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৮.২৪ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৮৮ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৪৮৭ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
নামকরণ
জনশ্রুতি অনুযায়ী রাজা জ্যোতি ভঞ্জ বর্তমান কেওনঝড় বা কেন্দুঝর অঞ্চলে উপস্থিত ছোটো একটি ঝর্ণা ও সংলগ্ন প্রস্রবনকে কেন্দ্র করে নিজের অস্থায়ী প্রাসাদ নির্মান করেন৷ পরে এই অঞ্চল কেন্দুঝর বা কেন্দুবন দ্বারা পরিবেষ্ঠিত প্রস্রবন নামে বিখ্যাত হয়৷ জেলাসদরের নামে জেলাটির নামকরণ হয়৷[1]
ইতিহাস
ভূপ্রকৃতি
অর্থনীতি
অবস্থান
জেলাটির উত্তরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পশ্চিম সিংভূম জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলা৷ জেলাটির পূর্বে ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলা ও ওড়িশা রাজ্যের ভদ্রক জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের যাজপুর জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের ঢেঙ্কানাল জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্যের অনুগুল জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা৷[2]
জেলাটির আয়তন ৮৩০৩ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ৫.৩৩%৷
ভাষা
কেন্দুঝর জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
ধর্ম
জনসংখ্যার উপাত্ত
মোট জনসংখ্যা ১৫৬১৯৯০(২০০১ জনগণনা) ও ১৮০১৭৩৩(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ৮ম৷ ওড়িশা রাজ্যের ৪.২৯% লোক কেন্দুঝর জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ১৮৮ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২১৭ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৫.৩৫% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৬.৮৩% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৮৮(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৬৭৷[4]
নদনদী
পরিবহন ও যোগাযোগ
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
শিক্ষা
জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৫৯.২৪%(২০০১) তথা ৬৮.২৪%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭১.৯৯%(২০০১) তথা ৭৮.১২%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৪৬.২২%(২০০১) তথা ৫৮.২৮% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৪.৪০%৷[4]