কুনো ব্যাঙ
কুনোব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: Bufo melanostictus, সম্প্রতি নামকরণ হয়েছে Duttaphrynus melanostictus) (ইংরেজি: Asian Common Toad) Bufonidae (বুফোনিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Bufo (বুফো) গণের এক প্রজাতির অতি পরিচিত একটি ব্যাঙ। ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশে প্রজাতিটি দেখা যায়। বাড়ির আনাচেকানাচে সর্বত্রই এদের দেখা যায়।
কুনোব্যাঙ | |
---|---|
কুনোব্যাঙ, সিঙ্গাপুর | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Amphibia |
বর্গ: | Anura |
পরিবার: | Bufonidae |
গণ: | Bufo |
প্রজাতি: | B. melanostictus |
দ্বিপদী নাম | |
Duttaphrynus melanostictus (Schneider, 1799) | |
প্রতিশব্দ | |
Bufo bengalensis (Daudin, 1802) |
স্বভাব ও বাসস্থান
কুনোব্যাং এমন একটি প্রাণী যা একটানা ছয় মাস ঘুমাতে পারে। এরা সাধারণত রাতের বেলা বের হয়। দিনের বেলা ঘরের কোনে অথবা দেয়ালের ফাঁকা জায়গা অথবা মাটির গর্তে বাস করে। তাই এদের কুনো ব্যাঙ বলা হয়। এরা মেরুদন্ডী প্রাণী। এরা সাধারণত পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে। এদের গায়ে আচিলের মত ছোট ছোট অনেক দাগ থাকে। এর সাহায্যে এদের সহজেই চেনা যায়। শীতকালে এরা শীত নিদ্রায় চলে যায়।এদের ওজন সাধারণত ১৫-২০ গ্রাম হতে পারে।
বিস্তৃতি
নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং দক্ষিণ চীন, তাইওয়ান, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভিতৃ পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রজনন
বর্ষাকাল এদের প্রজনন কাল। যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন এরা তাদের সঙ্গিনীর খোঁজ শুরু করে। তারপর স্ত্রী ব্যাঙের সাথে পুরুষ ব্যাঙের সঙ্গম হয়। এদের বহি নিষেক ঘটে অর্থাৎ শুক্রানু ও ডিম্বানু দেহের বাহিরে মিলিত হয়। স্ত্রী ব্যাঙ প্রায় ৩০,০০০ ডিম্বানু ছাড়ে।
বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ
আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1]
তথ্যসুত্র
- Duttaphrynus melanostictus, The IUCN Red List of Threatened Species এ কুনোব্যাঙ বিষয়ক পাতা।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: কুনো ব্যাঙ |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে কুনোব্যাঙ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |