ওয়ান্টেড (২০১০-এর চলচ্চিত্র)

ওয়ান্টেড হল ২০১০ এর একটি প্রকাশিতব্য বাংলা অ্যাকশন চলচ্চিত্র যার পরিচালক রবি কিনাগী ও এসকে মুভিস প্রযোজনা সংস্থা। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি ২০০৫ সালে তেলেগু সুপারহিট ছবি অথদু এর রিমেক, যার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মহেশ বাবু এবং ত্রিশা কৃষ্ণান। ওয়ান্টেড বেশিরভাগ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছিল এবং এটি ছিল ২০১০ সালের অন্যতম বৃহত্তম হিট ছবি।

ওয়ান্টেড
ওয়ান্টেড চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরবি কিনাগী
প্রযোজক
  • অশোক ধনুকা
  • হিমাংশু ধনুকা
রচয়িতাঅনন্য মামুন
শ্রেষ্ঠাংশেজিৎ

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
শরদ কাপুর
সুরকাররাজেশ রায়
চিত্রগ্রাহকসেলভা কুমার প্রসাদ
সম্পাদকরবিরঞ্জন মৈত্র
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকএসকে মুভিজ
মুক্তি৩০ এপ্রিল ২০১০
দৈর্ঘ্য১৫৩ মিনিট
দেশ ভারত
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়২.২ কোটি টাকা
আয়৫.১ কোটি টাকা

কাহিনী

রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় / রাজা (জিৎ) এবং জয় (ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী) পেশাদার গুপ্তহত্যাকারী এবং অংশীদার। তারা প্রতেক খুনের জন্য ১৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকে।

অমরনাথ গাঙ্গুলি একটি দলীয় নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সহানুভূতি ভোটের জন্য তার নিজের ওপর আক্রমণ এবং হত্যার চেষ্টা মঞ্চস্থ করতে চান। তাঁর সহকর্মী শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (বিপ্লব চ্যাটার্জি) তাকে রাজার সাথে দেখা করিয়ে দেন। একটি বহুতলার বাড়ি থাকে সত্যিই সত্যি কেউ অমরনাথ গাঙ্গুলিকে মেরে ফেলে। পুলিশ তত্ক্ষণাত পুরো বাড়িটা ঘিরে ফেলে। রাজা তখন সেই বাড়ি থেকে তার গাড়ী নিয়ে পালাতে যায় এবং একটি গাড়ী দুর্ঘটনা ঘটে। রাজা ধরে নেয় যে দুর্ঘটনায় জয় মারা গেছে। পুলিশকে ধাওয়া করে রাজাকে সে একটি ট্রেন দেখতে পায় এবং পালাতে সক্ষম হয়।

ট্রেনে রাজার সাথে শিবুর (অতনু মুখোপাধ্যায়) দেখ হয়, সে বলে সে যখন ছোট ছিল তখন সে তাঁর গ্রাম, গঙ্গানগর থেকে পালিয়ে এসেছিল; সে এখন তার গ্রামে ফিরছে। পুলিশ শিবুকে রাজা ভেবে গুলি করে এবং শিবু মারা যায়। রাজা পালিয়ে যায় গঙ্গানগরে। শিবুর পরিবার রাজাকে তাদের পুত্র বলে বিশ্বাস করে এবং তাকে গ্রহণ করে।

সিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা, সেলিম আলী খান (শরদ কাপুর) গাঙ্গুলির হত্যার তদন্ত করছেন, রাজাই দোষী বলে বিশ্বাস করেন এবং রাজা/শিবু কে? কি করত? সব খোজ নেওয়া শুরু করেন। তিনি "রাজার" ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে গঙ্গানগরে "শিবুর" ভাগ্নির বিয়ে, সিবিআই বিশ্বাস করে যে সেখানে রাজা (এখন শিবু) পরিবর্তন হয়েছে এবং রাজা হত্যার সাথে জড়িত। রাজা পালিয়ে যায়, সিবিআই আসে এবং চলে যায়। রাজা ফিরে আসে পুরো ব্যাপারটা বোঝাতে। পরিবার রাজাকে আসল ঘাতক খুঁজে পেতে সাহায্য করতে আগ্রহী না হলেও দাদু (বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী) রাজাকে বন্দুক দিয়ে দেন।

রাজা শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকেন এবং গাঙ্গুলিকে কারা হত্যা করেছিলেন তা জানতে চেয়েছিলেন। ব্যানার্জি রাজি হননি তবে রাজা তাকে বলেন যে তাদের আগের কথোপকথনটি রেকর্ড করে রেখেছেন এবং ব্যানার্জি সব কিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। জয় গাঙ্গুলিকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যা করেছিলেন। গাঙ্গুলিকে মারার পর সে গাড়িতে মাতাল পাঠিয়ে তার নিজের মৃত্যু মঞ্চস্থ করেছিল। জয়ের সাথে পুরানো এক গির্জার দেখা হয় রাজার। রাজা এবং জয় মিলিত হওয়ায় সময় যে পুলিশটি শিবুকে মেরে ছিল সেও এসে পড়ে, রাজা জয় সহ তাদের সবাইকে মেরে ফেলে। রাজা রেকর্ডিংটি সিবিআই অফিসারকে দিয়ে দেয়। সিবিআই অফিসার সরাসরি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান, তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলে, ব্যানার্জি তাকে উলটে প্রশ্ন করে তার কাছে কি প্রমাণ আছে? সিবিআই অফিসার প্রকাশ করেছেন যে এই রেকর্ডিং যা যথেষ্ট প্রমাণ। কোনও রকম আশ্বাস না দেখতে পেয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেন। রাজা শিবুর ছাই জলে ভাসিয়ে দেয় এবং সিবিআই অফিসার তাকে শিবুর পরিবারে ফেরত চলে যেতে বলে এবং রাজা সেখানে চিরকালের জন্য চলে যান।

অভিনয়

প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন (জিৎ), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.