এস এম আহমেদ হুমায়ুন
এস এম আহমেদ হুমায়ুন (১৮ মে, ১৯৩৬ - ২৩ জুলাই, ১৯৯৯) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
এস এম আহমেদ হুমায়ুন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৩ জুলাই ১৯৯৯ ৬৩) | (বয়স
শিক্ষা | এমএসসি (পদার্থবিজ্ঞান) |
যেখানের শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | একুশে পদক (১৯৮৭) |
প্রারম্ভিক জীবন
হুমায়ুনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে। তার শৈশব কাটে পূর্ব বাংলার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। ১৯৫৩ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন মোহিনী কিশোর হাই স্কুল থেকে। পরে তিনি ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি এবং ১৯৬১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।[1]
কর্মজীবন
এমএসসি পাস করে হুমায়ুন অধুনালুপ্ত আদমজী পাটকলে মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সেখানে এক বছর কর্মরত থাকার পর তিনি তৎকালীন ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা টাইমস পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপনা করেন। হুমায়ুন ১৯৬৫ সালে দৈনিক পাকিস্তানে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৬ সালে এই পদ থেকে অবসরে যান।[1]
সাহিত্যকর্ম
হুমায়ুন ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্যচর্চার সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা প্রবন্ধ, অনুবাদ, শিশুসাহিত্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয়ক আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত গ্রন্থাবলী হল: বিপরীত স্রোতে রবীন্দ্রনাথ (১৯৭৩), আলেফ মিয়ার পৃথিবী (১৯৮৪), সিঙ্গেল কলাম, ডবল কলাম (১৯৮৬) এবং 'নগর দর্পণ।[1]
মৃত্যু
আহমেদ হুমায়ুন ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
সম্মাননা
- সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক (১৯৮৭)
তথ্যসূত্র
- মোহাম্মদ কবিরুল হাসান। "হুমায়ুন, আহমেদ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭।