ইলিয়াস আলী

এম. ইলিয়াস আলী (জন্ম ১৯৬১) হচ্ছেন সিলেট জেলার একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের (২০০১-২০০৬) একজন সাবেক সদস্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০১০ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) থেকে শুরু করে প্রতিরোধ কর্মসূচী, বিক্ষোভ এবং দলগঠন সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় মধ্যরাতে তাকে এবং তার গাড়ি চালককে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল।[3] বিএনপি নেত্রী, খালেদা জিয়া, অভিযোগ আনেন যে বিরোধীদের দমন নিপীড়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অপহরণ করে, কিন্তু সরকার সে দাবি অস্বীকার করেছে।[4]

এম. ইলিয়াস আলী
সিলেট-২ সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১ অক্টোবর ২০০১  ২৯ অক্টোবর ২০০৬
পূর্বসূরীশাহ আজিজুর রহমান[1]
উত্তরসূরীশফিকুর রহমান চৌধুরী[2]
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসিলেট, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীতাহসিনা রুশদীর
পেশারাজনীতিবিদ

প্রথম জীবন এবং শিক্ষা

ইলিয়াস আলী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় জন্মগ্রহণ করেন। শিশু অবস্থায় তিনি তার মায়ের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা লাভ করেন। তিনি রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে বিশ্বনাথ উপজেলার রামসুন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগ থেকে বি.কম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.কম (মাস্টার্স) ব্যাংকিংয়ে ছাত্র ছিলেন, কিন্তু তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়ায় ১৯৮৭ সালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।[4]

বিবাহ এবং পরিবার

ইলিয়াস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাহসিনা রুশদীরকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। তাদের বড় ছেলে মোঃ আবরার ইলিয়াস পশ্চিম ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেছেন,এবং ছোট ছেলে মোঃ লাবিব শারর কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। সর্ব কনিষ্ঠ, সায়ারা নাওয়াল বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়ন করছে।

রাজনৈতিক জীবন

ছাত্র রাজনীতি

তিনি ১৯৮০ সালে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন, যা এক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের মধ্যে বসবাস করেছেন। কয়েক বছরের মধ্যে, তিনি হলের নেতা হন এবং ১৯৮৩ সালে জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের (জেসিডি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হন। ১৯৮৬ সালে, জেসিডির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হিসাবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরশাদ কিছু রাজনৈতিক অধিকার পুনরুদ্ধারের স্বীকৃতি দিলেও বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে এবং উভয় দলের ছাত্ররা এই দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করতে আগ্রহী ছিল। এরশাদ ১৯৮৭ সালে, ইলিয়াস আলীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিসিডির ৯ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। ১৯৮৮ সালে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে গ্রেফতার হন। সাত মাস কারাগারে থাকার পর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আদেশে ইলিয়াস আলী কারাগার থেকে মুক্তি পান।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. পঞ্চম জাতীয় সংসদ
  2. নবম জাতীয় সংসদ
  3. "Five years on, police yet to find Ilias Ali"। Dhakatribune। এপ্রিল ১৭, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  4. "Ilias Ali, driver go missing"। The Daily Star। এপ্রিল ১৯, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

আরো পড়ুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.