ইরাবতী ডলফিন
ইরাবতী ডলফিন (Orcaella brevirostris) হচ্ছে মহাসাগরীয় ডলফিনের একটি ইউরিহ্যালাইন অর্থাৎ লবণ সহ্য করতে পারে এমন প্রজাতি। সমুদ্র তীর এবং বঙ্গোপসাগরের সাথে বিভিন্ন নদীর সংযোগস্থলে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকতে দেখা যায়।
ইরাবতী ডলফিন | |
---|---|
![]() | |
১৮৭৮ চিত্রালংকরণ | |
![]() | |
গড় একজন মানুষের আকারের সাথে তুলনা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | Cetacea |
পরিবার: | Delphinidae |
গণ: | Orcaella |
প্রজাতি: | O. brevirostris |
দ্বিপদী নাম | |
Orcaella brevirostris (গ্রের ভিত্তিতে ওয়েনে, ১৮৬৬)[2] | |
Orcaella গণের বিস্তারের মানচিত্র দেখুন: http://www.iucnredlist.org/details/full/15419/0 | |
প্রতিশব্দ [2] | |
|
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অণুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[3]
উদ্ভাবন ও শ্রেণিবিন্যাসের ইতিহাস
ভারতের পূর্ব উপকূলের ভিশাখাপত্তম এর পোতাশ্রয়ে ১৮৫২ সালে প্রাপ্ত নমুনার ভিত্তিতে ১৮৬৬ স্যার রিচার্ড ওয়েন প্রথম ইরাবতী ডলফিনের বর্ণনা দেন। এটি এর গণের দুইটি প্রজাতির একটি।[4]
জিনগতভাবে, ইরাবতী ডলফিন কিলার হোয়েল (অরকা)-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। এটি অস্ট্রেলিয়ান স্নাবফিন ডলফিন এর সাথেও সম্পর্কযুক্ত এবং এরা সাম্প্রতিক সময়ে পৃথক প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর প্রজাতি নাম brevirostris এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে যার অর্থ "ছোট ঠোঁট"। ২০০৫ সালে জিনগত বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয় যে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলের অস্ট্রেলিয়ান স্নাবফিন ডলফিন প্রজাতিটি Orcaella গণের একটি ভিন্ন প্রজাতি। O. brevirostris-এর আঞ্চলিক নামসমূহঃ
- বর্মী ভাষা: ဧရာဝတီ လင်းပိုင် এয়াওয়াদি লাবাইং
- চিহিকা উপভাষা: বাস্লন্য্ইয়া মাগার অথবা ভুয়াসুনি মাগার (আক্ষরিক অর্থেঃ তেল-ত্যাগী ডলফিন)[4]
- ফিলিপিনো ভাষা: লাম্পাসুত[5]
- বাংলা ভাষা: শুশুক
- ইন্দোনেশীয় ভাষা: পেসুত
- খ্মের ভাষা: ផ្សោត ফ’সউট
- লাও ভাষা: ປາຂ່າ ফা’কা
- মালয় ভাষা: ডলফিন এম্পেসুত
- ওড়িয়া ভাষা: খেম অথবা খেরা
- থাই ভাষা: โลมาอิรวดี প্লা লোমা হুয়া বাত ("ভিক্ষার-বাটি ডলফিন", তাদের মাথার আকৃতির জন্য এই নাম রাখা হয়েছে)[6]
দৈহিক গঠন
এই ডলফিনের দেহের রং মোটামুটি ধূসর থেকে স্লেট নীলের মধ্যে সীমাবদ্ধ, নিম্নাংশ ফিকে বর্ণের এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী কোন ভিন্ন বিন্যাস নেই। পিঠের মধ্যভাগে ছোট ও গোলাকার পৃষ্ঠ পাখনা আছে। মাথা উঁচু, গোলাকার, চঞ্চু অণুপস্থিত। দেহের সম্মুখভাগ ভোঁতা প্রকৃতির। বোর্নিওতে প্রাপ্ত নমুনা ফিনলেস পরপইস, Neophocaena phocaenoides দেখতে একই রকম, পিছন দিকে কোন পাখনা নেই। হাম্পব্যাক ডলফিন, Sousa chinensis তুলনামূলকভাবে বড়, পৃষ্ঠ পাখনা এবং চঞ্চু ও বড়।[4]
বর্ণনা

ইরাবতী ডলফিন বাহ্যিক দিক থেকে beluga এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যদিও killer whale এর সাথে বেশি মিল রয়েছে। এর একটি বৃহৎ melon (এক ধরনের টিস্যু যা জলজ স্তন্যপায়ীরা যোগাযোগে ব্যবহার করে), গোলাকার মাথা এবং অস্পষ্ট ঠোঁট বা চঞ্চু রয়েছে। পৃষ্ঠ পাখনা পিঠের পিছনের দিকের দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে অবস্থিত, ছোট, অস্পষ্ট এবং ত্রিকোণাকার। লেজ বড় এবং প্রশস্ত। সমগ্র দেহই হালকা রঙের কিন্তু দেহের নিচের অংশ পিঠের তুলনায় বেশি সাদা। এই প্রজাতির ডলফিনের ব্লো-হোল (বৃহৎ শ্বাস-ছিদ্র) দেহের মধ্যরেখার বামে অবস্থিত এবং ডলফিনের সামনের দিকে উন্মুক্ত হয়। এর ছোট চঞ্চু অন্য যেকোনো ডলফিন থেকে ভিন্ন। তাদের চোয়ালের উভয়পাশে ১২-১৯ টি দাঁত আছে বলে জানা গেছে। ইরাবতী ডলফিনের ভর ৯০ কেজি (২০০ পাউন্ড) থেকে ২০০ কেজি (৪৪০ পাউন্ড) পর্যন্ত হয়। পরিণত বয়সে এর দৈর্ঘ্য ২.৩ মিটার (৭.৫ ফুট) হয়।[7] থাইল্যান্ডে প্রাপ্ত একটি পুরুষ ডলফিন মেপে প্রজাতিটির রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য পাওয়া গেছে ২.৭৫ মিটার (৯.০ ফুট) ।[6]
বংশবিস্তার

ধারণা করা হয়, ইরাবতী ডলফিন ৯ বছর বয়সে প্রজননের ক্ষমতা লাভ করে। উত্তর গোলার্ধে এরা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত মিলিত হয় বলে জানা গেছে। গর্ভধারণকাল ১৪ মাস। জন্মের সময় দৈর্ঘ্য থাকে ১ মিটার (৩.৩ ফুট) এবং ভর থাকে ১০ কেজি (২২ পাউন্ড)। ২ বছর বয়সে স্তন্য ত্যাগ করে। জীবনকাল ৩০ বছর।
আচরণ

যোগাযোগ রক্ষার্থে এই প্রজাতি টিকটিক শব্দ, কিচির মিচির এবং ৬০ কিলোহার্জের শব্দ তৈরি করে যা কোন বস্তু শনাক্ত করতে (echolocation) ব্যবহার করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। এই ডলফিন অস্থিময় মাছ, মাছের ডিম,cephalopod এবং crustaceans খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। ইরাবতী ডলফিনের আক্রমণের শিকার জীবদের পর্যবেক্ষণ করে অণুমান করা হয় যে এটি এর শিকারকে মুখে চুষে নেয়। এরা পানির উৎস থেকে পানির ধারাকে বিচ্ছিন্ন করে ১.৫ মিটারের উপরে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। মাছের পালকে সুবিধাজনক এলাকায় নিয়ে শিকারের জন্যই ডলফিনরা এমন করে বলে জানা যায়।[8] ইরাবতী ডলফিন একটি ধীর সাঁতারু। কিন্তু জলযান দিয়ে তাড়া করার সময় এর সাঁতারের গতি ঘণ্টায় ২০-২৫ কিমি. পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।[9] ইরাবতী ডলফিন সাধারণত নৌকা থেকে দূরে থাকে। জলযানের সৃষ্ট ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এদের সাঁতার কাটতে দেখা যায় না। তারা সাধারণত ধীরগতিসম্পন্ন, তবে মাঝেমধ্যে spyhopping এবং লেজ ঝাঁপটাতে দেখা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের মুখ থেকে পানি নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে এবং ধারণা করা হয় মাছের ঝাঁককে বিভ্রান্ত করে শিকারের জন্য তারা এমনটি করে। এই প্রজাতির ডলফিন সাধারণত ২-৩ সদস্যের দলে থাকে। তবে গভীর জলাশয়ে ২৫ টি সদস্য পর্যন্ত একত্রে থাকতে দেখা গেছে।

গভীর ডুবের সময় ৩০-১৫০ সেকেন্ড থেকে ১২ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। লাওসে ২৭৭ সদস্যের একটি দল যখন ডুব লাগিয়েছিল তখন প্রথম সদস্যের আবির্ভাব এবং শেষ সদস্যের মিলিয়ে যাওয়া হিসেব করে ডুবের গড় সময় ১১৫.৩ সেকেন্ড হিসেব করা হয়েছিল এবং ডুবগুলো মোটামুটি ১৯ সেকেন্ড থেকে ৭.৮ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল।[6] বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই প্রজাতির ডলফিনের এক একটি দলে ৬ জনের কম সদস্য থাকে। তবে এক একটি দলে ১৫ জনেরও বেশি সদস্য থাকতে দেখা গেছে।[9][10]
এই প্রজাতির ডলফিনকে যখন ভিন্ন প্রজাতির ডলফিন উপকূলের দিকে যেতে বাধ্য করতে চেষ্টা করেছে তখন উভয় প্রজাতিতে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে। যখন হাম্পব্যাক ডলফিন (Sonsa chinensis) এবং ইরাবতী ডলফিনকে একটি জলাধারে আটকে রাখা হয়েছিল, তখন হাম্পব্যাক ডলফিন (Sonsa chinensis) ইরাবতী ডলফিনদের ধাওয়া করে জলাধারের এক কোনায় থাকতে বাধ্য করেছিল। চিহিকা লেকের স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, ইরাবতী ডলফিন এবং বটলনোজ ডলফিন যখন লেকের বাইরে মুখোমুখি হয় তখন ইরাবতী ডলফিন ভয় পেয়ে যায় এবং লেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।[4]
খাদ্য
ইরাবতী ডলফিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ, ক্রাস্টাসিয়ান এবং ছেফালোপডস।
আবাসস্থল ও জনসংখ্যা

যদিও একে কখনো কখনো ইরাবতী নদীর ডলফিন বলা হয়, তবে এটি নদীর ডলফিন নয়, ইরাবতী ডলফিন মহাসাগরের ডলফিন। সমুদ্র উপকূলের কাছাঁকাছি, নদীর সাথে সংযোগস্থলে স্বাদু ও নোনা পানির মিশ্রণ আছে এমন এলাকায় এরা বসবাস করে। স্বাদু পানির নদীতে এদের ছোট ছোট জনসংখ্যায় দেখা যায়, উদাহরণস্বরূপ গঙ্গা নদী এবং মেকং নদী আর ইরাবতী নদী যা থেকে এর নাম হয়েছে ইরাবতী ডলফিন। এদের বিস্তৃতি বঙ্গোপসাগর থেকে নিউ গিনি এমনকি ফিলিপাইন পর্যন্ত, যদিও এরা তীর থেকে বেশি দূরে যায় না।
বর্নিও দ্বীপ, মালয়েশিয়ার সাবাহ-এর সান্দাকান থেকে ব্রুনেই এবং সারাওয়াক পর্যন্ত এদের দেখা পাওয়া যায়। পূর্ব কালিমান্তানের মাহাকাম নদী থেকে একটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।[1]
এদের বর্তমান জনসংখ্যা জানার জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে কোন পরিসংখ্যান করা হয়নি। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে এদের সংখ্যা আনুমানিক ৭০০০ এর অধিক যার ৯০ শতাংশই বাংলাদেশে বসবাস করে। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরের জনসংখ্যাকে মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত পৃথিবীর ৮ টি দেশে ইরাবতী ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যাদের তালিকা সংরক্ষণ অবস্থা সহ জনসংখ্যার আধিক্যের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বক্রমানুসারে দেয়া হল।
- বাংলাদেশ; ৫,৮৩২টি (VU) বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী পানিতে বসবাস করে[11] এবং ৪৫১টি (VU) সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে বসবাস করে।[12][13]
- ভারত;১৫২টি(VU)বসবাস করে চিহিকা লেকের ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে।[14] ভারতের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানেও এদের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
- লাওস এবং ক্যাম্বোডিয়া; ৭৮-৯১টি (CR) বসবাস করে মেকং নদীর টানা ১৯০ কিলোমিটার (১১৮ মাইল) এলাকা জুড়ে।[15]
- ইন্দোনেশিয়া; (CR), মাহাকাম নদীর টানা ৪২০ কিলোমিটার (২৬০ মাইল) এলাকা জুড়ে।
- ফিলিপাইন; প্রায় ৪২টি(CR) বসবাস করে মালামপায়া সাউন্ডের অভ্যন্তরে ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে।[16] গবেষকরা সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম ভিসায়াসের নেগ্রস অচ্চিডেন্টাল প্রদেশের ব্যাগো সিটি এবং পুলুপান্দান টাউনের পানিতে আবিষ্কৃত ৩০-৪০টি ডলফিনের অস্তিত্ব সম্পর্কে গবেষণা করছেন।
- মায়ানমার; প্রায় ৫৮-৭২টি(CR) বসবাস করে আয়েয়ার্বাদী নদীর টানা ৩৭০ কিলোমিটার (২৩০ মাইল) এলাকা জুড়ে।
- থাইল্যান্ড;৫০টির কম (CR) সংখ্যক বসবাস করে সংক্লা লেকের ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে।[1]
মানুষের সাথে সম্পর্ক
পেশাদার জেলেদের মাছ ধরতে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে ইরাবতী ডলফিন মানুষের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। ভারতীয় জেলেরা “লাহাই ক্বায়( lahai kway)” [17] নামক একটি কাঠ নির্মিত চাবি তাদের নৌকার একটি ধারে আঘাত করে ইরাবতী ডলফিনদেরকে জেলেদের জালের দিকে মাছ তাড়িয়ে নিয়ে আসার সংকেত দেয়।[18] মায়ানমারে আয়েয়াওয়াদী নদীর উপরিভাগে জেলেরা একটি বিশেষ শব্দ করে ইরাবতী ডলফিনদের ডাক দেয় এবং ডলফিনগুলো জেলেদের গোলাকৃতি জালে (কাস্ট নেট) মাছ তাড়িয়ে পাঠায়। জেলেদের জালে যে অপ্রয়োজনীয় মাছ ধরা পরে (বাইক্যাচ) সেগুলো ইরাবতী ডলফিনদের কাজের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়।[19] ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ইরাবতী নদীর জেলেরা দাবি করত যে কিছু নির্দিষ্ট ইরাবতী ডলফিন কিছু নির্দিষ্ট গ্রামের জেলেদের জালেই কেবল মাছ তাড়িয়ে পাঠাত। ১৮৭৯ সালের একটি প্রতিবেদনে জানা যায় স্থানীয় আদালতে জেলেরা তাদের প্রতিপক্ষ জেলেদের জালের মাছের একটি অংশে ভাগ বসাতে চাচ্ছিল যেই মাছগুলো জালে প্রতিপক্ষের জালে পাঠাতে অভিযোগকারীর ডলফিন সাহায্য করেছিল বলে তার ধারণা বা দাবি।[6]
ঝুঁকি
অন্যান্য ডলফিনের তুলনায় ইরাবতী ডলফিনের সাথে মানুষের সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেশি কারণ অন্য ডলফিনগুলো মহাসাগরের আরও গভীরে থাকে। গিলনেট নামক একটি লম্বালম্বি বিস্তৃত বিশাল জালে আটকে মারা যাওয়াই এই ডলফিনের প্রধান ঝুঁকি। বেশিরভাগ ডলফিন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে গিলনেট এবং টানাজালে এবং ফিলিপাইনে জলাশয়ের তলদেশে রাখা কাঁকড়া ধরার জালের কারণে। মায়ানমারে বৈদ্যুতিক জাল, স্বর্ণ উত্তোলন এবং বাঁধ নির্মাণও ভয়ংকর এবং বেড়ে চলা ঝুঁকি। যদিও অধিকাংশ জেলে ডলফিনদের প্রতি সহানুভূতিশীল তবে জেলেদের পক্ষে তাদের প্রথাগত জীবিকা অর্জনের পদ্ধতি ত্যাগ করা কষ্টসাধ্য।[1]
এশিয়ার বেশকিছু দেশে ইরাবতী ডলফিনকে ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাবলিক অ্যাকুয়ারিয়ামে প্রদর্শন করা হয়। এদের অভিনব উপস্থিতি এবং অসাধারণ আচরণ, পানি ছেটানো, ডুব দেয়া এবং লেজ ঝাপটানোর দৃশ্য ডলফিনারিয়ামের অণুষ্ঠানে এদের জনপ্রিয় করে তোলে। ডলফিনদের এই বাণিজ্যিকিকরণের চিন্তা-ভাবনা ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত কারণ ব্যয়বহুল মেরিন অ্যাকুয়ারিয়ামের পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানির ট্যাঙ্কেই এই ডলফিন বেঁচে থাকতে পারে। এই ডলফিনের আশেপাশের অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে, ডলফিন প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে।[20] ২০০২ সালে, এশিয়ার কমপক্ষে নয়টি দেশে ৮০টি ডলফিনারিয়াম ছিল।[21]
একসময় ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে ব্লাস্ট ফিশিং অর্থাৎ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ ধরার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রায়ই ডলফিনের মৃত্যু হত। অতীতে, এদের সরাসরি ঝুঁকি ছিল তেল সংগ্রহের জন্য এদের মেরে ফেলা।
আইইউসিএন এই প্রজাতির সাতটি অঞ্চলের জনসংখ্যার পাঁচটিকে মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যার প্রাথমিক কারণ মাছের জালে আটকে মারা যাওয়া।[1] উদাহরণস্বরূপ, মালাম্পায়ায় ১৯৮৬ সালে যখন প্রথম এদের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় তখন এদের সংখ্যা ছিল ৭৭, কিন্তু মানব সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে এদের ২০০৭ সালে এদের সংখ্যা দাড়ায় ৪৭ এ। [22] বর্নিওর মাহাকাম নদীতে ৭৩% ডলফিনের মৃত্যুর কারণ গিলনেটে ফেঁসে মারা যাওয়া। এলাকাটিতে ব্যাপকভাবে মাছ ধরা ও নৌকা চলাচলের কারণে এমনটি হয়েছে।[23]
সংরক্ষণ
মাছের জালে আটকে মারা যাওয়া এবং বাসস্থান ধ্বংস হওয়াই ইরাবতী ডলফিনের প্রধান বিপদ। এই বিপদ দূর করতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিপদগ্রস্ত বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ বিষয়ক কনভেনশন অণুযায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই প্রজাতির নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। তবে এর প্রয়োগ প্রত্যেকটি দেশের নিজ নিজ দায়িত্ব। [1] তবে কিছু ডলফিনারিয়াম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই ডলফিনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। আইইউসিএন লাও পিডিআর, ক্যাম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম (মেকং নদীর জনসংখ্যা), ইন্দোনেশিয়া (বর্নিওর মাহাকাম নদীর জনসংখ্যা), মায়ানমার (ইরাবতী নদীর জনসংখ্যা), ফিলিপাইন (মালামপায়া সাউন্ডের জনসংখ্যা) এবং থাইল্যান্ডের (সঙ্কলা লেক জনসংখ্যা) ইরাবতী ডলফিনদের মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে সামগ্রিকভাবে এই প্রজাতিকে অতীবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।[1] ২০০৪ সালে সাইটস (CITES) ইরাবতী ডলফিনকে অ্যাপেন্ডিক্স ২ থেকে অ্যাপেন্ডিক্স ১-এ স্থানান্তর করে, যা সমস্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাণিজ্যিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[24]
ইউএনইপি-সিএমএস-এর স্বাদুপানির ইরাবতী ডলফিন সংরক্ষণ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে সংরক্ষিত এলাকার বহুমুখী ব্যবহার স্বাদুপানির জনসংখ্যাকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রজাতিটির সীমাবদ্ধ এলাকার প্রতি আকর্ষণের কারণে সংরক্ষিত এলাকাগুলো এদের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের একটি কার্যকরী হাতিয়ার হতে পারে। ইরাবতী ডলফিন যেন বাইক্যাচ অর্থাৎ জেলের অনিচ্ছাকৃত ভাবে জালে আটকে না যায় সেজন্য কর্মপরিকল্পনায় কিছু কৌশলের বর্ণনা দেয়া হয়েছে যেগুলোর মধ্যে আছেঃ
- -এমন মুখ্য সংরক্ষণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে গিলনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ অথবা কঠোরভাবে
নিয়ন্ত্রিত।
- -জাল ব্যবহারের সংখ্যা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং ফেঁসে যাওয়া ডলফিন নিরাপদে মুক্ত করার ট্রেনিং
দেয়া।
- -ফেঁসে যাওয়া ডলফিন নিরাপদে মুক্ত করতে জেলেদের যে ক্ষতি হয় টা পূরণ করতে প্রকল্প প্রণয়ন।
- -গিলনেট ব্যবহারকারী জেলেদের জন্য বিকল্প বা বহুমুখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
- -মাছ ধরার জন্য ফি নির্ধারণ বা বৃদ্ধির মাধ্যমে গিলনেট ব্যবহার করা ব্যয়বহুল করা এবং নিরাপদ গিয়ার
ব্যবহারের জন্য ফি কমিয়ে ডলফিনের ক্ষতি করে না এমন নিরাপদ গিয়ার ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
- -শব্দ প্রতিবন্ধক বা প্রতিক্ষেপক জাল বিষয়ে গবেষণা করা।[25]
ইরাবতী ডলফিন বন্য প্রাণীর পরিযায়ী প্রজাতির সংরক্ষণের কনভেনশনের ( সিএমএস) অ্যাপেন্ডিক্স ১[26] এবং অ্যাপেন্ডিক্স ২ উভয়েই তালিকাভুক্ত। [26] সমগ্র বা এক বিশাল অঞ্চলে এই প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা এবং এই প্রজাতির সংরক্ষণ, এদের বাসস্থান সংরক্ষণ, এদের পরিযান বা ভ্রমণের সময় বাঁধা কমানো, এদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণের জন্য সিএমএস-এর উদ্যোগের কারণে এটি অ্যাপেন্ডিক্স ১ [26] এবং এর শোচনীয় সংরক্ষণ অবস্থা অথবা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি সম্ভব বলে প্রজাতিটি অ্যাপেন্ডিক্স ২ এ তালিকাভুক্ত। [26][27] এই প্রজাতিটি মেমরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফর দা কনজারভেশন অফ সিটাসিয়ান্স অ্যান্ড দেয়ার হ্যাবিট্যাটস ইন দা প্যাসিফিক আইল্যান্ড রিজিওন (এমওইউ) এর ও আওতাভুক্ত।[28]; জাতীয় উদ্যোগ স্থানীয় ইরাবতী ডলফিনের জনসংখ্যা কমে যাওয়া বন্ধ করতে জাতীয় পর্যায়ে বেশকিছুউদ্যোগ নেয়া হয়েছে:
- বাংলাদেশ

সুন্দরবনের তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমের মোট ১৩৯৬৯৯ হেক্টর জায়গা ইরাবতী ডলফিনের বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত, যা আবার ওয়ার্ল্ডও হেরিতেজ সাইট। বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং Wildlife Conservation Society একসাথে কাজ করে অবশিষ্ট ৬০০০ ডলফিনের জন্য নিরাপদ বাসস্থান বানানোর চেষ্টা করছে।[5][29]
- ক্যাম্বডিয়া
ক্যাম্বডিয়ান ফিশারী আইনের আওতায় বিপদগ্রস্ত প্রজাতি ইরাবতী ডলফিন সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত। [30] ২০০৫ সালে World Wide Fund For Nature (ডব্লিউডব্লিউএফ) সরকার এবং স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ক্যাম্বডিয়ান মেকং ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প গড়ে তোলে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংরক্ষণ কার্যক্রম, গবেষণা এবং শিক্ষার মাধ্যমে অবশিষ্ট ইরাবতী ডলফিনদের রক্ষা করা।[31] ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যাম্বডিয়ান ফিশারীজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কমিশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফ মেকং রিভার ডলফিন ইকো-ট্যুরিজম এবং ডব্লিউডব্লিউএফ একত্রে কাজ করার জন্য এবং মেকং নদীর ডলফিন সংরক্ষণের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য ‘’মেকং নদীর ইরাবতী ডলফিন সংরক্ষণ সংক্রান্ত ক্রাতি ঘোষণা’’- এ স্বাক্ষর করে।[32] ২০১২ সালের ২৪ আগস্টে ক্যাম্বডিয়ান সরকার পূর্ব ক্রাতি প্রদেশ থেকে লাওসের সীমান্ত পর্যন্ত মেকং নদীর টানা ১৮০ কিমি. এলাকাকে সংরক্ষিত মৎস্য আহরণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে সাধারণ প্রক্রিয়ায় মাছ ধরার সুযোগ থাকলেও ভাসমান বাড়ি, মাছ ধরার খাঁচা এবং গিলনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়।[33] বিশেষত ডলফিনদের সুরক্ষার জন্য রিভার গার্ডরা একটি নিরাপত্তার তথ্যজাল (নেটওয়ার্ক) বানিয়ে এই এলাকা পাহারা দেয়।
- ভারত

ইরাবতী ডলফিন (স্নাবফিন ডলফিনের সাধারণ নামের অধীনে, এর সাথে বৈজ্ঞানিক নামের ভুল বানান লেখা রয়েছে ‘'Oreaella brevezastris) ভারতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অন্তর্ভুক্ত,[34] এটি শিডিউল ১-এ অন্তর্ভুক্ত,[35] যা এই প্রজাতির হত্যা, বহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। [5] ২০০০ সালে বঙ্গোপসাগর এবং চিহিকা লেকের মধ্যে সংযোগ একটি নতুন স্থাপনের জন্য গৃহীত এক বিশাল পুনরুদ্ধার কর্মসূচি সফল হওয়ায় লেকের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা গেছে এবং লেকের পানির লবণাক্ততার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে, যার ফলে ইরাবতী ডলফিনের সংখ্যা বেড়েছে, কেননা এর ফলে তাদের খাদ্য তালিকার মাছ, চিংড়ী ও কাঁকড়ার সংখ্যাও বেড়েছে।[36]
স্থানীয় সংরক্ষণবিদগণ বেরাম্বাই জঙ্গল এবং এর সাথে সংলগ্ন জলাশয় সংরক্ষণের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।[37]
কানাডিয়ান সংরক্ষনবিদ ইয়ান বেয়ার্ড লাওসের অন্তর্গত মেকং নদীর অংশে গবেষণার জন্য লাও মৎস্যজীবী সম্প্রদায় এবং ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পের অংশ থেকে জালে আটকে যাওয়া ডলফিন মুক্ত করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জালের জেলেদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হত। অধিকাংশ ডলফিন নিহত হওয়ায় অথবা লাওসের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গমন করায় এই প্রকল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে ক্যাম্বডিয়া পর্যন্ত নেয়া হয়েছিল।[38] সাই ফ্যান ডন জলাশয় প্রকল্প সফলভাবে নদীর সম্প্রদায়গুলোকে সংরক্ষিত অঞ্চল থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করেছিল এবং কখন ও কিভাবে মাছ ধরা হবে তা তদারকির জন্য নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছিল।[39]
২০০৫ সালে মৎস্য বিভাগ মিংগুন এবং ক্যাউক্ম্যাউং এর মধ্যে ইরাবতী নদীর ৭৪ কিমি. অংশ জুড়ে ইরাবতী ডলফিনের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে। সংরক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ফেঁসে যাওয়া ডলফিনকে বাধ্যতামূলক মুক্তকরণ, ডলফিন ধরা বা হত্যা এবং আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশ নিয়ে বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা, কারেন্ট জাল এবং ৩০০ ফুটের অধিক দীর্ঘ বা ৬০০ ফুটের কম ফাঁকা স্থান বিশিষ্ট গিলজালের উপর নিষেধাজ্ঞা।[5]পারদ বিষক্রিয়া এবং স্বর্ণ উত্তোলনের সাথে জড়িত কার্যকলাপের কারণে আবাসস্থলের ক্ষতি প্রতিরোধ করা হয়েছে । [40]
২০০০ সালে মালাম্পায়া সাউন্ডকে সংরক্ষিত সমুদ্র উপকূল দাবী করা হয়েছিল। এটি একটি সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে প্রাপ্য সম্ভাব্য সর্বনিম্ন অগ্রাধিকার।[25] মালাম্পায়া সাউন্ডের বাস্তুসংস্থান অধ্যয়নের প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছিল ডব্লিউডব্লিউএফ। এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছিল টায়টায়-এর শহর কর্তৃপক্ষ এবং মালাম্পায়া পার্ক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অনিচ্ছাকৃতভাবে ইরাবতী ডলফিন জালে আটকে যাওয়া প্রতিরোধে মৎস্য আহরণ সংক্রান্ত নীতিমালার উন্নয়ন সাধন করেছে। মাছ ধরার গিয়ারের উপর গবেষণা ও ডলফিন রক্ষার্থে এদের উন্নয়ন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পটি ২০০৭ সালে সমাপ্ত হয়। [41] ২০০৭ সালে, কোরাল ট্রাইএঙ্গেল ইনিশিয়েটিভ নামে একটি নতুন যৌথ উদ্যোগ শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য হল মালাম্পায়া সাউন্ডের ইরাবতী ডলফিনের জনসংখ্যাসহ সামুদ্রিক এবং উপকূলবর্তী সম্পদ রক্ষায় সাহায্য করা। [42][43]
২০০২ সালে, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় সম্পদ বিভাগকে থাই জলসীমায় দুর্লভ জলজ প্রাণী যেমন ডলফিন, তিমি এবং কচ্ছপ রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়। ডলফিনদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রহরী জলযানগুলো নিশ্চিত করে যে সবধরনের নৌকা ডলফিন থেকে ৩০ মিটার দূরে থাকবে এবং ডলফিনের ঝাঁকের সাথে কোনরূপ তাড়া করা বা প্রতিযোগিতা করা যাবে না। প্রাচীনবাড়ি প্রদেশের ব্যাং প্যাকং নদীতে কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অনেক জেলেকে চিংড়ী মাছ ধরা থেকে বিরত করেছে এবং পর্যটকদের ডলফিন দেখানোর জন্য ৩০ থেকে ৪০টি মাছ ধরার নৌকাকে সংস্কার করেছে।[44] ত্রাত প্রদেশের উপকূলে তিন বছরে প্রায় ৬৫টি মৃত ইরাবতী ডলফিন পাওয়া গেছে।[45][46] স্থানীয় একটি মৎস্য সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।[47]
২০০৮ সালে বনাঞ্চল বিভাগ এবং সারাওয়াক ফরেস্ট্রি কোঅপারেটিভ সান্তুবং এবং দামাই (কুচিং জলাভূমি) এর মধ্যে ইরাবতী ডলফিনদের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তুলে।[5] এরপর তারা মিরিতে অনেকগুলো উপকূলকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। সংরক্ষণ নীতিমালার মধ্যে ডলফিন ধরা বা হত্যা, সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ নিয়ে বাণিজ্য, গিলনেটের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সারাওয়াক সেলের (Sarawak Shell) অর্থ সহায়তায় সরকার সারাওয়াক মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রজাতির উপর ছোট এবং মাঝারি আকারের গবেষণা শুরু করে।
আরও দেখুন
- তিমি এবং ডলফিন প্রজাতির তালিকা
- সামুদ্রিক জীববিদ্যা
- ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশগত বিষয়
- গাঙ্গেয় ডলফিন
তথ্যসূত্র
- Reeves, R. R., Jefferson, T. A., Karczmarski, L., Laidre, K., O’Corry-Crowe, G., Rojas-Bracho, L., Secchi, E. R., Slooten, E., Smith, B. D., Wang, J. Y. & Zhou, K. (২০০৮)। "Orcaella brevirostris"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2011.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১১। Database entry includes a brief justification of why this species is of vulnerable.
- William Perrin (২০১০)। W. F. Perrin, সম্পাদক। "Orcaella brevirostris (Owen in Gray, 1866)"। World Cetacea Database। World Register of Marine Species। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১২।
- বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৭
- Sinha, R. K. (মে–আগস্ট ২০০৪)। "The Irrawaddy Dolphins Orcaella of Chilika Lagoon, India" (PDF)। Journal of the Bombay Natural History Society। Mumbai, India: online edition: Environmental Information System (ENVIS), Annamalai University, Centre of Advanced Study in Marine Biology, Parangipettai - 608 502, Tamil Nadu, India। 101 (2): 244–251। ২০০৯-০৪-১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "Proposal for inclusion of species on the appendices of the convention on the conservation of migratory species of wild animals" (PDF)। PROPOSALS। ENEP/CMS। ২০০৮-০৮-২৭। ২০১১-০৬-১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৬।
- Stacey, Pam J.; Peter W. Arnold (১৯৯৯-০৫-০৫)। "Orcaella brevirostris" (PDF)। Mammalian Species। American Society of Mammalogists (616): 1–8।
- Long, Barney. "Irrawaddy Dolphin." WorldWildlife.org. World Wildlife Fund, n.d. Web. Retrieved 2014-10-20
- "Irrawaddy Dolphins, Orcaella brevirostris ~ MarineBio.org." MarineBio Conservation Society. Retrieved 2014-10-20.
- "Irrawaddy dolphin (Orcaella brevirostris)"। Arkive। Wildscreen। ২০০৮। ২০০৮-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৬।
- Culik, Boris; Kiel, Germany (২০০০)। "Orcaella brevirostris (Gray, 1866)"। Review of small Cetaceans Distribution, Behaviour, Migration and Threats। UNEP/CMS Convention on Migratory Species। ২০০৪-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৬।
- "Large population of endangered dolphins found in Bangladesh"। Times of India, Flora and Fauna। 2008 Bennett Coleman & Co. Ltd.। 2008-10-11। সংগ্রহের তারিখ 2008-12- 29। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - Smith, Brian D. (২০০৬)। "Abundance of irrawaddy dolphins (Orcaella brevirostris) and ganges river dolphins (Platanista Gangetica gangetica) estimated using concurrent counts made by independent teams in waterways of the sundarbans mangrove forest in Bangladesh"। Marine Mammal Science। Oxford, UK: Blackwell। 22 (no3): 527–547। doi:10.1111/j.1748-7692.2006.00041.x। আইএসএসএন 0824-0469। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Associated Press (২০০৯-০৪-০১)। [http://www.pr-
inside.com/study-bangladesh-hosts-6-000-rare-dolphins-r1155018.htm "Study: Bangladesh hosts 6,000 rare dolphins"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। PR-Inside.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-০১। line feed character in|ইউআরএল=
at position 15 (সাহায্য); line feed character in|শিরোনাম=
at position 7 (সাহায্য) - [http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2013-01-22/flora-fauna/36484106_1_chilika-development-authority-chilika-lake-irrawaddy-
dolphins "Dolphin population rises to 152 in Chilika lake in Orissa"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Times of India। ২০১৩-০১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩। line feed character in|ইউআরএল=
at position 132 (সাহায্য) - Ryan, G. (২০১১)। "Irrawaddy dolphin demography in the Mekong River: an application of mark-resight models."। Ecosphere। 2 (5): art58। doi:10.1890/ES10-00171.1। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); line feed character in|coauthors=
at position 34 (সাহায্য) - Earl Victor L. Rosero (ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২)। "Only 42 left of endangered Irrawaddy dolphins in northern Palawan"। GMA News।
- Koss, Melissa. "Orcaella Brevirostris." Animaldiversity.umich.edu. Animal Diversity Web, n.d. Web. Retrieved 2014-10-19
- D’Lima, Coralie (২০০৮)। "Dolphin-human interactions, Chilika" (PDF)। Project summary। Whale and Dolphin Conservation Society। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১।
- {{cite web|url=http://tinttun.mm.googlepages.com/irrawaddydolphin|title=Castnet Fishing with the Help of Irrawaddy Dolphins |last=Tun|first=Tint|year=2008|work=Irrawaddy Dolphin|publisher=Yangon, Myanmar|accessdate=2008-12-25}}
- Marsh H, Lloze R, Heinsohn GE, Kasuya T (1989) Irrawaddy dolphin - Orcaella brevirostris (Gray, 1866) In: Handbook of marine mammals (Ridgway SH, Harrison SR, eds.) Vol. 4: River dolphins and the larger toothed whales. Academic Press, London, pp. 101-118
- {{cite news|url=http://www.worldwildlife.org/who/media/press/2004/WWFPresitem748.html|title=Irrawaddy Dolphins Gain Trade Protection Under CITES; WWF Urges Countries to Stop All Live Captures|last=Vertefeuille|first=Jan|date=2004-10-08|work=Press release|publisher=World Wildlife Fund|accessdate=2008-12-29}}
- Yan, Gregg (২০০৭-০৩-০৮)। "Rare Palawan dolphins now down to 47 - WWF"। Section A। Philippine Daily Inquirer। পৃষ্ঠা 1, 6। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-১০।
- Kreb D, Budiono (2005) Conservation management of small core areas: key to survival of a Critically Endangered population of Irrawaddy river dolphins Orcaella brevirostris in Indonesia. Oryx 39: 178-188
- CITES (২০০৪-১০-১৪)। "CITES takes action to promote sustainable wildlife"। Press Release। Convention on International Trade in Endangered Species of Wild Fauna and Flora। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৯।
- Smith, Dr. Brian D. (২০০৭-০৩-১৪)। [http://www.cms.int/
bodies/ScC/14th_scientific_council/pdf/en/ScC14_Doc_08_Irrawaddy_dolphins_Eonly.pdf "Conservation status of Irrawaddy Dolphins"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (PDF)। Convention on the Conservation Migratory Species of Wild Animals। Bonn, Germany: CMS/UNEP। 14th Meeting of the CMS Scientific Council। অজানা প্যারামিটার|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); line feed character in|ইউআরএল=
at position 20 (সাহায্য); line feed character in|সাময়িকী=
at position 19 (সাহায্য) - "Appendices_COP9_E.pdf Appendix I and Appendix II" of the Convention on the Conservation of Migratory Species of Wild Animals (CMS). As amended by the Conference of the Parties in 1985, 1988, 1991, 1994, 1997, 1999, 2002, 2005 and 2008. Effective: 5th March 2009.
- [http:/
/www.pacificcetaceans.org/ "Memorandum of Understanding for the Conservation of Cetaceans and Their Habitats in the Pacific Islands Region"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Pacificcetaceans.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪। line feed character in|ইউআরএল=
at position 7 (সাহায্য); line feed character in|শিরোনাম=
at position 66 (সাহায্য) - Revkin, Andrew C. (২০০৯-০৪-০২)। [http://www.nytimes.com/2009/04/
02/science/earth/02dolphins.html "Asian Dolphin, Feared Dying, Is Thriving"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-০২। line feed character in|ইউআরএল=
at position 32 (সাহায্য); line feed character in|শিরোনাম=
at position 30 (সাহায্য) - "LAW ON FISHERIES (Unofficial Translation supported by ADB/FAO TA Project on Improving the Regulatory and Management Framework for Inland Fisheries )" (PDF)। ২০০৭। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 18 (সাহায্য) - WWF Greater
Mekong Programme Offic (২০০৮-১০-২১)। [http://www.panda.org/
about_wwf/where_we_work/asia_pacific/our_solutions/greaterm ekong/projects/index.cfm?
uProjectID=9S0766 "Cambodian Mekong Dolphin Conservation Project"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Greater Mekong। WWF। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-৩১। line feed character in|ইউআরএল=
at position 22 (সাহায্য); line feed character in|শেষাংশ=
at position 13 (সাহায্য) - [https://awionline.org/awi-quarterly/2012-spring/kratie-
declaration-offers-hope-mekong-dolphins "Kratie Declaration Offers Hope for Mekong Dolphins"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Spring ২০১২। line feed character in|ইউআরএল=
at position 56 (সাহায্য); line feed character in|শিরোনাম=
at position 43 (সাহায্য) - [http://www.thejakartaglobe.com/seasia/cambodia-creates-safe-zones-for-mekong-dolphins/
540130 "Cambodia Creates Safe Zones for Mekong Dolphins"]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। August 24, 2012। line feed character in|ইউআরএল=
at position 87 (সাহায্য); line feed character in|তারিখ=
at position 11 (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - {{cite book|last=Parliament of India|title=The Indian Wildlife (Protection) Act, 1972|publisher=Ministry of Environment and Forests|edition=Substituted by Act 44 of 1991|url=http://envfor.nic.in/legis/wildlife/wildlife1.html}}
-
The Wildlife (Protection)
Act, 1972। "Schedule I"। 33-A. Snubfin Dolphin (Orcaella brevirostris) (PDF)। Part I Mammals। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫। line feed character in
|শেষাংশ=
at position 27 (সাহায্য) - {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Integrating Biodiversity and Hydrological Processes|সম্পাদক=USAID|প্রকাশক=[[Conservation International] ]/|অবস্থান=Chilika, Odisha, India|তারিখ=2007-03-15|আইডি=Technical report from Phase 2 of the USAID GCP-funded initiative (FY07)|ইউআরএল=http://corridors.conservation.org/portal/server.pt/gateway/ PTARGS_0_126615_129927_0_0_18/Chilika%20workshop%20report%2007(final).pdf}}
- {{cite web|url=http://www.wli-asia-symposium.com/pre/pre26_w5.pdf|title=Protecting the Mahakam Mahakam Lakes in East Kalimantan, Lakes in East Kalimantan, |last=Kreb|first=Danielle|date=2007-01-26|work=1st Wetland Link International 1st Wetland Link International — Asia Symposium Asia Symposium, Hong Kong|publisher=Conservation Foundation for Rare Aquatic Conservation Foundation for Rare Aquatic |accessdate=2008-12-30|archivedate=2011-07-18|archiveurl=https://web.archive.org/web/20110718072359/http://www.wli-asia-symposium.com/pre/pre26_w5.pdf}}
- {{cite web|url=http://www.newsmekong.org/irrawaddy_dolphins_disappearing_from_the_mekong_0|title=Irrawaddy Dolphins Disappearing from the Mekong|last=Pandawutiyanon|first=Wiwat |year=2005|work=Mekong Currents|publisher=IPS Asia-Pacific/Probe Media Foundation|accessdate=2008-12-31 |archiveurl=http://web.archive.org/web/20100905023243/http://www.newsmekong.org/irrawaddy_dolphins_disappearing_from_the_mekong_0 |archivedate=September 5, 2010}}
- Cranmer, Jeff; Steven Martin; Kirby Coxon (২০০২)। "The Far South"। The Rough Guide to Laos। Rough Guides। পৃষ্ঠা 309। আইএসবিএন 9781858289052।
- "Site Of Human-dolphin Partnership Becomes Protected Area"। Science Daily। ScienceDaily LLC। ২০০৬-০৬-২৩। পৃষ্ঠা Science News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-৩০।
- WWF Philippines (২০০৮-০৭-০৭)। "Malampaya Sound Ecological Studies Project"। ABOUT WWF PHILIPPINES। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-৩১।
- {{cite news|url=http://www.gov.ph/news/?i=21252|title=PGMA to push for sustainable management of Coral Triangle|last=Philippine information Agency|date=2008-06-22|work=Press release|publisher=Republic of the Philippines|accessdate=2008-12-31}}
- {{cite book|last=Hamann|first=Mark |author2=Michelle Heupel |author3=Vimoksalehi Lukoschek |author4=Helene Marsh |title=Incorporating information about marine species of conservation concern and their habitats into a network of MPAs for the Coral Triangle region |editor=ARC Centre of Excellence for Coral Reef Studies|publisher=James Cook University|location=Townsville, Australia|date=2008-05-11|url=http://www.coralcoe.org.au/events/ctiworkshop/papers/13%20Threatened%20Spp.doc |format=Draft Version 2 (Word document) |volume=13.|chapter=Marine Mammals}}
- Svasti, Pichaya (২০০৭-০৩-২৪)। "The Irrawaddy dolphin"। Bangkok Post। reprinted by ASEAN Biodiversity। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-৩০। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 15 (সাহায্য) - Bangkok Post - Dead Irrawaddy dolphins found off Trat
- {{cite web|url=http://bangkokpost.newspaperdirect.com/epaper/viewer.aspx |title=65 dolphins found dead in three years |publisher=Bangkokpost.newspaperdirect.com |accessdate=2014-01-24}}
- "Fishery blamed for dolphin deaths"। Bangkok Post। ২০১৩-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪।
গ্রন্থসমূহ
- Encyclopedia of Marine Mammals আইএসবিএন ০-১২-৫৫১৩৪০-২
- National Audubon Society Guide to Marine Mammals of the World আইএসবিএন ০-৩৭৫-৪১১৪১-০
- Whales, Dolphins and Porpoises, Mark Carwardine, ISBN
0-7513-2781-6
বহিঃসংযোগ
Video of Irrawaddy dolphin behavior
Whale and Dolphin Conservation Society
Transcript of briefing by Burmese marine biologist Tint Tun describes human/dolphin cooperative fishing
Worldwide Bycatch of Cetaceans, National Marine Fisheries Service, NOAA Tech. Memo. NMFS-OPR-36 July 2007 65 Irrawaddy Dolphin mentions
Wide Fund for Nature (WWF) - species profile for the Irrawaddy dolphin
Dolphin World Irrawaddy Dolphin