আনোয়ার উদ্দিন খান
আনোয়ার উদ্দিন খান (৪ জুন ১৯৩৫ - ২ আগস্ট ২০০০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং গীতিকার। তিনি বেতার, টেলিভিশন, বেসিক ডিস্ক এবং চলচ্চিত্রের গানের সঙ্গীত পরিচালনা এবং গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
আনোয়ার উদ্দিন খান | |
---|---|
আরো যে নামে পরিচিত | আনোয়ার খান |
জন্ম | রাজবাড়ী জেলা, পূর্ব বাংলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ৪ জুন ১৯৩৫
মৃত্যু | ২ আগস্ট ২০০০ ৬৫) | (বয়স
ধরন | চলচ্চিত্রের গান, বেতারের গান |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক |
সহযোগী শিল্পী | আবু হেনা মোস্তফা কামাল |
প্রারম্ভিক জীবন
আনোয়ার খান ১৯৩৫ সালের ৪ জুন তৎকালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আকবর আলী খান। আনোয়ার ১৯৫২ সালে মুসলিম হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[1]
কর্মজীবন
খান ১৯৬১ সালে একটি ব্যাংকে চাকরিতে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। কবি-গীতিকার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও তার যুগলবন্দী বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা পালন করে। তার কণ্ঠদান করা প্রথম চলচ্চিত্র অপরাজিতা। চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তার সুরারোপিত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাল্যবন্ধু, ও মায়ার সংসার (১৯৬৯)। এছাড়া তিনি ময়না মতি (১৯৬৯) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। তার লেখা গানের মধ্যে রয়েছে "লোকে বলে প্রেম", "পুরাতন মনটাতে আর সয়না কোন নতুন জ্বালাতন", "কচি পাতার টিয়া রং" এবং "জড়োয়া অলংকারে"।[2]
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু
আনোয়ার সুলতান আরা বেগম লিলিকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র কন্যা আরজিনা খান টুম্পা। আনোয়ার খান ২০০২ সালের ২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।[3]
সম্মাননা
- ২০০৫: সঙ্গীতে অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক
তথ্যসূত্র
- "সুরকার-গীতিকার আনোয়ার উদ্দিন খানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী"। রাইজিংবিডি ডট কম। ২ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৭।
- "আনোয়ার খানের গান নিয়ে 'চিরকাল চিরদিন'"। আরটিএনএন। ৭ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৭।
- "কুষ্টিয়ার কৃতিসমত্মান প্রখ্যাত সুরকার-গীতিকার পরিচালক আনোয়ার উদ্দিন খানের ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ"। দৈনিক আন্দোলনের বাজার। ২ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৭।